১১:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে গাড়ি উৎপাদনে আগ্রহ জাপানের

বাংলাদেশে জাপানের বিখ্যাত একটি কোম্পানি গাড়ি উৎপাদন করতে চায় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার (১৩ জুন) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বিষয়ে দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে আসেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এসময় তিনি এ তথ্য জানান।

সচিব বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে গাড়ি উৎপাদনে এরইমধ্যে আমাদেরকে জাপানের রাষ্ট্রদূত একটি অফার দিয়ে গেছেন, আমার সঙ্গেও কথা বলেছেন। ওনারা জাপানের একটি বিখ্যাত কোম্পানি, এখানেই গাড়ি উৎপাদন করতে চায়।’

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘অটোমোবাইল শিল্প নীতিমালা-২০২১’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশে অটোমোবাইল শিল্প ডেভেলপের একটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আর আমাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনেও এ শিল্প ডেভেলপ করা দরকার। যে পরিমাণে মুভমেন্ট হচ্ছে, কাজকর্ম হচ্ছে তাতে আমরা শুধু আমদানি করব সেটা নয়, সেজন্য নিজেদেরও কিছু ডেভেলপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

অনেক কিছু চালু আছে, সেগুলোকে সিস্টেমেটিক ওয়েতে নিয়ে আসার জন্য চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেজন্য এই অটোমোবাইল শিল্প ডেভেলপ নীতিমালা আনা হয়েছে। এ নীতিমালার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘অটোমোবাইল, অটো যন্ত্র উৎপাদন, ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে দেশীয় শিল্পকে বিকশিত করা। স্থানীয় অটোমোবাইল উৎপাদনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ও যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি করা। যাতে করে সাশ্রয়ী মূলে বাংলাদেশে গাড়ি উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি হয়।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা হয়তো মিডিয়াতে দেখে থাকবেন, এর মধ্যে ১ লাখ বা ১ লাখ ১৪/১৫ হাজার টাকার মধ্যে তিন-চারজন যাওয়ার মতো ইলেকট্রিক/কারেন্ট (উৎপাদন) গাড়ি উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। এগুলো নীতিমালায় আসবে। অটোমোবাইলের যন্ত্রাংশ বা পার্টস আমরা যাতে নিজেরাই বানাতে পারি সেটাও এখানে আনা হয়েছে।’

বৈঠকে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। সচিব বলেন, ‘পাবলিক ট্রান্সপোর্টকে আরও স্ট্রং করতে হবে।’

সাবওয়ে নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মধ্যে তো ডেফেনেটলি এটি পড়বে। এমআরটিতো হয়েই যাচ্ছে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট তখন অনেক কমফোর্টেবল হয়ে যাবে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

বাংলাদেশে গাড়ি উৎপাদনে আগ্রহ জাপানের

প্রকাশিত : ০৬:৫৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

বাংলাদেশে জাপানের বিখ্যাত একটি কোম্পানি গাড়ি উৎপাদন করতে চায় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সোমবার (১৩ জুন) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের বিষয়ে দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে আসেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এসময় তিনি এ তথ্য জানান।

সচিব বলেন, সাশ্রয়ী মূল্যে গাড়ি উৎপাদনে এরইমধ্যে আমাদেরকে জাপানের রাষ্ট্রদূত একটি অফার দিয়ে গেছেন, আমার সঙ্গেও কথা বলেছেন। ওনারা জাপানের একটি বিখ্যাত কোম্পানি, এখানেই গাড়ি উৎপাদন করতে চায়।’

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘অটোমোবাইল শিল্প নীতিমালা-২০২১’ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দেশে অটোমোবাইল শিল্প ডেভেলপের একটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আর আমাদের ব্যক্তিগত প্রয়োজনেও এ শিল্প ডেভেলপ করা দরকার। যে পরিমাণে মুভমেন্ট হচ্ছে, কাজকর্ম হচ্ছে তাতে আমরা শুধু আমদানি করব সেটা নয়, সেজন্য নিজেদেরও কিছু ডেভেলপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

অনেক কিছু চালু আছে, সেগুলোকে সিস্টেমেটিক ওয়েতে নিয়ে আসার জন্য চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সেজন্য এই অটোমোবাইল শিল্প ডেভেলপ নীতিমালা আনা হয়েছে। এ নীতিমালার উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে সচিব বলেন, ‘অটোমোবাইল, অটো যন্ত্র উৎপাদন, ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে দেশীয় শিল্পকে বিকশিত করা। স্থানীয় অটোমোবাইল উৎপাদনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ও যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি করা। যাতে করে সাশ্রয়ী মূলে বাংলাদেশে গাড়ি উৎপাদনের সুযোগ সৃষ্টি হয়।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা হয়তো মিডিয়াতে দেখে থাকবেন, এর মধ্যে ১ লাখ বা ১ লাখ ১৪/১৫ হাজার টাকার মধ্যে তিন-চারজন যাওয়ার মতো ইলেকট্রিক/কারেন্ট (উৎপাদন) গাড়ি উৎপাদন শুরু হয়ে গেছে। এগুলো নীতিমালায় আসবে। অটোমোবাইলের যন্ত্রাংশ বা পার্টস আমরা যাতে নিজেরাই বানাতে পারি সেটাও এখানে আনা হয়েছে।’

বৈঠকে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। সচিব বলেন, ‘পাবলিক ট্রান্সপোর্টকে আরও স্ট্রং করতে হবে।’

সাবওয়ে নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মধ্যে তো ডেফেনেটলি এটি পড়বে। এমআরটিতো হয়েই যাচ্ছে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট তখন অনেক কমফোর্টেবল হয়ে যাবে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর