১০:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ই-ক্যাব নির্বাচনে ‘ঐক্য’ প্যানেলের ইশতেহার

ই-কমার্স খাত একটি ক্রমবর্ধমান সম্ভানাময় আর্থিক খাত। একটি বহুমূখী ব্যবসার সুবিধা সম্বলিত এই খাত মূলত সব ধরনের ব্যবসা খাতের একটি সম্মিলন। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে রয়েছে সমস্যা ও সম্ভাবনা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সংগঠন ই-ক্যাবের ২০২২-২৪ সালের ৪র্থ দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন। একটি সুসংগঠিত ই-ক্যাব গড়ার পাশাপাশি সময়ের চাহিদা মেনে ই-কমার্সের উন্নয়নের ব্রত নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ‘ঐক্য’ প্যানেল। নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যের টিম লিডার, শিক্ষা ও ই-কমার্স খাতের পরিচিত মুখ প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে এক অনুষ্ঠানে নিজেদের ভাবনা ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।
এসময় প্যানেল সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম (অংশীদার-ক্রাফটসম্যান সলুশন), মো: তাজুল ইসলাম (আই এক্সপ্রেস লিমিটেড), আরিফ মোহাম্মদ আব্দুস শাকুর চৌধুরী (স্কুপ ইনফোটেক লিমিটেড), মো: সেলিম শেখ (নূরতাজ ডট কম বিডি), সামদানি তাব্রীজ (র্যাপিডো ডেলিভারিস), ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদা হায়দার রিমা (মেনসেন মিডিয়া), মো: আরিফুল ইসলাম ডিপেন (পরান বাজার) এবং ছোফায়েত মাহমুদ লিখন (কোরিয়ান মার্ট বিডি)।
ই-কমার্স খাতের বিভিন্ন বিভাগে বিগত বছরসমূহে সরকার যেমন বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে জেগে উঠার সুযোগ করে দিয়েছে, তেমনই তরুণ উদ্যোক্তারা এগিয়ে এসে উদ্যোগী হয়ে এসব সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রেখেছেন। প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে ই-ক্যাবও রেখেছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। টিম ‘ঐক্য’ সকল পক্ষকে নিয়ে একসাথে কাজ করার মানসিকতা ও পরিবেশ তৈরি করতে চায়।
ঐক্য প্যানেলের টিম লিডার প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ বলেন, আগামী দুই বছরের জন্য আমাদের মূল লক্ষ থাকবে, ই-কমার্সের বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি উদ্যোক্তা, বিনিয়োগ, তথ্য ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তি সহজ করা এবং ই-কমার্স বান্ধব আইন, বাজেট ও নীতি প্রণয়নে জোরালো ভূমিকা পালন করা।
ঐক্য প্যানেলের ইশতেহারের যা রয়েছে-
১. সুসংগঠিত ই-ক্যাব
২. ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন
৩. উদ্যোক্তা সুরক্ষা ও বিনিয়োগ
৪. গ্রামীণ ই-কমার্স ও প্রান্তিক ডেলিভারি সেবা
৫. ই-ট্যুরিজম ও সেবাভিত্তিক ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন
৬. ই-কমার্স বান্ধব নীতি, নির্দেশিকা, আইন ও বিধি তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা পালন।
৭. ক্রস বর্ডার ই-কমার্স
৮. ই-কমার্সের বাজার সম্প্রসারণ

সুসংগঠিত ই-ক্যাব গঠনে মনোনিবেশ
১. আমরা সকল ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠান ও সদস্যবান্ধব ই-ক্যাব গঠনে মনোনিবেশ করবো।
২. ই-ক্যাবের স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং নিজস্ব কার্যালয়ের ব্যবস্থা করবো। ই-ক্যাবের জন্য এমন একটি কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করবো, যেখানে সদস্যগণ অনায়াসে এসে বসতে পারবেন, সভা-সমাবেশ করতে পারবেন এবং পরিচালকগণ বসার নিজ্স্ব জায়গা পাবেন।
৩. ই-ক্যাবের জন্য স্থায়ী তহবিল গঠন এবং স্বচ্ছতার সাথে পরিচালনায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
৪. ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোক্তা কল্যাণ তহবিল গঠনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
৫. ই-ক্যাবের সেক্রেটারিয়েটের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
৬. যারা ই-ক্যাবের জন্য কাজ করে তাদের সম্মানজনক স্বীকৃতির ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং নির্বাচনে জয়ী এবং পরাজিত সকল পক্ষকে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবো।
৭. ইন্ডাস্ট্রির উদ্যমী সকল তরুণকে বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যুক্ত করে তাদেরকে ই-ক্যাবের সমস্ত কাজের সাথে সম্পৃক্ত করতে ভূমিকা রাখবো।
৮. স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে ই-ক্যাবের ট্রেনিং, মেলা ও ইভেন্টের কার্যাদেশ যেন ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন সদস্য কোম্পানি পেতে পারে সেজন্য জোরালো ভূমিকা রাখবো অর্থাৎ প্রতিটি কার্যাদেশ দেয়ার আগে সদস্যদের কাছে ঊঙও পৌঁছানোর বাধ্যবাধকতা আরোপণের প্রচেষ্টা থাকবে।
৯. ঢাকার বাইরের জেলাগুলোর জন্য বিভাগীয় কমিটি গঠন ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং ওই অঞ্চলভিত্তিক মেম্বারশিপ বৃদ্ধিতে ও সেবা প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
১০. সেলার কমিউনিটি, গ্রাহক কমিউনিটি, এফ কমার্স উদ্যোক্তা, দেশীয় পণ্য সেবার উদ্যোক্তা এ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন খাতে আরো স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন ও সঠিক লোকদেরকে এসব কমিটিতে যুক্ত করার জন্য সম্যক ভূমিকা পালন করবো।
১১. ই-ক্যাবের আর্থিক আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা বিধানের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবো, যাতে করে আর্থিক বিষয়ে প্রশ্ন করার কোনো অবকাশ না থাকে।
১২. ই-কমার্স সেক্টরে পর্যাপ্ত তথ্য, উপাত্ত এবং দক্ষ জনবলের যে ঘাটতি রয়েছে তা দূর করতে ই-ক্যাব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও রিসার্চ ইন্সটিটিউট স্থাপন করবো এবং পরবর্তীতে একটি পূর্ণাঙ্গ ই-ক্যাব ইউনিভার্সিটি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
১৩. সরকারি বিভিন্ন পলিসি মিটিংয়ে সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবো, যাতে তারা মতামত দিতে পারেন।
১৪. বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে শুধু ইসি মেম্বার নয় বরং যে বিষয়ে ভ্রমণ সে বিষয় সংশ্লিষ্ট সদস্যকে অগ্রাধিকার দিতে ভূমিকা পালন করবো।
১৫. ই-ক্যাব সদস্যদের নিজ দক্ষতা উন্নয়নে নিয়মিত কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো।
১৬. বিটুবি, বিটুসি, সিটুবি, বিটুজি, জিটুসি, জিটুবি থেকে শুরু করে মার্কেটপ্লেস, অনলাইন শপ, এক্সক্লুসিভ অনলাইন শপ, এফ কমার্স (ফেসবুক কমার্স), সফটওয়্যার ও অবিতরণযোগ্য পণ্য (ননডেলিভারিবল প্রডাক্ট), সেবা ফ্লাটফর্মসহ ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট সকল খাতের সমস্যা সমাধান ও উন্নতিকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে আমাদের ঐক্য প্যানেলের ই-ক্যাব।

এর পাশাপাশি প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ ও ঐক্য প্যানেলের সদস্যরা ঘোষণা করেন, নির্বাচনের আগে ও পরে সবসময় উদ্যোক্তারা তাদের পাশে পাবেন। তারা আরো বলেন, উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে সরাসরি সদস্যদের মতামত নিয়ে সমাধান করা হবে। নির্বাচনের আগেও ই-ক্যাবের পাশে ছিলেন উল্লেখ করে আব্দুল আজিজ বলেন, নির্বাচিত না হলেও সবসময় ই-ক্যাবের পাশে থাকবেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, নগদ অর্থ লুট, আহত ৩

ই-ক্যাব নির্বাচনে ‘ঐক্য’ প্যানেলের ইশতেহার

প্রকাশিত : ০৭:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জুন ২০২২

ই-কমার্স খাত একটি ক্রমবর্ধমান সম্ভানাময় আর্থিক খাত। একটি বহুমূখী ব্যবসার সুবিধা সম্বলিত এই খাত মূলত সব ধরনের ব্যবসা খাতের একটি সম্মিলন। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রে রয়েছে সমস্যা ও সম্ভাবনা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সংগঠন ই-ক্যাবের ২০২২-২৪ সালের ৪র্থ দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন। একটি সুসংগঠিত ই-ক্যাব গড়ার পাশাপাশি সময়ের চাহিদা মেনে ই-কমার্সের উন্নয়নের ব্রত নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ‘ঐক্য’ প্যানেল। নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যের টিম লিডার, শিক্ষা ও ই-কমার্স খাতের পরিচিত মুখ প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে এক অনুষ্ঠানে নিজেদের ভাবনা ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন তিনি।
এসময় প্যানেল সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম (অংশীদার-ক্রাফটসম্যান সলুশন), মো: তাজুল ইসলাম (আই এক্সপ্রেস লিমিটেড), আরিফ মোহাম্মদ আব্দুস শাকুর চৌধুরী (স্কুপ ইনফোটেক লিমিটেড), মো: সেলিম শেখ (নূরতাজ ডট কম বিডি), সামদানি তাব্রীজ (র্যাপিডো ডেলিভারিস), ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদা হায়দার রিমা (মেনসেন মিডিয়া), মো: আরিফুল ইসলাম ডিপেন (পরান বাজার) এবং ছোফায়েত মাহমুদ লিখন (কোরিয়ান মার্ট বিডি)।
ই-কমার্স খাতের বিভিন্ন বিভাগে বিগত বছরসমূহে সরকার যেমন বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন সম্ভাবনা হিসেবে জেগে উঠার সুযোগ করে দিয়েছে, তেমনই তরুণ উদ্যোক্তারা এগিয়ে এসে উদ্যোগী হয়ে এসব সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রেখেছেন। প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে ই-ক্যাবও রেখেছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। টিম ‘ঐক্য’ সকল পক্ষকে নিয়ে একসাথে কাজ করার মানসিকতা ও পরিবেশ তৈরি করতে চায়।
ঐক্য প্যানেলের টিম লিডার প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ বলেন, আগামী দুই বছরের জন্য আমাদের মূল লক্ষ থাকবে, ই-কমার্সের বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি উদ্যোক্তা, বিনিয়োগ, তথ্য ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তি সহজ করা এবং ই-কমার্স বান্ধব আইন, বাজেট ও নীতি প্রণয়নে জোরালো ভূমিকা পালন করা।
ঐক্য প্যানেলের ইশতেহারের যা রয়েছে-
১. সুসংগঠিত ই-ক্যাব
২. ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন
৩. উদ্যোক্তা সুরক্ষা ও বিনিয়োগ
৪. গ্রামীণ ই-কমার্স ও প্রান্তিক ডেলিভারি সেবা
৫. ই-ট্যুরিজম ও সেবাভিত্তিক ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন
৬. ই-কমার্স বান্ধব নীতি, নির্দেশিকা, আইন ও বিধি তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা পালন।
৭. ক্রস বর্ডার ই-কমার্স
৮. ই-কমার্সের বাজার সম্প্রসারণ

সুসংগঠিত ই-ক্যাব গঠনে মনোনিবেশ
১. আমরা সকল ই-ক্যাব প্রতিষ্ঠান ও সদস্যবান্ধব ই-ক্যাব গঠনে মনোনিবেশ করবো।
২. ই-ক্যাবের স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং নিজস্ব কার্যালয়ের ব্যবস্থা করবো। ই-ক্যাবের জন্য এমন একটি কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করবো, যেখানে সদস্যগণ অনায়াসে এসে বসতে পারবেন, সভা-সমাবেশ করতে পারবেন এবং পরিচালকগণ বসার নিজ্স্ব জায়গা পাবেন।
৩. ই-ক্যাবের জন্য স্থায়ী তহবিল গঠন এবং স্বচ্ছতার সাথে পরিচালনায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
৪. ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্যোক্তা কল্যাণ তহবিল গঠনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
৫. ই-ক্যাবের সেক্রেটারিয়েটের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
৬. যারা ই-ক্যাবের জন্য কাজ করে তাদের সম্মানজনক স্বীকৃতির ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং নির্বাচনে জয়ী এবং পরাজিত সকল পক্ষকে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবো।
৭. ইন্ডাস্ট্রির উদ্যমী সকল তরুণকে বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যুক্ত করে তাদেরকে ই-ক্যাবের সমস্ত কাজের সাথে সম্পৃক্ত করতে ভূমিকা রাখবো।
৮. স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে ই-ক্যাবের ট্রেনিং, মেলা ও ইভেন্টের কার্যাদেশ যেন ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন সদস্য কোম্পানি পেতে পারে সেজন্য জোরালো ভূমিকা রাখবো অর্থাৎ প্রতিটি কার্যাদেশ দেয়ার আগে সদস্যদের কাছে ঊঙও পৌঁছানোর বাধ্যবাধকতা আরোপণের প্রচেষ্টা থাকবে।
৯. ঢাকার বাইরের জেলাগুলোর জন্য বিভাগীয় কমিটি গঠন ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং ওই অঞ্চলভিত্তিক মেম্বারশিপ বৃদ্ধিতে ও সেবা প্রদানে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
১০. সেলার কমিউনিটি, গ্রাহক কমিউনিটি, এফ কমার্স উদ্যোক্তা, দেশীয় পণ্য সেবার উদ্যোক্তা এ ধরনের ভিন্ন ভিন্ন খাতে আরো স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন ও সঠিক লোকদেরকে এসব কমিটিতে যুক্ত করার জন্য সম্যক ভূমিকা পালন করবো।
১১. ই-ক্যাবের আর্থিক আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা বিধানের জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবো, যাতে করে আর্থিক বিষয়ে প্রশ্ন করার কোনো অবকাশ না থাকে।
১২. ই-কমার্স সেক্টরে পর্যাপ্ত তথ্য, উপাত্ত এবং দক্ষ জনবলের যে ঘাটতি রয়েছে তা দূর করতে ই-ক্যাব স্কিল ডেভেলপমেন্ট ও রিসার্চ ইন্সটিটিউট স্থাপন করবো এবং পরবর্তীতে একটি পূর্ণাঙ্গ ই-ক্যাব ইউনিভার্সিটি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
১৩. সরকারি বিভিন্ন পলিসি মিটিংয়ে সদস্যদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেবো, যাতে তারা মতামত দিতে পারেন।
১৪. বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে শুধু ইসি মেম্বার নয় বরং যে বিষয়ে ভ্রমণ সে বিষয় সংশ্লিষ্ট সদস্যকে অগ্রাধিকার দিতে ভূমিকা পালন করবো।
১৫. ই-ক্যাব সদস্যদের নিজ দক্ষতা উন্নয়নে নিয়মিত কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো।
১৬. বিটুবি, বিটুসি, সিটুবি, বিটুজি, জিটুসি, জিটুবি থেকে শুরু করে মার্কেটপ্লেস, অনলাইন শপ, এক্সক্লুসিভ অনলাইন শপ, এফ কমার্স (ফেসবুক কমার্স), সফটওয়্যার ও অবিতরণযোগ্য পণ্য (ননডেলিভারিবল প্রডাক্ট), সেবা ফ্লাটফর্মসহ ই-কমার্স সংশ্লিষ্ট সকল খাতের সমস্যা সমাধান ও উন্নতিকরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে আমাদের ঐক্য প্যানেলের ই-ক্যাব।

এর পাশাপাশি প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ ও ঐক্য প্যানেলের সদস্যরা ঘোষণা করেন, নির্বাচনের আগে ও পরে সবসময় উদ্যোক্তারা তাদের পাশে পাবেন। তারা আরো বলেন, উদ্ভুত সমস্যা সমাধানে সরাসরি সদস্যদের মতামত নিয়ে সমাধান করা হবে। নির্বাচনের আগেও ই-ক্যাবের পাশে ছিলেন উল্লেখ করে আব্দুল আজিজ বলেন, নির্বাচিত না হলেও সবসময় ই-ক্যাবের পাশে থাকবেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ