০৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মহামারিতেও থেমে নেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা থেমে নেই। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অগ্রগতি থেকে নির্দ্বিধায় বলা যায়, আমরা সঠিক পথে রয়েছি।

বুধবার সকালে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের অগ্রগতির প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর মোট পরিমাণ ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। জিডিপির হার ক্রমাগত বেড়েছে, যদিও কোভিড-১৯ এর কারণে এই গতি কিছুটা শ্লথ হয়েছে। তারপরও এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে আমাদের জিডিপি অনেক ভালো, বর্তমানে যা ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২০৬৬ মার্কিন ডলার। এছাড়াও আমাদের রফতানি আয় ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত অর্থনীতির দেশে উন্নীত হওয়া। আমি আশা করি খুব শিগগিরই আমরা অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে পারবো।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে কয়েকটি ধাপে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককে বিনামূল্যে টিকার আওতায় আনা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভ্যাকসিন বিতরণের খসড়া পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে। ভ্যাকসিন সফলভাবে প্রয়োগ করার সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ উৎপাদনকারী অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরকারিভাবে আমদানির উদ্যোগ চূড়ান্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের টিকার ন্যায্য বণ্টনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিকল্পনা করা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটির (কোভ্যাক্স) আওতায় আরো সাড়ে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ শেখ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

মহামারিতেও থেমে নেই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন

প্রকাশিত : ০৭:২৭:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ জানুয়ারী ২০২১

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করোনা মহামারির মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা থেমে নেই। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের অগ্রগতি থেকে নির্দ্বিধায় বলা যায়, আমরা সঠিক পথে রয়েছি।

বুধবার সকালে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের অগ্রগতির প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর মোট পরিমাণ ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। জিডিপির হার ক্রমাগত বেড়েছে, যদিও কোভিড-১৯ এর কারণে এই গতি কিছুটা শ্লথ হয়েছে। তারপরও এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে আমাদের জিডিপি অনেক ভালো, বর্তমানে যা ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২০৬৬ মার্কিন ডলার। এছাড়াও আমাদের রফতানি আয় ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত অর্থনীতির দেশে উন্নীত হওয়া। আমি আশা করি খুব শিগগিরই আমরা অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে পারবো।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে কয়েকটি ধাপে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককে বিনামূল্যে টিকার আওতায় আনা হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভ্যাকসিন বিতরণের খসড়া পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে। ভ্যাকসিন সফলভাবে প্রয়োগ করার সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন প্রয়োগকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ উৎপাদনকারী অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরকারিভাবে আমদানির উদ্যোগ চূড়ান্ত হয়েছে। এ লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের টিকার ন্যায্য বণ্টনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিকল্পনা করা কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটির (কোভ্যাক্স) আওতায় আরো সাড়ে তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ শেখ