সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে ঝিনাইদহে সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোক বিরাজ করছে। জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা শহর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বেগম খালেদা জিয়া। গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে আপোষহীন নেত্রীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ঝিনাইদহে শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিন সকাল থেকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পবিত্র কোরআন খতম শুরু হয়েছে। এ ছাড়া সব উপজেলা, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপির কার্যালয়গুলোতে চলছে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল।
দলীয় নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই কালো ব্যাজ ধারণ করেছেন। দলীয় কার্যালয়গুলোতে জাতীয় পতাকার পাশাপাশি কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। জেলা শহর থেকে গ্রামে গ্রামে শোকে মুহ্যমান সর্বস্তরের মানুষ।
শহরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আসলাম মিয়া বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। এই মানুষটি দেশের প্রশ্নে, জনগণের প্রশ্নে কখনো মাথা নত করেননি। তিনি সাধারণ মানুষের কাছে বাংলাদেশের আপামর জনগণের নেত্রী হয়ে ছিলেন, আজীবন থাকবেন।’
রিকশা চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে বেগম খালেদা জিয়ার বিরোধিতা অনেকেই করতে পারে। কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্ব, জনগণের কল্যাণ ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে তার কোনো বিরোধিতাকারী নেই। তিনি একটি দলের নেত্রী না, তিনি দেশের মানুষের নেত্রী।’
পথচারী সেলিনা খাতুন ও রিক্তা খাতুন বলেন, সকালে খবরটি শুনেই সবাই শোকে স্তব্ধ। দেশের সংকটকালে বারবার বেগম খালেদা জিয়া জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আজ তিনি দেশবাসীকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন। তার মতো আপোষহীন নেত্রী আর কখনো দেশ পাবেনা।
জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ মজিদ বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী। তিনি তার জীবনের সবটুকু সময় দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের স্বার্থরক্ষার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বেগম খালেদা জিয়াকে খুব দরকার ছিল। তার এই শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়।তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন, জেল-জুলুম সহ্য করেছেন তিনি। ফ্যাসিস্ট সরকার তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে। আমরা বিএনপির নেতাকর্মীসহ জেলার সর্বস্তরের মানুষ আজ আমাদের অমূল্য সম্পদ হারালাম। আমরা মহান নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনা করি।
ডিএস../



















