১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

মীরসরাইয়ে সূর্যমুখীতে স্বপ্ন বুনছেন জাহিদ, বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান ও সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন উপজেলা করেরহাট ইউনিয়নের ছত্তরুয়া গ্রামের মো. জাহিদুল আজিজ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর মীরসরাইয়ের, ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের জাহিদ ছত্তরুয়া গ্রামের তার নিজস্ব ১৮শতক জমিতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সমেয় ১৮শ বীজ দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। চলতি বছরের মার্চমাসে গাছে ফুল ধরেছে। আর এই ফুল দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভিড় করছেন।

সরজমিনে গেলে দেখা যায়, জাহিদের বাগান দেখতে প্রতিদিন নানান শ্রেণি পেশার মানুষ সেখানে ভিড় করছেন। বাগান ঘুরে দেখার পাশাপাশি মুঠোফোনের ক্যামেরায় বন্ধি করছেন ফুলের দৃশ্য।

ছত্তরুয়া গ্রামের সূর্যমুখী ফুলচাষি জাহিদুল আজিজ জানান, তিনি পড়াশোনা শেষ করে এবছর উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে তিনি প্রথমবারের মতো হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। ইতোমধ্যেই প্রতিটি গাছে ফুল ধরেছে। সূর্যমুখী চাষে এবার সফলতা ও লাভের আশা করছেন তিনি।

কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দিয়েছে। বাগানে ফুল আসার পর প্রতিদিনই লোকজন আসছে বাগান দেখতে। তিনিও আশা করছেন সূর্যমুখী চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার।

মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘু নাথ নাহা বলেন, এর আগে এই উপজেলার কোন কৃষক সূর্যমুখী ফুলের চাষ করতেন না। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারই প্রথম সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে উপজেলার ১টি ইউনিয়নে ১৮ শতক জমিতে ১ জন কৃষক সূর্যমুখী চাষ করেছেন। সূর্যমুখী বীজ রোপণের ৯০-১০৫ দিনের মধ্যেই কৃষকরা ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারবেন। এই সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে ভোজ্য তেল, খৈল ও মধু পাওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে চাষিদেরকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করেছি। সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদেরকে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আশা করি ফলন খুবই ভালো হবে। আগামীতে আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :

মীরসরাইয়ে সূর্যমুখীতে স্বপ্ন বুনছেন জাহিদ, বাড়ছে দর্শনার্থীদের ভিড়

প্রকাশিত : ০৮:৪৬:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষ করে আর্থিকভাবে লাভবান ও সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন উপজেলা করেরহাট ইউনিয়নের ছত্তরুয়া গ্রামের মো. জাহিদুল আজিজ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর মীরসরাইয়ের, ১ নং করেরহাট ইউনিয়নের জাহিদ ছত্তরুয়া গ্রামের তার নিজস্ব ১৮শতক জমিতে ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সমেয় ১৮শ বীজ দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। চলতি বছরের মার্চমাসে গাছে ফুল ধরেছে। আর এই ফুল দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভিড় করছেন।

সরজমিনে গেলে দেখা যায়, জাহিদের বাগান দেখতে প্রতিদিন নানান শ্রেণি পেশার মানুষ সেখানে ভিড় করছেন। বাগান ঘুরে দেখার পাশাপাশি মুঠোফোনের ক্যামেরায় বন্ধি করছেন ফুলের দৃশ্য।

ছত্তরুয়া গ্রামের সূর্যমুখী ফুলচাষি জাহিদুল আজিজ জানান, তিনি পড়াশোনা শেষ করে এবছর উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে তিনি প্রথমবারের মতো হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। ইতোমধ্যেই প্রতিটি গাছে ফুল ধরেছে। সূর্যমুখী চাষে এবার সফলতা ও লাভের আশা করছেন তিনি।

কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দিয়েছে। বাগানে ফুল আসার পর প্রতিদিনই লোকজন আসছে বাগান দেখতে। তিনিও আশা করছেন সূর্যমুখী চাষ করে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার।

মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘু নাথ নাহা বলেন, এর আগে এই উপজেলার কোন কৃষক সূর্যমুখী ফুলের চাষ করতেন না। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারই প্রথম সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে উপজেলার ১টি ইউনিয়নে ১৮ শতক জমিতে ১ জন কৃষক সূর্যমুখী চাষ করেছেন। সূর্যমুখী বীজ রোপণের ৯০-১০৫ দিনের মধ্যেই কৃষকরা ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারবেন। এই সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে ভোজ্য তেল, খৈল ও মধু পাওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে চাষিদেরকে বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করেছি। সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদেরকে বিনামূল্যে সূর্যমুখীর বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আশা করি ফলন খুবই ভালো হবে। আগামীতে আরও বেশি জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর