০৭:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ইমরানের সঙ্গে পাক সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট হবে কি-না, সেই সংশয়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ। দুটি সূত্র থেকে রয়টার্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

তবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সেনাপ্রধানের মধ্যে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানায়, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান বলেছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগে পরিবর্তন আনার কোনো পরিকল্পনা তার নেই।

ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, সেনাপ্রধানকে সরানোর বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি, এর কোনো সম্ভাবনাও নেই। সংবিধান অনুসারে আইন মেনে আমি নিজের কর্তব্য পালন করব।

সাংবাদিকরা আস্থা ভোটের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই ইমরান জানান, যে কোনো মূল্যেই হোক, পরাজয় তিনি মেনে নেবেন না। তিনি বলেন, আমি বিদেশি ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না। তিনি আরও জানান, আগেও তিনি পরাজয় মেনে নেননি, এবারও নেবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমি পাকিস্তানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেব।

এর আগে সন্ধ্যার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের অধিবেশন চতুর্থবারের মতো মুলতবি করা হয়। এশার নামাজ শেষে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ অধিবেশন শুরুর কথা ছিল।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরু হয়। তবে ভোটের আগে ইমরান খানের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংসদের ভেতরে তুমুল হট্টগোল আর বাগবিতণ্ডা শুরু হলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার সাময়িকভাবে অধিবেশন মুলতবি করেন।

ইমরান খানের দল রোববার পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ডাক দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট সেটিকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেওয়ায় অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ট্যাগ :

ইমরানের সঙ্গে পাক সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

প্রকাশিত : ১২:৪৫:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ এপ্রিল ২০২২

অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোট হবে কি-না, সেই সংশয়ের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ। দুটি সূত্র থেকে রয়টার্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।

তবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও সেনাপ্রধানের মধ্যে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। সূত্রের বরাত দিয়ে জিও নিউজ জানায়, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিককদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান বলেছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগে পরিবর্তন আনার কোনো পরিকল্পনা তার নেই।

ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, সেনাপ্রধানকে সরানোর বিষয়ে কোনো আলাপ হয়নি, এর কোনো সম্ভাবনাও নেই। সংবিধান অনুসারে আইন মেনে আমি নিজের কর্তব্য পালন করব।

সাংবাদিকরা আস্থা ভোটের বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই ইমরান জানান, যে কোনো মূল্যেই হোক, পরাজয় তিনি মেনে নেবেন না। তিনি বলেন, আমি বিদেশি ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না। তিনি আরও জানান, আগেও তিনি পরাজয় মেনে নেননি, এবারও নেবেন না।

তিনি আরও বলেন, আমি পাকিস্তানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করব না। জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেব।

এর আগে সন্ধ্যার পর ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের অধিবেশন চতুর্থবারের মতো মুলতবি করা হয়। এশার নামাজ শেষে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ অধিবেশন শুরুর কথা ছিল।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে দেশটির সংসদের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারের সভাপতিত্বে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় অধিবেশন শুরু হয়। তবে ভোটের আগে ইমরান খানের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে সংসদের ভেতরে তুমুল হট্টগোল আর বাগবিতণ্ডা শুরু হলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার সাময়িকভাবে অধিবেশন মুলতবি করেন।

ইমরান খানের দল রোববার পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ডাক দেওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট সেটিকে অসাংবিধানিক বলে রায় দেওয়ায় অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।