০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

৪ জেএমবি সদস্যসহ ৬জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় পৃথক দু’টি আদালতে হত্যা মামলায় ৪ জেএমবি সদস্যসহ ৬
জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। এর মধ্যে রয়েছে কুষ্টিয়ার
হোমিও ডাক্তার সানাউর রহমান হত্যা মামলায় ৪ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন
কারাদন্ড সেই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের
কারাদন্ড। অপর দিকে অপর একটি আদালতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ব্যবসায়ী
রিয়াজুল ইসলামকে হত্যা দায়ে চাচা ওয়াসিম আলী ও ভাতিজা সিফাত
বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড নেই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে
জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ
বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ)
আদালতের বিচারক মোঃ আশরাফুল ইসলাম পৃথক পৃথক এ রায় ঘোষনা করেন।
রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত ৪ জেএমবি সদস্য আসামী আদালতে উপস্থিত
ছিলেন। পরে তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামী জেএমবি সদস্যরা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর
এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে আজিজুর ইসলাম, কবুরহাট দোস্তপাড়ার
সামাদ সর্দারের ছেলে জয়নাল সর্দার, মাদ্রাসা পাড়া এলাকার আজিজুল হক
খানের ছেলে সাইফুল ইসলাম খান, দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষনোপুর এলাকার
আব্দুর রহমান ওরফে কালা কাজীর ছেলে সাইজুজ্জিন কাজী। কুষ্টিয়া জজ
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ মে সকাল সাড়ে ৯টার
দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার মজমপুর এলাকার মৃত বজলুর রহমানের পুত্র হোমিও
চিকিৎসক সানাউর রহমান এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের
সহকারী অধ্যাপক সাইফুজ্জামান মোটর সাইকেল যোগে সদর উপজেলার
বটতৈল এলাকার শিশির মাঠের বাগান বাড়ীতে যাচ্ছিলো। পতিমধ্যে অজ্ঞাত
ব্যক্তিরা তাদের মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে দুই জন কুপিয়ে জখম করে।
এতে ঘটনাস্থলেই সানাউর রহমানের মৃত্যু হয় এবং সাইফুজ্জামান গুরুতর
আহত হন। এই ঘটনায় সানাউর রহমানের ভাই আনিছুর রহমান বাদী হয়ে
অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা
দায়ের করেন। মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে দন্ডপ্রাপ্ত ওই ৪ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭
সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে মামলার চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়ার মডেল থানার এসআই আজিজুর
রহমান। পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিত্বে অভিযুক্ত ওই ৪
আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
এদিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলামকে হত্যা দায়ে
চাচা ওয়াসিম আলী ও ভাতিজা সিফাত বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া বিশেষ
জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মোঃ আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন।
একই সাথে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬
মাসের সশ্রম কারান্ড দিয়েছে আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী। আদালত সূত্রে জানা গেছে,
২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল বিকাল ৫ টার দিকে কুমারখালী উপজেলার বাড়াদি
গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রিয়াজুর আসামিদের উচ্চশব্দে গান
বাজাতে নিষেধ করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়াজুলকে কুপিয়ে
হত্যা করে। পরের দিন নিহতের ছেলে শহিদুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে
কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১০
সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায়
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে
আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ব্যবসায়ী রিয়াজুল হত্যা মামলায়
দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এ মামলার অপর ৯ আসামিকে বেকসুর খালাস
দেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

৪ জেএমবি সদস্যসহ ৬জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত : ০৫:৩৩:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ অগাস্ট ২০২২

কুষ্টিয়ায় পৃথক দু’টি আদালতে হত্যা মামলায় ৪ জেএমবি সদস্যসহ ৬
জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। এর মধ্যে রয়েছে কুষ্টিয়ার
হোমিও ডাক্তার সানাউর রহমান হত্যা মামলায় ৪ জেএমবি সদস্যের যাবজ্জীবন
কারাদন্ড সেই সাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের
কারাদন্ড। অপর দিকে অপর একটি আদালতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ব্যবসায়ী
রিয়াজুল ইসলামকে হত্যা দায়ে চাচা ওয়াসিম আলী ও ভাতিজা সিফাত
বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড নেই সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে
জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ
বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ (জেলা ও দায়রা জজ)
আদালতের বিচারক মোঃ আশরাফুল ইসলাম পৃথক পৃথক এ রায় ঘোষনা করেন।
রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত ৪ জেএমবি সদস্য আসামী আদালতে উপস্থিত
ছিলেন। পরে তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামী জেএমবি সদস্যরা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খাজানগর
এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে আজিজুর ইসলাম, কবুরহাট দোস্তপাড়ার
সামাদ সর্দারের ছেলে জয়নাল সর্দার, মাদ্রাসা পাড়া এলাকার আজিজুল হক
খানের ছেলে সাইফুল ইসলাম খান, দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষনোপুর এলাকার
আব্দুর রহমান ওরফে কালা কাজীর ছেলে সাইজুজ্জিন কাজী। কুষ্টিয়া জজ
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২০ মে সকাল সাড়ে ৯টার
দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার মজমপুর এলাকার মৃত বজলুর রহমানের পুত্র হোমিও
চিকিৎসক সানাউর রহমান এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের
সহকারী অধ্যাপক সাইফুজ্জামান মোটর সাইকেল যোগে সদর উপজেলার
বটতৈল এলাকার শিশির মাঠের বাগান বাড়ীতে যাচ্ছিলো। পতিমধ্যে অজ্ঞাত
ব্যক্তিরা তাদের মোটর সাইকেলের গতি রোধ করে দুই জন কুপিয়ে জখম করে।
এতে ঘটনাস্থলেই সানাউর রহমানের মৃত্যু হয় এবং সাইফুজ্জামান গুরুতর
আহত হন। এই ঘটনায় সানাউর রহমানের ভাই আনিছুর রহমান বাদী হয়ে
অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামী করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা
দায়ের করেন। মামলায় দীর্ঘ তদন্ত শেষে দন্ডপ্রাপ্ত ওই ৪ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭
সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে মামলার চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়ার মডেল থানার এসআই আজিজুর
রহমান। পরে দীর্ঘ তদন্ত শেষে স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিত্বে অভিযুক্ত ওই ৪
আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
এদিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলামকে হত্যা দায়ে
চাচা ওয়াসিম আলী ও ভাতিজা সিফাত বিশ্বাসকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া বিশেষ
জজ (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের বিচারক মোঃ আশরাফুল ইসলাম এ রায় দেন।
একই সাথে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬
মাসের সশ্রম কারান্ড দিয়েছে আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী। আদালত সূত্রে জানা গেছে,
২০১৭ সালের ২৩ এপ্রিল বিকাল ৫ টার দিকে কুমারখালী উপজেলার বাড়াদি
গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রিয়াজুর আসামিদের উচ্চশব্দে গান
বাজাতে নিষেধ করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে রিয়াজুলকে কুপিয়ে
হত্যা করে। পরের দিন নিহতের ছেলে শহিদুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে
কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১০
সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায়
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে
আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ব্যবসায়ী রিয়াজুল হত্যা মামলায়
দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় এ মামলার অপর ৯ আসামিকে বেকসুর খালাস
দেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব