০৪:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪

স্বাস্থ্যের উধাও হওয়া ১৭টি নথি ছিল কেনাকাটাসংক্রান্ত

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে খোয়া গেছে ১৭টি নথি। বেশির ভাগ নথিই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটাসংক্রান্ত। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো হারিয়ে যায়। তিনি সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন।

শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার গতকাল কালের কণ্ঠকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ওই ফাইল হারিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি জিডি হয়েছে। দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সচিবালয় বন্ধ। রবিবার থেকে তদন্ত শুরু হবে।’

থানা পুলিশের পাশাপাশি এ ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থা। ফাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট সচিবালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছে।

সিআইডির বিশেষ সুপার মো. কামরুজ্জামান গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেহেতু থানায় জিডি হয়েছে, তাই এ ঘটনার তদন্ত করছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। অন্যান্য সংস্থার মতো আমরাও ছায়া তদন্ত করছি।’

মন্ত্রণালয়ের জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুরে কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের কেনাকাটাসংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, নিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়সংক্রান্ত নথি।

সূত্র মতে, খোয়া যাওয়া নথিগুলোর বেশির ভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত। এর বাইরে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে স্থবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাস্থ্যের উধাও হওয়া ১৭টি নথি ছিল কেনাকাটাসংক্রান্ত

প্রকাশিত : ১১:৪৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২১

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে খোয়া গেছে ১৭টি নথি। বেশির ভাগ নথিই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটাসংক্রান্ত। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

সচিবালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের লাগোয়া ঘর থেকে নথিগুলো হারিয়ে যায়। তিনি সচিবালয়ের ৩ নম্বর ভবনের ২৯ নম্বর কক্ষে বসেন।

শাহবাগ থানার ওসি মওদুত হাওলাদার গতকাল কালের কণ্ঠকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ওই ফাইল হারিয়ে যাওয়া নিয়ে একটি জিডি হয়েছে। দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সচিবালয় বন্ধ। রবিবার থেকে তদন্ত শুরু হবে।’

থানা পুলিশের পাশাপাশি এ ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থা। ফাইল খোয়া যাওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবারই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট সচিবালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছে।

সিআইডির বিশেষ সুপার মো. কামরুজ্জামান গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘যেহেতু থানায় জিডি হয়েছে, তাই এ ঘটনার তদন্ত করছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। অন্যান্য সংস্থার মতো আমরাও ছায়া তদন্ত করছি।’

মন্ত্রণালয়ের জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৭ অক্টোবর বুধবার অফিস করে নথিগুলো ফাইল কেবিনেটে রাখা হয়। পরদিন দুপুরে কাজ করতে গিয়ে দেখা যায় ফাইলগুলো কেবিনেটের মধ্যে নেই। জিডিতে ১৭টি নথির নম্বর ও বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজসহ অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের কেনাকাটাসংক্রান্ত একাধিক নথি, ইলেকট্রনিক ডাটা ট্র্যাকিংসহ জনসংখ্যাভিত্তিক জরায়ুমুখ ও স্তন ক্যান্সার স্ক্রিনিং কর্মসূচি, নিপোর্ট অধিদপ্তরের কেনাকাটা, ট্রেনিং স্কুলের যানবাহন বরাদ্দ ও ক্রয়সংক্রান্ত নথি।

সূত্র মতে, খোয়া যাওয়া নথিগুলোর বেশির ভাগই স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অধীন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও বিভাগের কেনাকাটা সম্পর্কিত। এর বাইরে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক প্রকল্পের নথি খোয়া গেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার