১০:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনা

 

২০০৪ সালে চরমভাবে প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলাম। আমাকে মাজায় দড়ি দিয়ে আসামির মতো দিনে দুপুরে বাগেরহাট শহরে ঘুরানো হয়েছিল। শুধু তাই নয় আমার পোশা গরু বাড়ি থেকে ধরে জবাই করে আমার বাসার সামনে নাগেরবাজার মোড়ে ”হাবিখা ৫শ টাকা কেজি” বলে মাংশ বিক্রি করেছিল। তারা আজও এ শহরে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে- আমি তাদের আজ অবধি কোন প্রকার ক্ষতি সাধন করার চেষ্টা করিনি। কারণ আমি প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনা। আমি একজন ফুটবল খেলোয়াড় ছিলাম, জয় পরাজয় মেনে নেয়ার মানসিকতা আমার ছোট বেলা থেকেই গড়েছি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা আমার পছন্দ। বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় আমি পৌর মেয়র হতে চাইনি। এতে কোন কৃতিত্ব নেই। সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামের অডিটরিয়ামে এমন কথা বললেন নৌকার প্রার্থী বাগেরহাট পৌর সভার একাধিবারের নির্বাচিত মেয়র খান হাবিবুর রহমান। আগামী ১৪ ফেব্রæয়ারী বাগেরহাট পৌর সভার নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে মত বিনিময় সভার ধারাবাহিকতার দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের উদ্যেশে তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত আমি বাগেরহাট পৌর সভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বাগেরহাট শহরের কি উন্নয়ন করেছি তা ব্যাখা দিতে চাই না। সেবক হিসেবে কাজ করেছি মাত্র। জামায়াত বিএনপি জোট সরকারের আমালে বাগেরহাটে সব থেকে বেশি অপমানিত ও নির্যাতিত হয়েছি। কিন্ত কখনো প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কারো কোন ক্ষতি করিনি। বিএনপির প্রার্থী শৈবাল নাকি প্রচার প্রচারনা চালতে পারছেনা এধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে শহরে পরিকল্পিত ভাবে। আমি কোন অবস্থাতেই বাগেরহাটের শান্তিপূর্ন পরিবেশ নষ্ট হতে দিব না। আপনারা জানেন বাগেরহাটে বিএনপির দুইটি পক্ষ একে অপরকে কিভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছে। সে ঘটনাকে ভিন্নখাতে পরিচালিত করতেই তাদের এই অপ-প্রচার। মত বিনিময় সভার সভাপতি বাগেরহাট জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ভুঁইয়া হেমায়েত হোসেন ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগ নেতা নকিব নজিবুল হক নজু বলেন, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দূঃসময়ের কান্ডারী নৌকার প্রার্থী খান হাবিবুর রহমান। বিএনপি – জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তিনি ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়েই বাগেরহাট পৌর সভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি পৌর সভার উন্নয়ন করেছেন। এই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখেতেই আওয়ামী লীগের দলীয় সভানেত্রী বাগেরহাটের জনপ্রিয় এই নেতাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি পৌর নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্দ করতেই নামে মাত্র একজন প্রার্থী দিয়েছেন। বাগেরহাট জেলা বিএনপির বিবাদমান এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে দীর্ঘ দিন লিপ্ত রয়েছে যা সংবাদকমীরা সব থেকে ভালো জানেন।

ট্যাগ :

দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনা

প্রকাশিত : ০৩:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

 

২০০৪ সালে চরমভাবে প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলাম। আমাকে মাজায় দড়ি দিয়ে আসামির মতো দিনে দুপুরে বাগেরহাট শহরে ঘুরানো হয়েছিল। শুধু তাই নয় আমার পোশা গরু বাড়ি থেকে ধরে জবাই করে আমার বাসার সামনে নাগেরবাজার মোড়ে ”হাবিখা ৫শ টাকা কেজি” বলে মাংশ বিক্রি করেছিল। তারা আজও এ শহরে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে- আমি তাদের আজ অবধি কোন প্রকার ক্ষতি সাধন করার চেষ্টা করিনি। কারণ আমি প্রতিহিংসার রাজনীতি করিনা। আমি একজন ফুটবল খেলোয়াড় ছিলাম, জয় পরাজয় মেনে নেয়ার মানসিকতা আমার ছোট বেলা থেকেই গড়েছি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা আমার পছন্দ। বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় আমি পৌর মেয়র হতে চাইনি। এতে কোন কৃতিত্ব নেই। সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় কালে বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামের অডিটরিয়ামে এমন কথা বললেন নৌকার প্রার্থী বাগেরহাট পৌর সভার একাধিবারের নির্বাচিত মেয়র খান হাবিবুর রহমান। আগামী ১৪ ফেব্রæয়ারী বাগেরহাট পৌর সভার নির্বাচন উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে মত বিনিময় সভার ধারাবাহিকতার দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের উদ্যেশে তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত আমি বাগেরহাট পৌর সভার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। বাগেরহাট শহরের কি উন্নয়ন করেছি তা ব্যাখা দিতে চাই না। সেবক হিসেবে কাজ করেছি মাত্র। জামায়াত বিএনপি জোট সরকারের আমালে বাগেরহাটে সব থেকে বেশি অপমানিত ও নির্যাতিত হয়েছি। কিন্ত কখনো প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে কারো কোন ক্ষতি করিনি। বিএনপির প্রার্থী শৈবাল নাকি প্রচার প্রচারনা চালতে পারছেনা এধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে শহরে পরিকল্পিত ভাবে। আমি কোন অবস্থাতেই বাগেরহাটের শান্তিপূর্ন পরিবেশ নষ্ট হতে দিব না। আপনারা জানেন বাগেরহাটে বিএনপির দুইটি পক্ষ একে অপরকে কিভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে চলেছে। সে ঘটনাকে ভিন্নখাতে পরিচালিত করতেই তাদের এই অপ-প্রচার। মত বিনিময় সভার সভাপতি বাগেরহাট জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ভুঁইয়া হেমায়েত হোসেন ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগ নেতা নকিব নজিবুল হক নজু বলেন, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের দূঃসময়ের কান্ডারী নৌকার প্রার্থী খান হাবিবুর রহমান। বিএনপি – জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তিনি ভোট যুদ্ধে অংশ নিয়েই বাগেরহাট পৌর সভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি পৌর সভার উন্নয়ন করেছেন। এই উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখেতেই আওয়ামী লীগের দলীয় সভানেত্রী বাগেরহাটের জনপ্রিয় এই নেতাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি পৌর নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্দ করতেই নামে মাত্র একজন প্রার্থী দিয়েছেন। বাগেরহাট জেলা বিএনপির বিবাদমান এক পক্ষ অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে দীর্ঘ দিন লিপ্ত রয়েছে যা সংবাদকমীরা সব থেকে ভালো জানেন।