০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে উদ্যোক্তা রাফি

করোনাভাইরাসের প্রভাবে কাঁপছে সারা বিশ্ব। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জেও ছড়িয়েছে এর প্রভাব। এমন পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষ যথাসম্ভব সহায়তার চেষ্টা করেছে বিভিন্ন মহল। বিশেষ জেলা, থানা বা মফস্বলে যুবকরা এক হয়ে স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম চালিয়েছে।

এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গড়ে ওঠে নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার গয়াবাড়ী গ্রামে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এক হয়ে এখানে স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম চালান। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করা রাফি আল আমিন।

করোনার মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য হ্যান্ড সেনিটাইজার বানাচ্ছেন রাফি আল আমিন। ছবি: রাফি আল আমিন।

একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সব গুণাবলিই রয়েছে রাফি আল আমিনের মধ্যে। শিক্ষাজীবনে একাধিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ডিবেটিং আর রচনালিখনে দেশসেরা হয়েছিলেন স্কুলজীবনেই। ‘প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড’-এর মাধ্যমে স্কাউটিং জীবনকে অনেকটাই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সঙ্গে সুপরিচিত করেছিলেন তিনি কিশোর বয়সেই। রাফি আল আমিন দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সুনামের সঙ্গে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

দুর্দান্ত মেধাবী এই তরুণ নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে ২০১৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাফি আল আমিন শিক্ষাজীবন শেষ করার অনেক আগেই যোগ দেন কর্মক্ষেত্রে। বেশ কিছুদিন চাকরি করেন বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের হেলথ প্রজেক্টে। প্রজেক্ট শেষে দীর্ঘদিন ফ্রিলান্স আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন টেলিভিশন, বিজ্ঞাপন ও বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়ায়।

রাজধানীতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালোই চলছিল রাফি আল আমিনের সংসার। টিপটপ সংসারে জীবনের চরম বাস্তবতা দেখেন ২০১৯ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে। ২৮ অক্টোবর অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ার ‘উবার’ এর বাইকে রাইড শেয়ার নেন তিনি। অনভিজ্ঞ চালকের গাড়িতে ওঠে শিকার হন সড়ক দুর্ঘটনার। এতে তার ডান হাত ও ডান পা ভেঙে যায়। অসম্ভব কষ্টের মধ্য দিয়ে যায় ছয় মাস। সাভারে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানকার সিআরপিতে চিকিৎসা নিতে থাকেন।

সদ্য জন্মানো সন্তান ফেলে হাসপাতালের বেডে ছয় মাস কাটানোর পর ২০১৯ সালের শেষের দিকে গ্রামে ফিরতে হয় তাকে। শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ না হয়েও নেমে পড়েন জীবনযুদ্ধে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে শুয়ে-বসেই শুরু করেন মাছ ও হাঁসের সমন্বিত খামার। সঙ্গে কবুতর ও দেশি মুরগির চাষ। খামার পরিচালনার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নেওয়ার চেষ্টা করেন রাফি। খোঁজাখুঁজি করে অনলাইনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘উদ্যোক্তা তৈরি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পে’র আওতায় কোর্স করে নাম লেখান সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত উদ্যোক্তার তালিকায়।

রাফি আল আমিনের মাছ ও হাসের খামার। ছবি: রাফি আল আমিন।

প্রচলিত ট্যানারির বর্জমিশ্রিত খাবারের বিপরীতে প্রাকৃতিক খাবার তৈরির নেশায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় শুরু করেন ২৯ বছর বয়সের এই তরুণ। পুকুরের পাড়ঘেঁষে শজনেসহ বিভিন্ন প্রকারের ঔষধি গাছ লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে বাঁশ দিয়ে নতুন পদ্ধতিতে জু-প্লাংটন বা শ্যাওলা তৈরি করে হাঁস ও মাছের খামারে খাবার খরচ কমিয়ে আনেন অর্ধেকের নিচে। সেই সঙ্গে সঙ্গে সবজির বাগান শুরু করলেন।

এমন সময়েই শুরু হলো করোনার থাবা। করোনাভাইরাস তখন বাংলাদেশে তেমন প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু সীমান্তবর্তী এই এলাকায় ইতিমধ্যে করোনা সচেতনতায় টিম গঠন করেন রাফি আল আমিন। নীলফামারীর শেষ ইউনিয়নের যুবসমাজ হেঁটে চলে সচেতনতার পরিচয়ে; পথের পর পথ পাড়ি দেয় তারা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে দেয়। উপহার দেয় মাস্ক।

দিনের আলোতে সব মুখ পরিচিত হলেও গ্রামের পরিবেশে রাতের অন্ধকারে অচেনা গলার অপরিচিত আওয়াজে অনেকেই তাদের পরিচয় জানতে চায়। ওরা কথা বলে না কেউ কারো সঙ্গেই। প্রত্যুত্তরে শুধু বলে ওঠে বাড়ির সামনে “চাইল-ডাইল-আলু আর ত্যাল রাইখ্যা গেলাম গো… বাইর হন…সাথে কয়ডা পিয়াইজ-রসুনও আছে..”।

বাইরে বের হতেই কিছু না বলে সামনের দিকে পা বাড়ায় অচেনা ছেলেগুলো। মুখগুলো মাস্কে ঢাকা ছিল বলে ছলছল চোখগুলো বেয়ে আশা জলের দেখা পায়নি হয়তো একে অপরের কেউই।

এভাবেই রাতের অন্ধকারে অচেনা ছেলেগুলো অচেনাই রয়ে যায় সবার কাছে; সভ্যতার কোলাহলে ঘেরা বিচিত্র এই সময়ের পৃথিবীর চোখে তা হয় অনেকটাই রহস্যময়! অচেনা ছেলেগুলোর মধ্যে মানবিক বোধ তৈরি করতে যে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি তরুণ উদ্যোক্তা রাফি আল আমিন।

আকর্ষণীয় বাচন আর সুনিপুণ দক্ষতায় যে কোনো কাজকে আপন করে নেন তিনি। করোনার মধ্যে থেমে নেই তার উদ্যোক্তা হওয়ার কার্যক্রম। খামারের পাশাপাশি শুরু করেছেন মোটরসাইকেলের শোরুম। চলতি বছরের প্রথম দিন উদ্বোধন করেন রিকন্ডিশন মোটরসাইকেলের শোরুম। সারা দেশে অনলাইন/অফলাইনে যে কেউ বাইক কেনা বা বেচার জন্য বুকিং দিতে পারবেন।

রাফি আল আমিনের মোটারসাইকেল শোরুম উদ্বোধনের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

রাফি আল আমিন বলেন, স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরির পেছনে ছুটেছিলাম। পরে বুঝতে পারি চাকরির চেয়ে উদ্যোক্তা হওয়াই ভালো। কিন্তু এর মধ্যে বড় দুর্ঘটনায় পড়ে সব এলোমেলো হয়ে যায়। কিন্তু মানসিক শক্তি হারাইনি। শুয়ে-বসেই কিছু করার চেষ্টা করতে থাকি। এখন মোটামুটি ভালোভাবেই সব চলছে। এই অল্প সময়ে প্রায় ৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থান করতে পেরেছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, নগদ অর্থ লুট, আহত ৩

মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে উদ্যোক্তা রাফি

প্রকাশিত : ০৮:৪৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২১

করোনাভাইরাসের প্রভাবে কাঁপছে সারা বিশ্ব। বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জেও ছড়িয়েছে এর প্রভাব। এমন পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষ যথাসম্ভব সহায়তার চেষ্টা করেছে বিভিন্ন মহল। বিশেষ জেলা, থানা বা মফস্বলে যুবকরা এক হয়ে স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম চালিয়েছে।

এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গড়ে ওঠে নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার গয়াবাড়ী গ্রামে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এক হয়ে এখানে স্বেচ্ছাসেবা কার্যক্রম চালান। এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করা রাফি আল আমিন।

করোনার মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য হ্যান্ড সেনিটাইজার বানাচ্ছেন রাফি আল আমিন। ছবি: রাফি আল আমিন।

একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সব গুণাবলিই রয়েছে রাফি আল আমিনের মধ্যে। শিক্ষাজীবনে একাধিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ডিবেটিং আর রচনালিখনে দেশসেরা হয়েছিলেন স্কুলজীবনেই। ‘প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড’-এর মাধ্যমে স্কাউটিং জীবনকে অনেকটাই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার সঙ্গে সুপরিচিত করেছিলেন তিনি কিশোর বয়সেই। রাফি আল আমিন দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সুনামের সঙ্গে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

দুর্দান্ত মেধাবী এই তরুণ নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে ২০১৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

রাফি আল আমিন শিক্ষাজীবন শেষ করার অনেক আগেই যোগ দেন কর্মক্ষেত্রে। বেশ কিছুদিন চাকরি করেন বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের হেলথ প্রজেক্টে। প্রজেক্ট শেষে দীর্ঘদিন ফ্রিলান্স আর্ট ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন টেলিভিশন, বিজ্ঞাপন ও বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়ায়।

রাজধানীতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালোই চলছিল রাফি আল আমিনের সংসার। টিপটপ সংসারে জীবনের চরম বাস্তবতা দেখেন ২০১৯ সালের অক্টোবরের শেষ দিকে। ২৮ অক্টোবর অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ার ‘উবার’ এর বাইকে রাইড শেয়ার নেন তিনি। অনভিজ্ঞ চালকের গাড়িতে ওঠে শিকার হন সড়ক দুর্ঘটনার। এতে তার ডান হাত ও ডান পা ভেঙে যায়। অসম্ভব কষ্টের মধ্য দিয়ে যায় ছয় মাস। সাভারে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানকার সিআরপিতে চিকিৎসা নিতে থাকেন।

সদ্য জন্মানো সন্তান ফেলে হাসপাতালের বেডে ছয় মাস কাটানোর পর ২০১৯ সালের শেষের দিকে গ্রামে ফিরতে হয় তাকে। শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ না হয়েও নেমে পড়েন জীবনযুদ্ধে। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে শুয়ে-বসেই শুরু করেন মাছ ও হাঁসের সমন্বিত খামার। সঙ্গে কবুতর ও দেশি মুরগির চাষ। খামার পরিচালনার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ নেওয়ার চেষ্টা করেন রাফি। খোঁজাখুঁজি করে অনলাইনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ‘উদ্যোক্তা তৈরি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পে’র আওতায় কোর্স করে নাম লেখান সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত উদ্যোক্তার তালিকায়।

রাফি আল আমিনের মাছ ও হাসের খামার। ছবি: রাফি আল আমিন।

প্রচলিত ট্যানারির বর্জমিশ্রিত খাবারের বিপরীতে প্রাকৃতিক খাবার তৈরির নেশায় বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় শুরু করেন ২৯ বছর বয়সের এই তরুণ। পুকুরের পাড়ঘেঁষে শজনেসহ বিভিন্ন প্রকারের ঔষধি গাছ লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে বাঁশ দিয়ে নতুন পদ্ধতিতে জু-প্লাংটন বা শ্যাওলা তৈরি করে হাঁস ও মাছের খামারে খাবার খরচ কমিয়ে আনেন অর্ধেকের নিচে। সেই সঙ্গে সঙ্গে সবজির বাগান শুরু করলেন।

এমন সময়েই শুরু হলো করোনার থাবা। করোনাভাইরাস তখন বাংলাদেশে তেমন প্রভাব ফেলেনি। কিন্তু সীমান্তবর্তী এই এলাকায় ইতিমধ্যে করোনা সচেতনতায় টিম গঠন করেন রাফি আল আমিন। নীলফামারীর শেষ ইউনিয়নের যুবসমাজ হেঁটে চলে সচেতনতার পরিচয়ে; পথের পর পথ পাড়ি দেয় তারা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করে দেয়। উপহার দেয় মাস্ক।

দিনের আলোতে সব মুখ পরিচিত হলেও গ্রামের পরিবেশে রাতের অন্ধকারে অচেনা গলার অপরিচিত আওয়াজে অনেকেই তাদের পরিচয় জানতে চায়। ওরা কথা বলে না কেউ কারো সঙ্গেই। প্রত্যুত্তরে শুধু বলে ওঠে বাড়ির সামনে “চাইল-ডাইল-আলু আর ত্যাল রাইখ্যা গেলাম গো… বাইর হন…সাথে কয়ডা পিয়াইজ-রসুনও আছে..”।

বাইরে বের হতেই কিছু না বলে সামনের দিকে পা বাড়ায় অচেনা ছেলেগুলো। মুখগুলো মাস্কে ঢাকা ছিল বলে ছলছল চোখগুলো বেয়ে আশা জলের দেখা পায়নি হয়তো একে অপরের কেউই।

এভাবেই রাতের অন্ধকারে অচেনা ছেলেগুলো অচেনাই রয়ে যায় সবার কাছে; সভ্যতার কোলাহলে ঘেরা বিচিত্র এই সময়ের পৃথিবীর চোখে তা হয় অনেকটাই রহস্যময়! অচেনা ছেলেগুলোর মধ্যে মানবিক বোধ তৈরি করতে যে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি তরুণ উদ্যোক্তা রাফি আল আমিন।

আকর্ষণীয় বাচন আর সুনিপুণ দক্ষতায় যে কোনো কাজকে আপন করে নেন তিনি। করোনার মধ্যে থেমে নেই তার উদ্যোক্তা হওয়ার কার্যক্রম। খামারের পাশাপাশি শুরু করেছেন মোটরসাইকেলের শোরুম। চলতি বছরের প্রথম দিন উদ্বোধন করেন রিকন্ডিশন মোটরসাইকেলের শোরুম। সারা দেশে অনলাইন/অফলাইনে যে কেউ বাইক কেনা বা বেচার জন্য বুকিং দিতে পারবেন।

রাফি আল আমিনের মোটারসাইকেল শোরুম উদ্বোধনের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

রাফি আল আমিন বলেন, স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরির পেছনে ছুটেছিলাম। পরে বুঝতে পারি চাকরির চেয়ে উদ্যোক্তা হওয়াই ভালো। কিন্তু এর মধ্যে বড় দুর্ঘটনায় পড়ে সব এলোমেলো হয়ে যায়। কিন্তু মানসিক শক্তি হারাইনি। শুয়ে-বসেই কিছু করার চেষ্টা করতে থাকি। এখন মোটামুটি ভালোভাবেই সব চলছে। এই অল্প সময়ে প্রায় ৫০ জন মানুষের কর্মসংস্থান করতে পেরেছি।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর