০৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল না হওয়ায় হাইকোর্টের ক্ষোভ

২০০৪ সালের সংশোধিত রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ২ ধারায় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিলের ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়। অথচ ১৭ বছরেও তা হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এসংক্রান্ত শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের ওপর শুনানি হয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারের উদ্দেশে আদালত আরো বলেন, ‘১৭ বছরেও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারেননি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলেন। কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, জানান। ব্যবস্থা না নেওয়া হয়ে থাকলে প্রয়োজনে সচিবকে ডেকে আনা হবে।’

এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, ২০১৩ সালে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। বিচারক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। জবাবে আদালত বলেন, ‘গ্রামারের কথা এই আদালতে বলবেন না।’

ডেমরার ডগার মৌজায় অবস্থিত সাড়ে চার কাঠা জমি নিয়ে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের দুটি রায় ও সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে মো. আশরারুল আজিম ওই রিট করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নসীব কায়সার।

নসীব কায়সার বলেন, ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ২০০৪ সালে সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা রয়েছে। সংশোধনীর পর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলেও আপিল ট্রাইব্যুনাল এখনো গঠন করা হয়নি।

জানা যায়, ২০০৪ সালের সংশোধিত রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ২ ধারায় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিলের ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়। আইন অনুযায়ী দেশে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালগুলোর নেতৃত্বে আছেন যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের বিচারক। কিন্তু ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল না থাকায় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের রায়, ডিক্রি ও আদেশে সংক্ষুব্ধ বিচারপ্রার্থী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

২০১৯ সালের ২৫ জুলাই হাইকোর্ট এক রায়ে অনুলিপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আদালতকে অবহিত করতে ভূমিসচিবকে নির্দেশ দেন।

ওই রায়ে বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছরেও ভূমি মন্ত্রণালয় আপিল ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করতে না পারায় লাখ লাখ মানুষ চরম ও সীমাহীন দুর্ভোগে নিমজ্জিত হয়েছে। যাদের কারণে সাধারণ মানুষকে দীর্ঘ ১৫ বছর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয় রায়ে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মোঃ ফয়সল

ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল না হওয়ায় হাইকোর্টের ক্ষোভ

প্রকাশিত : ১২:১৭:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

২০০৪ সালের সংশোধিত রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ২ ধারায় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিলের ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়। অথচ ১৭ বছরেও তা হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এসংক্রান্ত শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন আদালত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের ওপর শুনানি হয়।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমারের উদ্দেশে আদালত আরো বলেন, ‘১৭ বছরেও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে পারেননি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলেন। কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, জানান। ব্যবস্থা না নেওয়া হয়ে থাকলে প্রয়োজনে সচিবকে ডেকে আনা হবে।’

এ সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, ২০১৩ সালে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। বিচারক নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। জবাবে আদালত বলেন, ‘গ্রামারের কথা এই আদালতে বলবেন না।’

ডেমরার ডগার মৌজায় অবস্থিত সাড়ে চার কাঠা জমি নিয়ে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের দুটি রায় ও সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে মো. আশরারুল আজিম ওই রিট করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নসীব কায়সার।

নসীব কায়সার বলেন, ১৯৫০ সালের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ২০০৪ সালে সংশোধন করা হয়। সংশোধনীতে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা রয়েছে। সংশোধনীর পর ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলেও আপিল ট্রাইব্যুনাল এখনো গঠন করা হয়নি।

জানা যায়, ২০০৪ সালের সংশোধিত রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ২ ধারায় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল ও ল্যান্ড সার্ভে আপিলের ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়। আইন অনুযায়ী দেশে ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালগুলোর নেতৃত্বে আছেন যুগ্ম জেলা জজ পর্যায়ের বিচারক। কিন্তু ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল না থাকায় ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের রায়, ডিক্রি ও আদেশে সংক্ষুব্ধ বিচারপ্রার্থী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।

২০১৯ সালের ২৫ জুলাই হাইকোর্ট এক রায়ে অনুলিপি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ল্যান্ড সার্ভে আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে আদালতকে অবহিত করতে ভূমিসচিবকে নির্দেশ দেন।

ওই রায়ে বলা হয়, ২০০৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৫ বছরেও ভূমি মন্ত্রণালয় আপিল ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করতে না পারায় লাখ লাখ মানুষ চরম ও সীমাহীন দুর্ভোগে নিমজ্জিত হয়েছে। যাদের কারণে সাধারণ মানুষকে দীর্ঘ ১৫ বছর ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয় রায়ে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার