০৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

নিউইয়র্ক গোয়েন্দা স্কোয়াডে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার গোলাপগঞ্জের শামসুল হক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশ বাহিনীর গোয়েন্দা স্কোয়াডে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শামসুল হক। শামসুল হকের বাড়ি সিলেটে গোলাপগঞ্জের বাঘা গ্রামে। স্ত্রী রুবিনা হক ও দুই ছেলে নিয়ে তিনি নিউইয়র্কের কুইন্সে বসবাস করেন।

গত শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) কুইন্সে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) একাডেমিতে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হিসেবে তিনি অভিষিক্ত হন। এর আগে তিনি এনওয়াইপিডি গোয়েন্দা স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন।

শামসুল হকের এক আত্বীয় বলেন, শামসুল হক বাংলাদেশে শিক্ষা জীবনের শুরুতে ঝরেপড়া এই প্রবাসী ১৯৯১ সালে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেন। শামসুল হক প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই পদোন্নতি পেয়েছেন। তার দুই ভাই আব্দুল হক এবং নজরুল হক বাংলাদেশে শিক্ষকতা করতেন।

তিনি আরোও জানান, শামসুল হক ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে তিনি রেস্তোরাঁয় বাস বয়, ডেলিভারিম্যান, ম্যানেজারসহ বিভিন্ন পদে চাকরি করেছেন। এর পরেও তিনি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান। শামসুল হক ১৯৯৭ সালে অর্জন করেন ডিপ্লোমা ডিগ্রি। পরে লাগার্ডিয়া কলেজ থেকে এএস এবং বারুক কলেজ থেকে বিবিএ করেন। বারুক কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি সিএনইওয়াই ট্রাস্টির চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন। পরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

২০০৪ সালের জানুয়ারিতে শামসুল হক এনওয়াইপিডিতে যোগদান করেন। তখন মুষ্টিমেয় কয়েকজন বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১০ সালে তাকে সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। ২০১৪ সালে তাকে লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি পান। পরে তিনি এনওয়াইপিডির অভিজাত অভ্যন্তরীণ বিষয়ক তদন্ত গ্রæপে যোগদান করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

কালীগঞ্জে বিম+ প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান

নিউইয়র্ক গোয়েন্দা স্কোয়াডে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার গোলাপগঞ্জের শামসুল হক

প্রকাশিত : ০৫:০৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক পুলিশ বাহিনীর গোয়েন্দা স্কোয়াডে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক শামসুল হক। শামসুল হকের বাড়ি সিলেটে গোলাপগঞ্জের বাঘা গ্রামে। স্ত্রী রুবিনা হক ও দুই ছেলে নিয়ে তিনি নিউইয়র্কের কুইন্সে বসবাস করেন।

গত শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) কুইন্সে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) একাডেমিতে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হিসেবে তিনি অভিষিক্ত হন। এর আগে তিনি এনওয়াইপিডি গোয়েন্দা স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন।

শামসুল হকের এক আত্বীয় বলেন, শামসুল হক বাংলাদেশে শিক্ষা জীবনের শুরুতে ঝরেপড়া এই প্রবাসী ১৯৯১ সালে মার্কিন মুলুকে পাড়ি দেন। শামসুল হক প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই পদোন্নতি পেয়েছেন। তার দুই ভাই আব্দুল হক এবং নজরুল হক বাংলাদেশে শিক্ষকতা করতেন।

তিনি আরোও জানান, শামসুল হক ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে তিনি রেস্তোরাঁয় বাস বয়, ডেলিভারিম্যান, ম্যানেজারসহ বিভিন্ন পদে চাকরি করেছেন। এর পরেও তিনি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান। শামসুল হক ১৯৯৭ সালে অর্জন করেন ডিপ্লোমা ডিগ্রি। পরে লাগার্ডিয়া কলেজ থেকে এএস এবং বারুক কলেজ থেকে বিবিএ করেন। বারুক কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি সিএনইওয়াই ট্রাস্টির চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন। পরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

২০০৪ সালের জানুয়ারিতে শামসুল হক এনওয়াইপিডিতে যোগদান করেন। তখন মুষ্টিমেয় কয়েকজন বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১০ সালে তাকে সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। ২০১৪ সালে তাকে লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি পান। পরে তিনি এনওয়াইপিডির অভিজাত অভ্যন্তরীণ বিষয়ক তদন্ত গ্রæপে যোগদান করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ