০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফেস নিয়ে আমি খেলা করতে পছন্দ করি: জিনিয়া সুলতানা মৌ

  • বাবুল হৃদয়
  • প্রকাশিত : ০৯:০২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
  • 36

জিনিয়া সুলতানা মৌ

মেকআপ এক্সপার্ট বা মেকাপ আর্টিস্টদের সম্পর্কে কতটুকুই বা জানি আমরা। কৌতূহল তো থেকেই যায়। এই কৌতূহল কমাতে সাজগোজ তার মেকআপপ্রেমী বন্ধুদের জন্য স্প্যাশাল ইন্টারভিউ হলে কেমন হয় বলো তো? কি নিশ্চয়ই ভালো! আজকে সাজগোজের বন্ধুদের জন্য হাজির করা হল সফল মেকআপ আর্টিস্ট জিনিয়া সুলতানা মৌ। সাজগোজের মেকআপপ্রেমী বন্ধুদের তিনি জানিয়েছেন নিজের ভালো লাগা এবং স্বপ্ন সম্পর্কে। তার সাক্ষাতকার নিয়েছেন বাবুল হৃদয়

প্রথমে জেনে নেই জিনিয়া সুলতানা মৌ সম্পর্কে

জিনিয়া সুলতানা মৌ। মেকাপ আর্টিস্ট। বিবিএ, এমবিএ কমপ্লিট করেছেন একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে। তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এদেশেই। মেকআপ হল মৌর প্যাশন। প্রথমে মা, খালার থেকে মেকাপ সম্পর্কে জানতেন। তিনি ব্রাইডাল মেক্আপ এক্সপার্ট। মেকআপপ্রেমী মৌ মেকআপের সাথে তার সম্পর্কটাকে আরো পোক্ত করতে গিয়ে নানা জনের কাছে প্রশিক্ষন নিয়েছেন। হয়েছেন মেকআপ আর্টিস্ট। মৌ- এর মেকআপ, ব্যক্তি ও কর্মময় জীবনের নানা বিষয় নিয়ে ‘বিজনেস বাংলাদেশ’-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ।

মেকআপ নিয়ে নিজের ভুবন

ছোট বেলা থেকে আমি নিজে মেকাপ করতে পছন্দ করি অন্যকেও সাজাতে পছন্দ করি। ছোট বেলায় বন্ধুদের সাজাতাম ওরা খুব পছন্দ করতো। তবে প্রফেশনালী নামা হয় নী। আমার মায়ের পার্লার ছিল খালার পার্লার ছিল। দিন দিন যত মেকাপ আপডেট হইয়ে আমার স্কিলটাকে আপডেট করছি। এরপর প্রফেশনে যখন মেনেই পড়েছি কাজ করে করে আরো বেশি পারফেক্ট হচ্ছে, দেন কম্পিটিশন গুলোতে আমি পার্টিসিপেন্ট করলাম, সেখানে উইনারও হলাম। ব্রাইডাল মেকাপ নিয়ে অনেক রকম প্রতিযোগিতা হয় অনেক মেকআপ আর্টিষ্ট এ্টেন করে, আমি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মেকআপ আর্টিস্ট সেলিনা মনিরের স্টুডেন্ট শাহিদা আপার স্টুডেন্ট, কিছু কিছু জায়গায় কোর্স করায় সেখানেও কম্পিটিশন হয় সেখানেও আমি বিজয়ী হয়েছি। মেকআপ আর্টিস্টের পাশাপাশি আমি নিজেও এখন শিখাই। নিজে ক্লাস নেই ১০ জনের টিম নিয়ে, প্রাইভেট ভাবে ক্লাস নেই ওয়ান টু ওয়ান কারণ আমি কাজের বিষয়ে হ্যাসেল নিতে চাই না। আমি চাই আমার পুরোটুকু স্টুপেন্টকে দিতে। তারা যেন কোনো কিছু করে খেতে পারে।

মেকআপে সফলতার পরিবারের ভূমিকা

যদি আমি শুরুর কথা বলি, যে কোনো প্রফেশনে আমরা যখনি নামিনা কেন শুরুটা সবার জন্য কষ্ঠদায়ক হয়। একটা ছেলে হোক, আর মেয়ে হোক। মেয়েদের জন্য কষ্ট একটু বেশি। কারণ মেয়েদের একটু বাধা-বিপত্তি বেশি থাকে। কারণ হচ্ছে একে তো মেয়ে, দ্বীতিয়ত সংসারী, তারপরে হচ্ছে বাবা-মা আছে বাচ্ছা-কাচ্ছা ধাকলে, যার সঙ্গে সংসার করছি সে, সো তখন সব মিলিয়ে একটু কষ্ঠতো হয়েই যায়। কিন্তু যখন আমি শুরুটা করেছি আমার মা ছাড়া কেউ ছিল না। কিন্তু যখন এই কাজটাতে নেমে গিয়েছি ভালোভাবে সবাই যখন আমার সফলতা দেখলো তখন থেকে সবাই সপোর্ট করতেছে। হাজবেন্ড প্রচুর পরিমানে সাপোর্ট করে, তা না হলে বাচ্চা নিয়ে আগাতেই পারতাম না। ভালোভাবে এগোতে হলে পরিবারের সাপোর্ট প্রয়োজন আছে। পরিবারের সাপোর্টের কারণে আমি একটা অবস্খান তৈরি করতে পেরেছি। অনেকেই তো মেকআপ আর্টিস্ট, কয়জন সফল? কিন্তু সবাই বলে তুমি অনেক এগিয়ে, তুমি ভালো করছো। আলহামদুলিল্লাহ আমি করোনার সময়েও কাজ করেছি এমনো দিন ছিল দিনে ৫টি ব্রাইডাল করেছি শুধু মায়ের একটু সপোর্ট নিয়ে।

মেক্আপ আর্টিস্টের ফিউচার কেমন

মেকআপ আর্টিস্ট এখন ঘরে ঘরে, বুঝতে হবে কোয়ালিটি কাজ কজনে করছে। আমার জানামতে অনেকেই আছে মেকআপটা পারছে, হেয়ারটা পারছে না। কারো কারো আই লুকটা ভালো হচ্ছে বেইজ লুকটা সুন্দর করতে পারছে না , এরকম অনেক ব্যাপার আছে, সো আমি বলবো তারাই সফল হতে পারবে মেকাআপের এ টু জেট ব্যাপারে অভিজ্ঞ তারা। অনেক মেকাপ আর্টিস্ট আছেন খুব সুন্দর সাজাচ্ছেন, কিন্ত একজনকে খুব সাজালো কিন্ত একটা বোচা মেয়ে বা গোলগাল চেহরা, সেফটা একটু অন্যরকম সে গেল তাকে কিস্ত মেকআপ দিয়ে সুন্দর ভাবে প্রেজেন্ট করতে পারলো না। কারণ হচ্ছে ওই মেকাপ আর্টিস্টটা ফেস বুঝে কাজ করে না। বেসিক্যালি আমি ফেস নিয়ে খেলা করতে খুবই পছন্দ করি। আমি নতুন নতুন সব ক্লাইন্ড পেলে কাজ করতে খুশি হই। কারো ছোট চোখ কারো বড় চোখ, কালো গোল ফেস, কারো ডায়মন্ড সেফের ফেস, সো এজন্য আমি মনে করি ফেস বুঝে কাজ করা উচিত। কার ফেসে কোনটা মানাবে। এরকম অনেক আছে যে সুন্দর একটি আপু পার্লারে গিযেছে বাট তাকে সাজায়ে দিয়েছে এমন ভাবে ভালো লাগছে না। এটা তখনি হয় যখন মেকাপ আর্টিস্ট ফেস বুঝে না সাজায়। সো সাকসেস তো তারাই হবে ফেস বুঝে সাজায়। তারাই সামনে এগিয়ে জেতে পারবে।

মেকআপে ইন্সপারেশন

আমার পরিবার, বিশেষ করে আমার মা এবং আমার স্বামী। আমার পরিবারের পাশাপাশি বেশ কিছু মেকাপ আর্টিস্টের মেকাপ থেকেও আমি ইন্সপায়ার্ড। ইন্সপায়ার্ড হওয়ার আরো কিছু কারণ আছে আমার দুইটা গ্রুপ আছে, গ্রুপের মেম্বাররা কোনো পোস্ট পেলে লাইক কমেন্স শেয়ার করে, সাপোর্ট করে। আমার একটি গ্রুপ আছে গ্লিটার গালস বাই মৌ এই গ্রুপের বদৌলতে আমি আমি এই পর্যন্ত আসছি। অসংখ্য ধন্যবাদ গ্রুপ সবাইকে। আমি ধন্য আমার ফলোয়াররা প্রতিনিয়ত আমাকে মেকআপ নিয়ে কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন।

মেকআপ ও মৌ-এর কর্মময় জীবন নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে তার ইন্টারভিউটি দেখুন-

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

ফেস নিয়ে আমি খেলা করতে পছন্দ করি: জিনিয়া সুলতানা মৌ

প্রকাশিত : ০৯:০২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

মেকআপ এক্সপার্ট বা মেকাপ আর্টিস্টদের সম্পর্কে কতটুকুই বা জানি আমরা। কৌতূহল তো থেকেই যায়। এই কৌতূহল কমাতে সাজগোজ তার মেকআপপ্রেমী বন্ধুদের জন্য স্প্যাশাল ইন্টারভিউ হলে কেমন হয় বলো তো? কি নিশ্চয়ই ভালো! আজকে সাজগোজের বন্ধুদের জন্য হাজির করা হল সফল মেকআপ আর্টিস্ট জিনিয়া সুলতানা মৌ। সাজগোজের মেকআপপ্রেমী বন্ধুদের তিনি জানিয়েছেন নিজের ভালো লাগা এবং স্বপ্ন সম্পর্কে। তার সাক্ষাতকার নিয়েছেন বাবুল হৃদয়

প্রথমে জেনে নেই জিনিয়া সুলতানা মৌ সম্পর্কে

জিনিয়া সুলতানা মৌ। মেকাপ আর্টিস্ট। বিবিএ, এমবিএ কমপ্লিট করেছেন একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি থেকে। তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এদেশেই। মেকআপ হল মৌর প্যাশন। প্রথমে মা, খালার থেকে মেকাপ সম্পর্কে জানতেন। তিনি ব্রাইডাল মেক্আপ এক্সপার্ট। মেকআপপ্রেমী মৌ মেকআপের সাথে তার সম্পর্কটাকে আরো পোক্ত করতে গিয়ে নানা জনের কাছে প্রশিক্ষন নিয়েছেন। হয়েছেন মেকআপ আর্টিস্ট। মৌ- এর মেকআপ, ব্যক্তি ও কর্মময় জীবনের নানা বিষয় নিয়ে ‘বিজনেস বাংলাদেশ’-এর সঙ্গে কথা বলেছেন ।

মেকআপ নিয়ে নিজের ভুবন

ছোট বেলা থেকে আমি নিজে মেকাপ করতে পছন্দ করি অন্যকেও সাজাতে পছন্দ করি। ছোট বেলায় বন্ধুদের সাজাতাম ওরা খুব পছন্দ করতো। তবে প্রফেশনালী নামা হয় নী। আমার মায়ের পার্লার ছিল খালার পার্লার ছিল। দিন দিন যত মেকাপ আপডেট হইয়ে আমার স্কিলটাকে আপডেট করছি। এরপর প্রফেশনে যখন মেনেই পড়েছি কাজ করে করে আরো বেশি পারফেক্ট হচ্ছে, দেন কম্পিটিশন গুলোতে আমি পার্টিসিপেন্ট করলাম, সেখানে উইনারও হলাম। ব্রাইডাল মেকাপ নিয়ে অনেক রকম প্রতিযোগিতা হয় অনেক মেকআপ আর্টিষ্ট এ্টেন করে, আমি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মেকআপ আর্টিস্ট সেলিনা মনিরের স্টুডেন্ট শাহিদা আপার স্টুডেন্ট, কিছু কিছু জায়গায় কোর্স করায় সেখানেও কম্পিটিশন হয় সেখানেও আমি বিজয়ী হয়েছি। মেকআপ আর্টিস্টের পাশাপাশি আমি নিজেও এখন শিখাই। নিজে ক্লাস নেই ১০ জনের টিম নিয়ে, প্রাইভেট ভাবে ক্লাস নেই ওয়ান টু ওয়ান কারণ আমি কাজের বিষয়ে হ্যাসেল নিতে চাই না। আমি চাই আমার পুরোটুকু স্টুপেন্টকে দিতে। তারা যেন কোনো কিছু করে খেতে পারে।

মেকআপে সফলতার পরিবারের ভূমিকা

যদি আমি শুরুর কথা বলি, যে কোনো প্রফেশনে আমরা যখনি নামিনা কেন শুরুটা সবার জন্য কষ্ঠদায়ক হয়। একটা ছেলে হোক, আর মেয়ে হোক। মেয়েদের জন্য কষ্ট একটু বেশি। কারণ মেয়েদের একটু বাধা-বিপত্তি বেশি থাকে। কারণ হচ্ছে একে তো মেয়ে, দ্বীতিয়ত সংসারী, তারপরে হচ্ছে বাবা-মা আছে বাচ্ছা-কাচ্ছা ধাকলে, যার সঙ্গে সংসার করছি সে, সো তখন সব মিলিয়ে একটু কষ্ঠতো হয়েই যায়। কিন্তু যখন আমি শুরুটা করেছি আমার মা ছাড়া কেউ ছিল না। কিন্তু যখন এই কাজটাতে নেমে গিয়েছি ভালোভাবে সবাই যখন আমার সফলতা দেখলো তখন থেকে সবাই সপোর্ট করতেছে। হাজবেন্ড প্রচুর পরিমানে সাপোর্ট করে, তা না হলে বাচ্চা নিয়ে আগাতেই পারতাম না। ভালোভাবে এগোতে হলে পরিবারের সাপোর্ট প্রয়োজন আছে। পরিবারের সাপোর্টের কারণে আমি একটা অবস্খান তৈরি করতে পেরেছি। অনেকেই তো মেকআপ আর্টিস্ট, কয়জন সফল? কিন্তু সবাই বলে তুমি অনেক এগিয়ে, তুমি ভালো করছো। আলহামদুলিল্লাহ আমি করোনার সময়েও কাজ করেছি এমনো দিন ছিল দিনে ৫টি ব্রাইডাল করেছি শুধু মায়ের একটু সপোর্ট নিয়ে।

মেক্আপ আর্টিস্টের ফিউচার কেমন

মেকআপ আর্টিস্ট এখন ঘরে ঘরে, বুঝতে হবে কোয়ালিটি কাজ কজনে করছে। আমার জানামতে অনেকেই আছে মেকআপটা পারছে, হেয়ারটা পারছে না। কারো কারো আই লুকটা ভালো হচ্ছে বেইজ লুকটা সুন্দর করতে পারছে না , এরকম অনেক ব্যাপার আছে, সো আমি বলবো তারাই সফল হতে পারবে মেকাআপের এ টু জেট ব্যাপারে অভিজ্ঞ তারা। অনেক মেকাপ আর্টিস্ট আছেন খুব সুন্দর সাজাচ্ছেন, কিন্ত একজনকে খুব সাজালো কিন্ত একটা বোচা মেয়ে বা গোলগাল চেহরা, সেফটা একটু অন্যরকম সে গেল তাকে কিস্ত মেকআপ দিয়ে সুন্দর ভাবে প্রেজেন্ট করতে পারলো না। কারণ হচ্ছে ওই মেকাপ আর্টিস্টটা ফেস বুঝে কাজ করে না। বেসিক্যালি আমি ফেস নিয়ে খেলা করতে খুবই পছন্দ করি। আমি নতুন নতুন সব ক্লাইন্ড পেলে কাজ করতে খুশি হই। কারো ছোট চোখ কারো বড় চোখ, কালো গোল ফেস, কারো ডায়মন্ড সেফের ফেস, সো এজন্য আমি মনে করি ফেস বুঝে কাজ করা উচিত। কার ফেসে কোনটা মানাবে। এরকম অনেক আছে যে সুন্দর একটি আপু পার্লারে গিযেছে বাট তাকে সাজায়ে দিয়েছে এমন ভাবে ভালো লাগছে না। এটা তখনি হয় যখন মেকাপ আর্টিস্ট ফেস বুঝে না সাজায়। সো সাকসেস তো তারাই হবে ফেস বুঝে সাজায়। তারাই সামনে এগিয়ে জেতে পারবে।

মেকআপে ইন্সপারেশন

আমার পরিবার, বিশেষ করে আমার মা এবং আমার স্বামী। আমার পরিবারের পাশাপাশি বেশ কিছু মেকাপ আর্টিস্টের মেকাপ থেকেও আমি ইন্সপায়ার্ড। ইন্সপায়ার্ড হওয়ার আরো কিছু কারণ আছে আমার দুইটা গ্রুপ আছে, গ্রুপের মেম্বাররা কোনো পোস্ট পেলে লাইক কমেন্স শেয়ার করে, সাপোর্ট করে। আমার একটি গ্রুপ আছে গ্লিটার গালস বাই মৌ এই গ্রুপের বদৌলতে আমি আমি এই পর্যন্ত আসছি। অসংখ্য ধন্যবাদ গ্রুপ সবাইকে। আমি ধন্য আমার ফলোয়াররা প্রতিনিয়ত আমাকে মেকআপ নিয়ে কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন।

মেকআপ ও মৌ-এর কর্মময় জীবন নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে তার ইন্টারভিউটি দেখুন-

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ