হিমালয়ের একদল উপজাতীদের কাছে বিশ্বের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। যেখানে নারীরা বিবাহ করার জন্য বাধ্য নয়।
একদিকে পৃথিবী যখন নারীর সমতা রক্ষায় একপ্রকার যুদ্ধে লিপ্ত ঠিক তখন হিমালয়ের উপত্যাকার একদল উপজাতী নারীদের দিয়েছে পূর্ন ক্ষমতা। করেছে সকল অধিকার নিশ্চিত।
‘মৌস’ নামের এই উপজাতীদের মতে বিয়ে আসলে কোন অর্জন বা কৃতিত্বের কিছু নয়। পুরুষ কখনোই নারীর সম্পুরক হতে পারেনা। নারীরা সমাজের অন্যতম মুখ, সমাজের এক প্রতিচ্ছবি। যারা আমাদের মতই প্রতিদিনের বাচার স্বপ্ন দেখে।
বলা হয় পৃথিবীর সর্বশেষ নারীপ্রধান সমাজ এই মৌস উপজাতীর। এরা লুগু লেকের চারপাশে বসবাস করে যেটা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৭০০ মিটার ওপরে অবস্থিত। এটাকে বলা হয়ে থাকে কিংডম অফ উওম্যন বা নারীর রাজত্ব। এখানে পরিবারের নিয়ন্ত্রন, আর্থিক, মালিকানা সহ সকল প্রকার গুরু সিদ্ধান্তগুলো মহিলারা নিয়ে থাকে।
অথচ এর বিপরীতে আমাদের সমাজে কি ঘটে? দেখা যায় নারীর এক একটি পদচারনা যেন তার কাছে এক একটি চ্যলেঞ্জ। কিন্তু মৌস উপজাতীর নারীরা বিয়ে করা বা না করার ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বাধীন। কোন প্রকার চরিত্রহীনতার দায় ছাড়াই তারা একাধিক স্বামী রাখা বৈধ মনে করে।
আমাদের সামাজিক রিতী অনুসারে মহিলাদের সম্পুর্ন মনে করা হয় তখন, যখন তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়, স্বামী ও সন্তান থাকে।
অন্যদিকে মৌস গোত্রের নারীদের এসব বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু তাই নয়, নারীরা সন্তানের পিতা ব্যতীত আলাদা সংসার করতে পারবে যেখানে সে থাকবে সংসার প্রধান।
তাদের এই ঐতিহ্য শতাব্দীর পরে শতাব্দী প্রচলিত। এখানে ১৩ বছর বয়সী একটি মেয়ে তার প্রেমিক বেছে নিতে পারবে এবং যাকে তার পছন্দ নয় তার সাথে কোনপ্রকার সম্পর্কে জড়াতেও বাধ্য নয়।
মজার ব্যপার হলো কেউ সন্তানের বাবার পরিচয় জানার অধিকার রাখেনা এবং প্রত্যোক বয়স্ক পুরুষ চাচা বা মামা হিসেবে গন্য।
আশ্চর্যের বিষয় মৌস গোত্রের পুরুষরা কি করে? ঐতিহাসিক ভাবে প্রগতিশীল এই গোত্রের পুরুষদের বলা হয় “এক্সিয়াস”। তারা প্রধানত মাছ শিকার ও পশু পালন করে থাকে।


























