রংপুরে গরম মসলার দাম কমার পরেও তেমন ক্রেতা না আসায় হতাশা আর চিন্তায় পড়েছেন মসলা ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন গত ঈদে গরম মসলার ব্যবসা ভালোও হয়েছে। মানুষের ভিড়ে বাজার ছিলো জাকজমক। এদিকে, কোরবানির ঈদের বাকি আছে আর মাত্র একদিন। কিন্তু সেই তুলনায় বাজারে ব্যবসা নেই বলে চলে। গরু মাংস থেকে শুরু করে যে কোন মাংসে ও বিভিন্ন পদের রান্নায় প্রধান অনুষঙ্গ হলো গরম মসলা।
সোমবার (১৯ জুলাই) রংপুর মহানগরীর মসলার বাজার গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতা শুন্য মসলার বাজার। এমনিতেই ঈদের আগে কমবেশী সবাই মসলা কিনতে দোকানে ভীড় করলেও এবার তেমন ভীড় নেই।
বাজারে মসলার দাম কমলেও ক্রেতারা আসছেনা। অন্যান্য সময় প্রতি কেজি কালো এলাচ ১২০০ টাকায় বিক্রি হলেও তা এখন ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২৫০০ টাকা কেজির সাদা এলাচের দাম কমে ১৫০০ টাকা, ৩৫০ টাকার জিরা ২৬০ টাকা, দাম কমেছে গোলমরিচের ৭০০-৮০০ টাকা কেজির গোল মরিচের দাম নেমে ৫০০ টাকা। এছাড়া কমেছে রান্নার অন্যান্য মসলার দাম।
আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পুরোবছরের মসলা আমদানি করে ব্যবসায়ীরা। কিন্ত বেচাকেনা না হওয়া এবং ঈদের পর লকডাউনের জন্য ব্যবসায় লোকসান হবে বলে জানিয়েছে তারা।
রংপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালের মসলা ব্যবসায়ী সহিদুল হক জানান, ঈদের সময় দোকানে ক্রেতা সামলানোও মুশকিল হয়ে যায়। কিন্ত এবার স্বাভাবিক ক্রেতা পাওয়াই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রংপুর সিটি বাজারের আরেক মসলা ব্যবসায়ী কাজী আব্দুল রশিদ জানান, এমনিতেই বেচাকেনা নাই তার উপর ঈদের পর লকডাউন। এখন ঈদের বাজার ধরতে যেগুলো মসলা আনা হয়েছে তাতে ব্যপক লোকসান হবে বলেও জানান তিনি।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ


























