০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

ভালুকায় বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষ, রপ্তানি হচ্ছে চামড়া

ভালুকা উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে শালবনের ভিতরে উথুরা ইউনিয়নের হাতিবেড় গ্রামে দেশ-বিদেশে আলোচিত এ কুমির প্রকল্পের উদ্যোক্তা ‘রেপটাইল্স ফার্ম লিমিটেড’। দেশে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষের যাত্রা শুরু হয় এই গ্রাম থেকে।

বিদেশে কুমিরের চামড়া ও এর চাহিদা থাকায় ময়মনসিংহের ভালুকায় বেসরকারী প্রতিষ্ঠান রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড ২০০৪ সালে কুমিরের খামারটি প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ২০০৪ সালের ৫ মে এ খামার প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়। খামারের জন্য ২০০৪ সালের ২২ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া থেকে সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে আনা হয় ৭৫টি কুমির। এখানে কুমির প্রজনন ও লালন-পালন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে এই খামারে কুমিরের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার।

খামারটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে আড়াই হাজারের বেশি কুমির রয়েছে। চলতি বছর বাচ্চা দিয়েছে প্রায় ৮০০টি। শুরুতে খামারের আয়তন ১৪ একর হলেও এখন তা গিয়ে ঠেকেছে ২১ একরে। খামারকে ঘিরে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষের পাশাপাশি এ খামার এলাকায় ৫ হাজার ফলদ ও বনজ গাছের সমন্বয়ে ছায়াঘেরা নৈসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশও রয়েছে সেখানে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ৭৫টি কুমিরের মধ্যে পুরুষ কুমির ছিল ১৩টি। আনার পরের দিনই বিশেষভাবে তৈরি পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয় কুমিরগুলোকে।

সবুজ শ্যামল গাছগাছালিতে ঘেরা এই গ্রামটি। এটি শহরের ব্যস্ত কোলাহল মুক্ত পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হাতিবেড় গ্রাম। এই গ্রামটিতেই রয়েছে কুমির খামার। এই কুমির খামারে গেলে মনে হবে একটি প্রাকৃতিক কুমির একুরিয়ামে এসে উপস্থিত হয়েছেন। কুমির নিয়ে আপনার যত হিংস্র ভাবনা তা নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে। এখানে আসলে আপনি দেখতে পাবেন কুমিরের সৌন্দর্য ও পানির ভিতর তাদের মনোরম চলাচল। শুরুতে এই খামারটিতে ১৩ একর জমির মধ্যে চার একর জমির মাটি কেটে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ৩২ পুকুর তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ২১ একর জায়গার উপর মোট ৪০টি পুকুর রয়েছে। রপ্তানিযোগ্য কুমিরের জন্য বিশেষ ব্যস্থায় তৈরি করা হয়েছে ৬০০টি আলাদা পুকুর। পুকুরগুলোর তলদেশ পাকা। তিন ফুট ইটের ওপর তিন ফুট কাঁটাতারের বেষ্টনী।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশি নাগরিকের উপর ছিনতাইকারীর বর্বর হামলা ,দুই ছিনতাইকারী আটক

ভালুকায় বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষ, রপ্তানি হচ্ছে চামড়া

প্রকাশিত : ১২:০২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ভালুকা উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে শালবনের ভিতরে উথুরা ইউনিয়নের হাতিবেড় গ্রামে দেশ-বিদেশে আলোচিত এ কুমির প্রকল্পের উদ্যোক্তা ‘রেপটাইল্স ফার্ম লিমিটেড’। দেশে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষের যাত্রা শুরু হয় এই গ্রাম থেকে।

বিদেশে কুমিরের চামড়া ও এর চাহিদা থাকায় ময়মনসিংহের ভালুকায় বেসরকারী প্রতিষ্ঠান রেপটাইলস ফার্ম লিমিটেড ২০০৪ সালে কুমিরের খামারটি প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশ পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ২০০৪ সালের ৫ মে এ খামার প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয়। খামারের জন্য ২০০৪ সালের ২২ ডিসেম্বর মালয়েশিয়া থেকে সোয়া কোটি টাকা ব্যয়ে আনা হয় ৭৫টি কুমির। এখানে কুমির প্রজনন ও লালন-পালন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে এই খামারে কুমিরের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার।

খামারটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে আড়াই হাজারের বেশি কুমির রয়েছে। চলতি বছর বাচ্চা দিয়েছে প্রায় ৮০০টি। শুরুতে খামারের আয়তন ১৪ একর হলেও এখন তা গিয়ে ঠেকেছে ২১ একরে। খামারকে ঘিরে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে কুমির চাষের পাশাপাশি এ খামার এলাকায় ৫ হাজার ফলদ ও বনজ গাছের সমন্বয়ে ছায়াঘেরা নৈসর্গিক প্রাকৃতিক পরিবেশও রয়েছে সেখানে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ৭৫টি কুমিরের মধ্যে পুরুষ কুমির ছিল ১৩টি। আনার পরের দিনই বিশেষভাবে তৈরি পুকুরে ছেড়ে দেওয়া হয় কুমিরগুলোকে।

সবুজ শ্যামল গাছগাছালিতে ঘেরা এই গ্রামটি। এটি শহরের ব্যস্ত কোলাহল মুক্ত পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত হাতিবেড় গ্রাম। এই গ্রামটিতেই রয়েছে কুমির খামার। এই কুমির খামারে গেলে মনে হবে একটি প্রাকৃতিক কুমির একুরিয়ামে এসে উপস্থিত হয়েছেন। কুমির নিয়ে আপনার যত হিংস্র ভাবনা তা নিমিষেই শেষ হয়ে যাবে। এখানে আসলে আপনি দেখতে পাবেন কুমিরের সৌন্দর্য ও পানির ভিতর তাদের মনোরম চলাচল। শুরুতে এই খামারটিতে ১৩ একর জমির মধ্যে চার একর জমির মাটি কেটে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ৩২ পুকুর তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ২১ একর জায়গার উপর মোট ৪০টি পুকুর রয়েছে। রপ্তানিযোগ্য কুমিরের জন্য বিশেষ ব্যস্থায় তৈরি করা হয়েছে ৬০০টি আলাদা পুকুর। পুকুরগুলোর তলদেশ পাকা। তিন ফুট ইটের ওপর তিন ফুট কাঁটাতারের বেষ্টনী।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ