১২:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

বন্দরে পড়ে আছে অসংখ্য গাড়ি, সাড়া নেই নিলামে

মোংলা বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে আমদানি করা অসংখ্য রিকন্ডিশন গাড়ি। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করলেও তেমন সাড়া নেই। ফলে বন্দরে তৈরি হচ্ছে গাড়ির পাহাড়। এই পরিস্থিতির জন্য আমদানিকারকদের দায়ের করা মামলাকে দায়ী করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

মোংলা কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এ আরও) মো. মহিদ রিয়াদ জানান, মোংলা বন্দর ব্যবহার করে দুই শতাধিক গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। নিয়ম অনুযায়ী, আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পৌঁছার ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করিয়ে না নিলে সেগুলো সরকারি নিলামের তালিকায় চলে যায়। পরে শুল্ক ও রাজস্ব আদায়ে কাস্টম কর্তৃপক্ষ তা নিলামে তোলে।

চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত গত এক বছরে বিভিন্ন ব্রান্ডের পাঁচ হাজার ৬৫৩টি রিকন্ডিশন গাড়ি নিলামে ওঠে। এর মধ্যে মাত্র ছয়টি গাড়ি ক্রেতারা ছাড় করাতে পেরেছেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসে নিলামে তোলা হয় ৫০টি গাড়ি। এর মধ্যে মাত্র দুইটি গাড়ির জন্য দরপত্র জমা পড়লেও গাড়ি ছাড় হয়নি একটিও।

সহকারী এ রাজস্ব কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমদানিকারকদের মামলার কারণে ক্রেতারা নিলামে গাড়ি কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারবিডা) সভাপতি আব্দুল হক বলেন, ‘সময়মতো গাড়ি ছাড় করাতে না পারলে কেউ মামলায় যায় কি যায় না, আসলে আমি জানি না। হয়তো মামলা করা একটা মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।‘

তবে এ ব্যাপারে মোংলা কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. হোসেন আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সঙ্গে কথা বলেছি,আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে এই সমস্যার সমাধান করবো।’

বন্দর সূত্র জানায়, রাজধানীর সঙ্গে দূরত্ব কম হওয়ায় ২০০৯ সাল থেকে দেশে আমদানি করা গাড়ি খালাস হয় মোংলা বন্দর দিয়ে। সোমবার (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত গত ৯ বছরে এই বন্দর দিয়ে মোট গাড়ি আমদানি হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৮১৯টি। সে হিসেবে দেশে মোট আমদানির ৬০ ভাগ গাড়ি আসে মোংলা বন্দরে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের বন্দরে বিভিন্ন শেড ও ইয়ার্ডে তিন হাজার ২৪টি গাড়ি আছে। বর্তমানে দুই হাজার ৬০০ গাড়ির মতো নিলামের তালিকায় আছে। যা নিলামযোগ্য। যার মধ্যে ৪৬৫টি গাড়ি ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আমদানিকৃত।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত

জনপ্রিয়

হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মোঃ ফয়সল

বন্দরে পড়ে আছে অসংখ্য গাড়ি, সাড়া নেই নিলামে

প্রকাশিত : ০৬:৪৩:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০২০

মোংলা বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে আমদানি করা অসংখ্য রিকন্ডিশন গাড়ি। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করলেও তেমন সাড়া নেই। ফলে বন্দরে তৈরি হচ্ছে গাড়ির পাহাড়। এই পরিস্থিতির জন্য আমদানিকারকদের দায়ের করা মামলাকে দায়ী করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

মোংলা কাস্টম হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এ আরও) মো. মহিদ রিয়াদ জানান, মোংলা বন্দর ব্যবহার করে দুই শতাধিক গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। নিয়ম অনুযায়ী, আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পৌঁছার ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করিয়ে না নিলে সেগুলো সরকারি নিলামের তালিকায় চলে যায়। পরে শুল্ক ও রাজস্ব আদায়ে কাস্টম কর্তৃপক্ষ তা নিলামে তোলে।

চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত গত এক বছরে বিভিন্ন ব্রান্ডের পাঁচ হাজার ৬৫৩টি রিকন্ডিশন গাড়ি নিলামে ওঠে। এর মধ্যে মাত্র ছয়টি গাড়ি ক্রেতারা ছাড় করাতে পেরেছেন বলেও জানান তিনি।

এছাড়া চলতি বছরের মার্চ মাসে নিলামে তোলা হয় ৫০টি গাড়ি। এর মধ্যে মাত্র দুইটি গাড়ির জন্য দরপত্র জমা পড়লেও গাড়ি ছাড় হয়নি একটিও।

সহকারী এ রাজস্ব কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমদানিকারকদের মামলার কারণে ক্রেতারা নিলামে গাড়ি কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’

জানতে চাইলে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারবিডা) সভাপতি আব্দুল হক বলেন, ‘সময়মতো গাড়ি ছাড় করাতে না পারলে কেউ মামলায় যায় কি যায় না, আসলে আমি জানি না। হয়তো মামলা করা একটা মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। এ ব্যাপারে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।‘

তবে এ ব্যাপারে মোংলা কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. হোসেন আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের সঙ্গে কথা বলেছি,আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে এই সমস্যার সমাধান করবো।’

বন্দর সূত্র জানায়, রাজধানীর সঙ্গে দূরত্ব কম হওয়ায় ২০০৯ সাল থেকে দেশে আমদানি করা গাড়ি খালাস হয় মোংলা বন্দর দিয়ে। সোমবার (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত গত ৯ বছরে এই বন্দর দিয়ে মোট গাড়ি আমদানি হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৮১৯টি। সে হিসেবে দেশে মোট আমদানির ৬০ ভাগ গাড়ি আসে মোংলা বন্দরে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমাদের বন্দরে বিভিন্ন শেড ও ইয়ার্ডে তিন হাজার ২৪টি গাড়ি আছে। বর্তমানে দুই হাজার ৬০০ গাড়ির মতো নিলামের তালিকায় আছে। যা নিলামযোগ্য। যার মধ্যে ৪৬৫টি গাড়ি ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে আমদানিকৃত।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত