০১:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

কুষ্টিয়ায় নৌকা বাইচ কেড়ে নিল শিশুর প্রাণ

কুষ্টিয়ায় হৈ হুল্লা আর আনন্দ উৎসব কেড়ে নিল এক শিশুর জীবন। আনন্দ উৎসবে মাতুয়ারা হয়ে নৌকা বাইচ দেখতে এসে কুষ্টিয়া গড়াই নদীতে নৌকা ডুবিতে একই পরিবারে ১ বোন নিহত ও অন্য বোন নিখোঁজ হয়েছে। শুক্রবার কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে নৌকা বাইচ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নৌকা বাইচ খেলা দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভীড় জমায় গড়াই নদীর তীরে। সেই সময় নৌকায় অতিরিক্ত লোক বহন করায় তীরের অদূরে নৌকাটি ডুবে যায়।

যার মধ্যে কুষ্টিয়ার বারখাদা ১৩নং ওয়ার্ডের ক্যালানপাড়া গ্রামের বিলকিস (৩৮) নামের একজন মহিলা ও তার ২কন্যা ছিল। নৌকা ডুবি ঘটনায় তার বড় মেয়ে ফাতেমা (৮) ডুবে মারা যায়, এবং ছোট মেয়ে (৬) এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। এই নিয়ে বিলকিসের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা কে কেন্দ্র উল্লাসের কমতি ছিলো না। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরির দল প্রস্তুত থাকলেও তারা ছিল নিরব। এত কিছু পরেও এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায় বিনোদনে শোকের মাতন। নিখোঁজ শিশুকে খুঁজতে নৌ পুলিশ, ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ করছে বলে সর্বশেষ জানা গিয়েছে।

বড় একটি নৌকায় ৫০ জন করে যাত্রী নিয়ে নদী পারাপার করার কথা থাকলেও নৌকা বাইচের দিন ২০০ যাত্রী নিয়ে নদী পারাপার করছিল মাঝি। ভাড়া ৫টাকার স্থলে ৫০ টাকা করে ধরা হয়। নৌকা বাইচে দেশের মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন জেলার লোক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেন। প্রতিযোগীতার আয়োজনে ছিল কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন আলী। মৃত্যুর ঘটনায় ২ দিনের নৌকা বাইচ দ্বিতীয় দিন প্রশাসন শনিবার বন্ধ করে দিয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

কুষ্টিয়ায় নৌকা বাইচ কেড়ে নিল শিশুর প্রাণ

প্রকাশিত : ০১:০০:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২

কুষ্টিয়ায় হৈ হুল্লা আর আনন্দ উৎসব কেড়ে নিল এক শিশুর জীবন। আনন্দ উৎসবে মাতুয়ারা হয়ে নৌকা বাইচ দেখতে এসে কুষ্টিয়া গড়াই নদীতে নৌকা ডুবিতে একই পরিবারে ১ বোন নিহত ও অন্য বোন নিখোঁজ হয়েছে। শুক্রবার কুষ্টিয়ার গড়াই নদীতে নৌকা বাইচ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নৌকা বাইচ খেলা দেখতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভীড় জমায় গড়াই নদীর তীরে। সেই সময় নৌকায় অতিরিক্ত লোক বহন করায় তীরের অদূরে নৌকাটি ডুবে যায়।

যার মধ্যে কুষ্টিয়ার বারখাদা ১৩নং ওয়ার্ডের ক্যালানপাড়া গ্রামের বিলকিস (৩৮) নামের একজন মহিলা ও তার ২কন্যা ছিল। নৌকা ডুবি ঘটনায় তার বড় মেয়ে ফাতেমা (৮) ডুবে মারা যায়, এবং ছোট মেয়ে (৬) এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। এই নিয়ে বিলকিসের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা কে কেন্দ্র উল্লাসের কমতি ছিলো না। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরির দল প্রস্তুত থাকলেও তারা ছিল নিরব। এত কিছু পরেও এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটায় বিনোদনে শোকের মাতন। নিখোঁজ শিশুকে খুঁজতে নৌ পুলিশ, ডুবুরি ও ফায়ার সার্ভিসের টিম কাজ করছে বলে সর্বশেষ জানা গিয়েছে।

বড় একটি নৌকায় ৫০ জন করে যাত্রী নিয়ে নদী পারাপার করার কথা থাকলেও নৌকা বাইচের দিন ২০০ যাত্রী নিয়ে নদী পারাপার করছিল মাঝি। ভাড়া ৫টাকার স্থলে ৫০ টাকা করে ধরা হয়। নৌকা বাইচে দেশের মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন জেলার লোক প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করেন। প্রতিযোগীতার আয়োজনে ছিল কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন আলী। মৃত্যুর ঘটনায় ২ দিনের নৌকা বাইচ দ্বিতীয় দিন প্রশাসন শনিবার বন্ধ করে দিয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/হাবিব