ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। গতকাল একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যের এক বক্তব্যের পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
বেসরকারি টেলিভিশনের প্রচারিত ওই প্রতিবেদনের বক্তব্যে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট মাত্র ১৫ দিন আগে ভর্তি হয়েছেন। এর আগে ছিলেন কারাগারে। অর্থাৎ সেই হিসাবে তিনি ভর্তি হয়েছেন ২৭ জুলাই। কার্ডিওলজি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন। একবার চলে গিয়ে আবার ফেরত এসেছেন। হয়তো এর আগে থেকেই আছেন। কিন্তু এখন একজন আছেন ১০ দিন। অন্য একজন ১৫ দিন। ১৫ দিন আছেন সম্রাট।’
প্রচারিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, ‘২৪৪ দিন ইসমাইল হোসেন সম্রাট কোথায় ছিলেন? কারাগারের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গতকাল শুক্রবার রাতে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার বলেন, ‘আমরা ১৫ দিন পর পরিচালক বরাবর চিঠি দিই সুস্থ হলে তাকে ফেরত দেওয়ার জন্য। আমাদের চিঠি স্তূপ হয়ে গেছে। যদি উনি (সম্রাট) ভর্তিই না থাকেন, তা হলে আমাদের কেন বললেন না? আমাদের কাছে তো ভর্তি নেই।’ বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত ওই সংবাদ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সম্রাট কবে থেকে কবে ছিল তা তো টেলিভিশনের খবরেই প্রচার করা হয়েছে। কেন যে তিনি (বিএসএমএমইউর ভিসি) এভাবে বক্তব্য দিলেন বুঝতে পারছি না।’
উল্লেখ্য, ক্যাসিনোকা- অভিযানে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ


























