আজ থেকে অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। একই সঙ্গে এখন থেকে অনিবন্ধিত মোবাইল উৎপাদন বা আমদানি বা ক্রয়/বিক্রয় করলে টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, বিটিআরসি কর্তৃক জাতীয় পরিচয়পত্র ও নিবন্ধিত সিম কার্ডের সঙ্গে ট্যাগিং করে প্রতিটি মোবাইল ফোন নিবন্ধনের মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রহণ/প্রদান নিশ্চিত করা, অবৈধভাবে উৎপাদিত বা আমদানি করা মোবাইল ব্যবহার বন্ধের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত, ব্যবহৃত মোবাইল চুরি ও অবৈধ ব্যবহার রোধ এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসমূহকে সহায়তার জন্য গত ১ জুলাই ন্যাশনাল ইক্যুপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টাারের (এনইআইআর) কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আগামীকাল ১ অক্টোবর থেকে সব অবৈধ হ্যান্ডসেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল ক্রয়ের আগে মেসেজ অপশন থেকে কণউ ও ১৫ ডিজিটের ওগঊও নম্বর লিখে (উদাহরণ- কণউ ১২৩৪৫৬৭৮৯০১২৩৪৫) ১৬০০২ নম্বরে পাঠিয়ে বৈধতা যাচাই করে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এছাড়া বৈধভাবে বিদেশ থেকে ব্যক্তিগতভাবে আনীত অথবা ক্রয়কৃত অথবা উপহারপ্রাপ্ত অনুমোদিত মোবাইল ব্যবহারের আগে িি.িহবরৎ.নঃৎপ.মড়া.নফ মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একই সঙ্গে কোনো আমদানিকারক/স্থানীয়ভাবে মোবাইল সংযোজন ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অনিবন্ধিত মোবাইল উৎপাদন/আমদানি এবং কোনো বিক্রেতা কর্তৃক অনিবন্ধিত মোবাইল বিক্রি না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। কোনো বিক্রেতা অবৈধ কোনো মোবাইল বিক্রি করলে ক্রেতার দাবি অনুযায়ী মোবাইলের মূল্য ফেরত দিতে হবে। বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (১ অক্টোবর) থেকে অনিবন্ধিত মোবাইলের গ্রাহককে এসএমএস পাঠিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হ্যান্ডসেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এসএমএসে গ্রাহককে জানানো হবে, ‘হ্যান্ডসেটটি অবৈধ, কিছুক্ষণের মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে’। এরআগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছিলেন, প্রায় ১৭ কোটি সিম আর ১০ কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্ত করা খুবই ডিফিকাল্ট কাজ ছিল। ৩০ জুলাই পর্যন্ত একটা ডেডলাইন দিয়েছিলাম। এ বিশাল ডাটাবেজের কাজটি শেষ করার জন্য অপারেটররা কিছুটা সময় চেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। তিনি বলেন, ‘দেখতে পাচ্ছি, বেআইনি মোবাইল সেট আমদানি বা চোরাচালান অব্যাহত আছে। এটার ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আমাদের এখানে যারা বৈধ ব্যবসা করেন এবং লোকাল ম্যানুফ্যাকচাররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে আমরা সিস্টেমটা ডেভেলপ করেছি। এ সিস্টেম ডেভেলপ করার পরও যেসব মোবাইল নিবন্ধিত হয়নি, সেগুলো ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের জন্য বলেছিলাম। এ ব্যাপারে বলেছি, সিম দিয়ে যেসব মোবাইল চালু আছে, সেগুলোর নিবন্ধন দেওয়ার জন্য। বৈধ-অবৈধ সেগুলো আমরা যাচাই করিনি।’ চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট শনাক্তের কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি। বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন পন্থায় অবৈধভাবে প্রবেশ করা এসব মোবাইল পরে বিচ্ছিন্ন করা হবে। এজন্য ন্যাশনাল ইক্যুপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম ব্যবহার করছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ। দেশে প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে বিটিআরসি। এতে মোবাইল গ্রাহকদের আতঙ্কিত না হওয়ার জন্যও বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
০৭:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম :
আজ থেকে বন্ধ হচ্ছে অনিবন্ধিত সব মোবাইল
-
নিজস্ব প্রতিবেদক - প্রকাশিত : ১২:০০:২৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ অক্টোবর ২০২১
- 178
ট্যাগ :
জনপ্রিয়


























