১১:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ধামাকা শপিংয়ে সেলারদের ২০০ কোটি টাকার হদিস নেই!

বাংলাদেশে ই-কমার্সে শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথম অবস্থায় সকল প্রতিষ্ঠানগুলো একতালে চললেও হঠাৎ ই-কামর্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালি বিশাল পরিমান ছাড় নিয়ে নতুনত্ব নিয়ে আসার পর থেকে দেশের ই-কমার্সে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। একে একে ধামাকা শিপিং, আলিশামার্ট, শিরাজগঞ্জ শপিংসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির পলিসি নিয়ে সারা ফেলে বাংলাদেশে।  ই-কমার্স নিয়ে গেল মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনার পর থেকে অনেকটা সমস্যায় পরে যায় এই প্রতিষ্ঠানগুলো এতে করে ভোক্তাসহ যে সকল উদ্যোক্তারা পন্য সাপ্লায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান গুলোকে সেবা প্রদান করে আসছিলো তারা বিল না পেয়ে বিপাকে পরে যায় এবং পন্য সরবরাহ বন্ধ করে।

গতকাল থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মাইক্রোটেক গ্রুপের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিংয়ের সকল পরিচালকরা মোবাইল বন্ধ করে সাপ্লাইয়ারদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।  শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে ধামাকার পরিচালকদের ফোনে না পেয়ে সেলাররা জড়ো হয় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. মুযতবা আলির বাসার সামনে। এসময় তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বলে অস্বীকার করলে বিভ্রান্তি তৈরি হয় সেলারদের মাঝে।

এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় এবং বানজ্যিমন্ত্রনালয়রে সহযোগিতা এবং দ্রুত সমাধান চয়ে উদ্যোক্তরা জানান, আমাদের প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাওনা ধামাকার নিকট তাই যত দ্রুত সম্ভব ধামাকার প্রধান কোম্পানির সকল ব্যাংক একাউন্ট এবং প্রতিষ্ঠানের চয়োরম্যান ডা. মুযতবা আলি, এমডি জসিমউদ্দীন চিশতিসহ সকল পরিচালকদের দেশ ত্যাগে নিষেজ্ঞার জারি করার দাবি তাদের।

সেলাররা ঈদের আগে সকল পাওনা ফিরত চেয়ে প্রতষ্ঠিানের সকল পরিচালকদের বিরুদ্ধে সরকারের সকল দপ্তরের নিকট দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ই-কমার্স নিয়ন্ত্রক সংস্থা ই-ক্যাবের কমিউনিকেশন পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ সকল বিষয় গুলো প্রতিষ্ঠানের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দীন দেখছেন। সহ-সভাপতির সাথে বারবার যেগাযেগের চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেন নি।

এদিকে ইভ্যালিসহ ১৪টি ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে সিআইডি। ইতোমধ্যে ধামাকা শপিংয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। পর্যায়ক্রমে অন্যগুলোর বিষয়েও একধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুরু

ধামাকা শপিংয়ে সেলারদের ২০০ কোটি টাকার হদিস নেই!

প্রকাশিত : ০৯:২৪:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ জুলাই ২০২১

বাংলাদেশে ই-কমার্সে শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথম অবস্থায় সকল প্রতিষ্ঠানগুলো একতালে চললেও হঠাৎ ই-কামর্স প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালি বিশাল পরিমান ছাড় নিয়ে নতুনত্ব নিয়ে আসার পর থেকে দেশের ই-কমার্সে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। একে একে ধামাকা শিপিং, আলিশামার্ট, শিরাজগঞ্জ শপিংসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান ই-ভ্যালির পলিসি নিয়ে সারা ফেলে বাংলাদেশে।  ই-কমার্স নিয়ে গেল মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনার পর থেকে অনেকটা সমস্যায় পরে যায় এই প্রতিষ্ঠানগুলো এতে করে ভোক্তাসহ যে সকল উদ্যোক্তারা পন্য সাপ্লায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান গুলোকে সেবা প্রদান করে আসছিলো তারা বিল না পেয়ে বিপাকে পরে যায় এবং পন্য সরবরাহ বন্ধ করে।

গতকাল থেকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান মাইক্রোটেক গ্রুপের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ধামাকা শপিংয়ের সকল পরিচালকরা মোবাইল বন্ধ করে সাপ্লাইয়ারদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।  শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকে ধামাকার পরিচালকদের ফোনে না পেয়ে সেলাররা জড়ো হয় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. মুযতবা আলির বাসার সামনে। এসময় তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বলে অস্বীকার করলে বিভ্রান্তি তৈরি হয় সেলারদের মাঝে।

এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় এবং বানজ্যিমন্ত্রনালয়রে সহযোগিতা এবং দ্রুত সমাধান চয়ে উদ্যোক্তরা জানান, আমাদের প্রায় ২০০ কোটি টাকা পাওনা ধামাকার নিকট তাই যত দ্রুত সম্ভব ধামাকার প্রধান কোম্পানির সকল ব্যাংক একাউন্ট এবং প্রতিষ্ঠানের চয়োরম্যান ডা. মুযতবা আলি, এমডি জসিমউদ্দীন চিশতিসহ সকল পরিচালকদের দেশ ত্যাগে নিষেজ্ঞার জারি করার দাবি তাদের।

সেলাররা ঈদের আগে সকল পাওনা ফিরত চেয়ে প্রতষ্ঠিানের সকল পরিচালকদের বিরুদ্ধে সরকারের সকল দপ্তরের নিকট দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ই-কমার্স নিয়ন্ত্রক সংস্থা ই-ক্যাবের কমিউনিকেশন পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ সকল বিষয় গুলো প্রতিষ্ঠানের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দীন দেখছেন। সহ-সভাপতির সাথে বারবার যেগাযেগের চেষ্টা করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেন নি।

এদিকে ইভ্যালিসহ ১৪টি ই–কমার্স প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছে সিআইডি। ইতোমধ্যে ধামাকা শপিংয়ের ব্যাংক হিসাব জব্দের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। পর্যায়ক্রমে অন্যগুলোর বিষয়েও একধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।