০৫:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

রূপগঞ্জে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাদুর!

গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত এক নাম বাদুর। গ্রামের নিস্তব্ধ ও বড় ঝোপ বিশিষ্ট গাছগুলোতে এদের দেখা যেত। কিচির মিচির ডাক, কখনোবা রাতের আকাশেও ঝাক বেধে উড়তে দেখা যেত। এখনকার অবস্থাটা ভিন্ন। নানা কারণে বাদুর আজ বিলুপ্তির পথে। কয়েক বছর আগেও হাজার হাজর বাদুর দেখা যেত। সে তুলনায় এখন আর দেখা জায় না। শিকারীর উপদ্রপ, বনভূমি ধ্বংসই বাদুর বিলুপ্তির কারণ।

জানা যায়, বাদুর একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী যা পাখার সাহায্যে আকাশে উড়তে সক্ষম। বাদুর কোন পাখি নয়, এটি পৃথিবীর একমাত্র উড্ডয়ন ক্ষমতা বিশিষ্ট স্তন্যপায়ী প্রাণী। পৃথিবীতে প্রায় ১১০০ প্রজাতির বাদুর রয়েছে। এর মধ্যে ২০ভাগ স্তন্যপায়ী ও ৭০ভাগ পতঙ্গভূক (পোকা-মাকড় খায়) আর বাকিরা ফল-মূল খেয়ে থাকে।

বাদুর একটি নিশাচর প্রাণী। দিনের বেলায় তাদের বিচরণ কম থাকলেও রাতের বেলায় তারা খাবারের সন্ধানে বের হয়। দিনের আলোতে গাছের মগডালে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে। এদের দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত কম। তারা শ্রবন শক্তির উপর নির্ভর করে চলাফেরা করে। তবে বিলুপ্তি প্রায় বাদুর গুলো নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নে মিরকুটিরছেও গ্রামের মরহুম আব্দুল বারিক ভূইয়া বাড়ির কড়ই গাছে দেখা যায়।

উপজেলার মিরকুটিরছেও গ্রামের জান্নাতি আক্তার জিম বেগম বলেন, ১০ বছর আগেও বাদুরের উপদ্রবে গাছের ফলমূল রাখা যেত না। বাড়ির আঙ্গিনায় বড় বড় গাছের উপরের ডালে মুখ নিচের দিকে দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখতাম। এখন আর দেখি না।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়া পান্না সোহেল বলেন, বাদুর এখন দুর্লব প্রাণী। আমার ইউনিয়নে করই গাছে এত সুন্দর বাদুরের ঝাক, দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আগের মত জোপ-ঝাড় ও ফল গাছ না থাকায় এখন আর আগের মত বাদুর দেখা যায় না। আগে হিন্দুরা অনেক ফল বৃক্ষ রোপন করত। এখন তারাও নাই ফল গাছও কম।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফাতেহা নুর বলেন, বাদুর একটি নিশাচর প্রাণী। এরা কৃষির কোন ক্ষতি করে না বরং উপকারী করে। এরা রাতে খাবারের জন্য বের হয়। তিনি আরো বলেন ইদুর তাদের প্রধান খাদ্য পাশাপাশি এরা ফল ও বড় ধরনের পোকা মাকর খায়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

রূপগঞ্জে কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাদুর!

প্রকাশিত : ০৪:১৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

গ্রাম বাংলার অতি পরিচিত এক নাম বাদুর। গ্রামের নিস্তব্ধ ও বড় ঝোপ বিশিষ্ট গাছগুলোতে এদের দেখা যেত। কিচির মিচির ডাক, কখনোবা রাতের আকাশেও ঝাক বেধে উড়তে দেখা যেত। এখনকার অবস্থাটা ভিন্ন। নানা কারণে বাদুর আজ বিলুপ্তির পথে। কয়েক বছর আগেও হাজার হাজর বাদুর দেখা যেত। সে তুলনায় এখন আর দেখা জায় না। শিকারীর উপদ্রপ, বনভূমি ধ্বংসই বাদুর বিলুপ্তির কারণ।

জানা যায়, বাদুর একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী যা পাখার সাহায্যে আকাশে উড়তে সক্ষম। বাদুর কোন পাখি নয়, এটি পৃথিবীর একমাত্র উড্ডয়ন ক্ষমতা বিশিষ্ট স্তন্যপায়ী প্রাণী। পৃথিবীতে প্রায় ১১০০ প্রজাতির বাদুর রয়েছে। এর মধ্যে ২০ভাগ স্তন্যপায়ী ও ৭০ভাগ পতঙ্গভূক (পোকা-মাকড় খায়) আর বাকিরা ফল-মূল খেয়ে থাকে।

বাদুর একটি নিশাচর প্রাণী। দিনের বেলায় তাদের বিচরণ কম থাকলেও রাতের বেলায় তারা খাবারের সন্ধানে বের হয়। দিনের আলোতে গাছের মগডালে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকে। এদের দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত কম। তারা শ্রবন শক্তির উপর নির্ভর করে চলাফেরা করে। তবে বিলুপ্তি প্রায় বাদুর গুলো নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নে মিরকুটিরছেও গ্রামের মরহুম আব্দুল বারিক ভূইয়া বাড়ির কড়ই গাছে দেখা যায়।

উপজেলার মিরকুটিরছেও গ্রামের জান্নাতি আক্তার জিম বেগম বলেন, ১০ বছর আগেও বাদুরের উপদ্রবে গাছের ফলমূল রাখা যেত না। বাড়ির আঙ্গিনায় বড় বড় গাছের উপরের ডালে মুখ নিচের দিকে দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখতাম। এখন আর দেখি না।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহারিয়া পান্না সোহেল বলেন, বাদুর এখন দুর্লব প্রাণী। আমার ইউনিয়নে করই গাছে এত সুন্দর বাদুরের ঝাক, দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আগের মত জোপ-ঝাড় ও ফল গাছ না থাকায় এখন আর আগের মত বাদুর দেখা যায় না। আগে হিন্দুরা অনেক ফল বৃক্ষ রোপন করত। এখন তারাও নাই ফল গাছও কম।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফাতেহা নুর বলেন, বাদুর একটি নিশাচর প্রাণী। এরা কৃষির কোন ক্ষতি করে না বরং উপকারী করে। এরা রাতে খাবারের জন্য বের হয়। তিনি আরো বলেন ইদুর তাদের প্রধান খাদ্য পাশাপাশি এরা ফল ও বড় ধরনের পোকা মাকর খায়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ