পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, নড়িয়ায় আগে বিদ্যুতের সরবরাহ ছিল ১০ মেগাওয়ার্ড, এখন সেখানে করে দেয়া হয়েছে ২০ মেগাওয়ার্ড। ফলে নড়িয়ায় আর কখনও বিদ্যুতের লোডশেডিং হবে না। নড়িয়া উপজেলায় আর কখনও বিদ্যুৎ যাবে না এটি নিশ্চিত করে বলতে পারি।

বৃহস্পতিবার নড়িয়া জপসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

জপসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সালাম হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শরীয়তপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেদুর রহমান খোকা সিকদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রদান প্রকৌশলী মো. আবদুল হান্নান, শরীয়তপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক, সাবেক জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল ওহাব বেপারি, ফজলুল হক মাল, আনোয়ার হোসেন বাদশা শেখ, মোক্তারেরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌকিদার, কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছানাউল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল জলিল সরদার।

পদ্মা নদীর ভাঙনকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, গত ৩০ বছরে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়- প্রতি বছরই পদ্মায় হাজার হাজার বাড়িঘরবিলীন হয়ে গেছে। তবে গত বছর ১২টি বাড়ি ভাঙলেও এ বছর একটি বাড়িও ভাঙেনি। এ ছাড়া আমাদের নড়িয়া উপজেলা এখন কোভিডমুক্ত এলাকা।

তিনি আরও বলেন, গত চার দিন আগে নড়িয়া উপজেলাকে কোভিডমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।

এর পাশাপাশি নদীভাঙনের হাত থেকে রক্ষা, গৃহহীনদের গৃহনির্মাণ করা, বয়স্কভাতা, বিধবা ও প্রতিবন্ধীভাতা শতভাগ নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মন্ত্রী জপসা ইউনিয়নের ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নুরজাহান বেগম কমিউনিটি ক্লিনিকের শুভ উদ্বোধন করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত