তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সারা দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ১৪০০ টি। করোনার সময়ে বাংলাদেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ৬৫টি-তে নেমে এসেছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে সরকারের সহযোগিতায় এই মুহূর্তে ২১৪টি সিনেমা হল চালু আছে। আগামী এক বছরের মধ্যে আরও ১০০ সিনেমা হল খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। সিনেমা বানানোর জন্য আরও অনুদান দেওয়া হবে। হল নির্মাণে এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ তহবিল করা হয়েছে। সেখান থেকে ঋণ নিয়ে হল রেনোভেট ও নতুন হল করা যাবে। প্রথমে পাঁচ কোটি টাকার কথা বলা হলেও পরে টাকার অংক বাড়িয়ে ১০ কোটি করা হয়েছে’।
মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই সেন্সর বোর্ড আছে, বাংলাদেশেও এই বোর্ড থাকবে। তিনি বলেন, দেশীয় কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে বিকৃত করে বা প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে কেউ চলচ্চিত্র নির্মাণ করলো কিনা তা দেখাই সেন্সর বোর্ডের প্রধান কাজ। যদি কেউ তা করে থাকে, সেন্সর বোর্ড সেটি আটকে দিতে পারে।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি একথা বলেন।
সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্রের সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র না পাওয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃত কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করে যদি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়, সেখানে প্রকৃত ঘটনা থাকতে হবে। যদি প্রকৃত ঘটনা চলচ্চিত্রে না থাকে সেক্ষেত্রে সেন্সর বোর্ড তা আটকে দেবেই। আপনি যে চলচ্চিত্রটির কথা ইঙ্গিত করেছেন, সেটিতে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে’।
মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের অনুদান নিয়ে যারা চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তাদের প্রত্যেককেই এই অনুদানের অর্থ ব্যবহার করে তা নির্মাণ করতে হবে এবং তারা করছেও। তবে কেউ কেউ কাজটি না করতে পেরে টাকা ফেরত দিচ্ছে। তবে মোট কথা সিনেমা কিন্তু তৈরি হচ্ছে। অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করে সিনেমা না বানানো এখন আর ঘটে না। যদি এরকম কেউ করে, তাকে পর পর তিনটি নোটিশ দেওয়া হয়। যদি তাতেও কাজ না হয়, তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয় এবং মামলা করাও হয়েছে’।
এ সময় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্র নায়িকা নিপুণ, রিয়াজ, অপু বিশ্বাস, জেসমীন, কেয়া উপস্থিত ছিলেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

























