০৫:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

লিচুর গাছে গাছে মুকুলের সমাহার

সবুজ আর হালকা লাল পাতার মুখে উঁকি মারছে লিচুর মুকুল। মৌমাছিরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছে মধু সংগ্রহে। উপজেলার গ্রামগঞ্জের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থানের গাছে থোকায় থোকায় দুলছে লিচুর এ সোনালি মুকুল। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে খ্যাতি রয়েছে লিচুর জন্য। এখানকার লিচু গাছে মুকুল উঁকি দিয়েছে। ফলে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার লিচু চাষি ও বাগানিরা। গাছে মুকুল ধরে রাখতে বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন।ফাল্গুনের শেষ ভাগে কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, এখনো ৫০ শতাংশ লিচুগাছে মুকুল আসা বাকি। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে মুকুল আসতে শুরু হয়েছে। আর বাগান পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লিচু চাষিরা।

লিচু বাগানে পাখিদের আনা-গোনা, নয়নাভিরাম দৃশ্যে মুগ্ধ এই অঞ্চলের পথচারী ও এলাকাবাসী। লিচু চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে অধিকাংশ গাছেই মুকুল আসবে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে, তাহলে এবার লিচুর বাম্পার ফলন হবে। আর মুকুল এসে যেন ঝরে না পড়ে, তাই জন্য এখন থেকেই বাগানের দিকে নজর রাখছেন বাগান চাষিরা। সোনারগাঁওয়ের লিচু রসে ভরা, সুস্বাদু। দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে আগে বাজারে আসে বলে এর কদর রয়েছে দেশ-বিদেশে। গত কয়েক মৌসুম ধরে দেশের অনেক এলাকায় কমবেশি লিচু চাষ হলেও, মানুষের কাছে সোনারগাঁওয়ের লিচুর গ্রহণযোগ্যতাই আলাদা। পৌরসভার এলাকার লিচু চাষি আঃ মজিদ মিয়া জানান, লিচুর বাগানগুলোতে ফুল আসা থেকে লিচু আহরণ পর্যন্ত চাষিদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। গাছে মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গেই মুকুলকে টিকিয়ে রাখতে ওষুধ ছিটানো শুরু হয়। আর মুকুল গাছ থেকে যাতে ঝরে না পড়ে, সে জন্য গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি ও সার ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিশ এলাকার লিচু ব্যাবসায়ী শামসুল আলম সাফা মিয়া বলেন, গত বছর পোকার আক্রমনের কারণে ফলন একটু কম হয়েছিল। ফলে প্রায় দুই লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। এ অঞ্চলের লচুর মধ্যে কদমি বোম্বাই, চায়না থ্রি, ও পাতি লিচু উল্লেখযোগ্য। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার বলেন, মুকুল দেখা দেওয়ার আগ থেকে, কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। কোন সময়ে কোন কীটনাশক, বালাইনাশক ব্যবহার করা উচিত- সে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। লিচু চাষিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রেখে তাদের সঠিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

লিচুর গাছে গাছে মুকুলের সমাহার

প্রকাশিত : ০৩:৩০:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ মার্চ ২০২১

সবুজ আর হালকা লাল পাতার মুখে উঁকি মারছে লিচুর মুকুল। মৌমাছিরা ব্যস্ত হয়ে উঠেছে মধু সংগ্রহে। উপজেলার গ্রামগঞ্জের রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন স্থানের গাছে থোকায় থোকায় দুলছে লিচুর এ সোনালি মুকুল। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে খ্যাতি রয়েছে লিচুর জন্য। এখানকার লিচু গাছে মুকুল উঁকি দিয়েছে। ফলে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার লিচু চাষি ও বাগানিরা। গাছে মুকুল ধরে রাখতে বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন।ফাল্গুনের শেষ ভাগে কৃষি বিভাগ জানাচ্ছে, এখনো ৫০ শতাংশ লিচুগাছে মুকুল আসা বাকি। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে মুকুল আসতে শুরু হয়েছে। আর বাগান পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন লিচু চাষিরা।

লিচু বাগানে পাখিদের আনা-গোনা, নয়নাভিরাম দৃশ্যে মুগ্ধ এই অঞ্চলের পথচারী ও এলাকাবাসী। লিচু চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে অধিকাংশ গাছেই মুকুল আসবে। যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে, তাহলে এবার লিচুর বাম্পার ফলন হবে। আর মুকুল এসে যেন ঝরে না পড়ে, তাই জন্য এখন থেকেই বাগানের দিকে নজর রাখছেন বাগান চাষিরা। সোনারগাঁওয়ের লিচু রসে ভরা, সুস্বাদু। দেশের অন্যান্য এলাকার চেয়ে আগে বাজারে আসে বলে এর কদর রয়েছে দেশ-বিদেশে। গত কয়েক মৌসুম ধরে দেশের অনেক এলাকায় কমবেশি লিচু চাষ হলেও, মানুষের কাছে সোনারগাঁওয়ের লিচুর গ্রহণযোগ্যতাই আলাদা। পৌরসভার এলাকার লিচু চাষি আঃ মজিদ মিয়া জানান, লিচুর বাগানগুলোতে ফুল আসা থেকে লিচু আহরণ পর্যন্ত চাষিদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায়। গাছে মুকুল আসার সঙ্গে সঙ্গেই মুকুলকে টিকিয়ে রাখতে ওষুধ ছিটানো শুরু হয়। আর মুকুল গাছ থেকে যাতে ঝরে না পড়ে, সে জন্য গাছের গোড়ায় নিয়মিত পানি ও সার ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিশ এলাকার লিচু ব্যাবসায়ী শামসুল আলম সাফা মিয়া বলেন, গত বছর পোকার আক্রমনের কারণে ফলন একটু কম হয়েছিল। ফলে প্রায় দুই লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়েছে। এ অঞ্চলের লচুর মধ্যে কদমি বোম্বাই, চায়না থ্রি, ও পাতি লিচু উল্লেখযোগ্য। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার বলেন, মুকুল দেখা দেওয়ার আগ থেকে, কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। কোন সময়ে কোন কীটনাশক, বালাইনাশক ব্যবহার করা উচিত- সে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। লিচু চাষিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রেখে তাদের সঠিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।