খারাপ থেকে খারাপ হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়। শত চেষ্টায়ও প্রেসিডেন্সি টিকিয়ে রাখতে পারেননি। জো বাইডেনের কাছে হেরে গেছেন। সেই ক্ষতই শুকায়নি। এরইমধ্যে তার দাম্পত্য জীবনে ফাটলের ইঙ্গিত। তুমুল গুঞ্জন, ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হলেই না-কি স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প তাকে ডিভোর্স দেবেন। খবর ডেইলি মেইলের
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প হেরে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কিন্তু এতেই শেষ নয়। তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর যদি বিশ্বাস করা হয়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে তার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
কথিত আছে, ২০১৬ সালে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন, তখন কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। তার এক বন্ধু বলেছিলেন, ‘মেলানিয়া কখনও ট্রাম্পের জয় আশা করেননি’।
সেই থেকে এই দম্পতির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র তাদের ‘অদ্ভুত’ সম্পর্কের কথা বলে আসছে। কিন্তু এখন সূত্রটি দাবি করছে আরও বড় কিছু। বলছে, ট্রাম্পের পরাজয় আর জো বাইডেনের জয় প্রেসিডেন্টের দাম্পত্য জীবনে আরও প্রভাব ফেলেছে। মেলানিয়ার বিচ্ছেদের দরজার দিকে যাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
ডেইলি মেইল বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাবেক সহযোগী এবং দ্য অ্যাপ্রেন্টিস তারকা ওমোরোসা ম্যানিগল্ট নিউম্যান দাবি করেছেন, ১৫ বছরের একটি বৈবাহিক জীবনের অবসান হচ্ছে। মেলানিয়া সময় গুনছেন ট্রাম্প কখন হোয়াইট হাউস ছেড়ে যাবেন। এরপরই তাকে ডিভোর্স দেবেন তিনি। ওমোরোসা ট্রাম্প প্রশাসন এবং প্রেসিডেন্টের তৃতীয় বিয়ের নিপথ্যে একটি ‘বিস্ফোরক’ বইও লিখেছেন। সেখানেও তাদের ‘অদ্ভুত’ সম্পর্কের কথা বলেছেন তিনি।
একই দাবি করেছেন মেলানিয়া ট্রাম্পের সাবেক পরামর্শদাতা স্টেফানি ওয়ালকফেরও। তিনি বলেন, তাদের বিচ্ছেদ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সময় গুনতে শুরু করে দিয়েছেন মেলানিয়া। এছাড়া হোয়াইট হাউসে তাদের শয়নকক্ষও আলাদা হয়ে গেছে। কথাও হয় না বললেই চলে।
খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ডিভোর্স দিলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্ষতি করতে পারেন ট্রাম্প। এমন আশঙ্কায় মেয়াদ শেষ হলেই তাকে ডিভোর্স দেবেন মেলানিয়া।
বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত
























