ষড়ঋতুর শেষ ঋতু বসন্ত আর বসন্তকে আগাম জানান দিতে ফুলেফুলে সেজেগুজে একাকার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
প্রকৃতিতে এখনও শীতের হাওয়া, শুকনো পাতার মর্মর শব্দ আর রুক্ষতা। হালকা এই শীতে ফুলে ফুলে নতুন সাজে সেজেছে উপকূলীয় অক্সফোর্ড খ্যাত ১০১ একরের নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস। যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই বিচিত্র সব বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ। ভ্রমরের পাশাপাশি ফুলের গন্ধে মাতোয়ারা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো বটেই সঙ্গে প্রাকৃতিক শোভা টেনে আনছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকেও ঘুরতে আসা বিভিন্ন বয়সের মানুষদের।
কাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই বঙ্গবন্ধু ম্যূরাল এর সামনের চত্বর,হাজী মুহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের সামনে,একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবনের সামনের গোল চত্বরসহ ছাত্রহল ও ছাত্রী হলের সামনে বিভিন্ন ফুলে সেজেছে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস। দেখতে আরও চমকপ্রদ যে ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ায় নানা জাতের প্রজাপতি আর মধু আহরণে ব্যস্ত মৌমাছি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সবুজ ক্যাম্পাসের লাল ইটে গড়া ভবনের সামনে দ্যুতি ছড়াচ্ছে রঙ-বেরঙের বাহারি ফুল।বাহারি এ ফুলগুলো হলোঃ গাঁদা,জিনিয়া,ডালিয়া,গোলাপ,চন্দ্রমল্লিকা আর হলুদের মন মাতানো সৌরভে সূর্যমুখী। হৃদয়কাড়া ফুলের মন মাতানো সৌরভ আর স্নিগ্ধতায় মুগ্ধ সবাই। ফুলের সৌন্দর্য ব্যঞ্জনায় যেন স্বর্গীয় রূপ ধারণ করেছে নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস।
এছাড়াও নোবিপ্রবির উপাচার্যের বাসভবনের ভিতরে ফুটেছে নানা বর্ণের ফুল। শীতকালীন নানা প্রজাতির প্রস্ফুটিত এই ফুলের সমারোহে এখন সুশোভিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ফুলে ফুলে সজ্জিত ক্যাম্পাস যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা নয়ন জুড়ানো সৌন্দর্য মুগ্ধ কোনো ছবি। আর ফুলে সুশোভিত ক্যাম্পাস দেখতে আসছেন প্রতিদিন প্রচুর দর্শক। ছবি তুলতেই যেন তারা বেশি ব্যস্ত। তবে সেলফি তুলতেও ভুলছেন না। নানারূপ আর গন্ধে মাতোয়ারা ক্যাম্পাসের চতুর্দিক যেন সকলের আড্ডাখানা আর পছন্দের মধ্যমণি।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর