দুর্গাপূজা, লক্ষ্মীপূজা ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল বন্ধের ঘোষণার একদিন পরই সেটি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। হল বন্ধের ঘোষণায় ছাত্রীদের তীব্র আলোচনা-সমালোচনার মুখে শুক্রবারই (২৩ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনার প্রেক্ষিতে হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
হল খোলা থাকলে পরীক্ষার প্রস্তুতি ও টিউশনি অব্যাহত থাকার পাশাপাশি যারা বাড়ি যাবেনা বা যাদের বাড়ি দূরে তাদের আর আসা-যাওয়ার বাড়তি ঝামেলা পোহাতে হবেনা বলে স্বস্তি ফিরেছে ছাত্রীদের মাঝে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ( ২২ সেপ্টেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রী হল বন্ধের ঘোষণা ও ছাত্রীদের হল ত্যাগে নির্দেশ দেয়া হয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে ৮অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ছাত্রীদের হল ত্যাগ করতে হবে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে আগামী ২-৪ অক্টোবর,লক্ষ্মীপূজা ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষে ৫-৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ইন্সটিটিউট, বিভাগ ও প্রশাসনিক দপ্তরসমূহ বন্ধ থাকবে।
এদিকে হল কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণার পরই ছাত্রীদের মাঝে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় বিষয়টি ঘিরে। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধের সময় আবাসিক হলসমূহ খোলা থাকে দাবি করে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলও খোলা রাখার দাবি জানান তারা। এই বন্ধের ফলে বাড়ি যাওয়া-আসার খরচ,ঝামেলা, টিউশনি ও বন্ধের পরের পরীক্ষা উপলক্ষে আগাম প্রস্তুতির ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে বলে বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা করেন ছাত্রীরা। অনেকে আবার প্রশ্ন তুলেন হল কর্তৃপক্ষের দক্ষতা নিয়েও।
পরবর্তীতে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে দুর্গাপূজা,লক্ষ্মীপূজা ও ঈদে মিলাদুন্নবির বন্ধেও হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
হলের আবাসিক ছাত্রী লিমা আক্তার বলেন, সবাইত বাড়ি যাবেনা। আবার অধিকাংশেরই টিউশনি আছে৷ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু বিভিন্ন বন্ধের মধ্যেও হল খোলা থাকে তাই অবশ্যই খোলা রাখা উচিত ছিল। আর সেই সিদ্ধান্তই নেয়া হয়েছে অবশেষে। এটাতে বাড়তি একটা চাপ,খরচ আর দৌড়াদৌড়ির ঝামেলা শেষ হয়েছে।
হলের আরেক আবাসিক ছাত্রী ইসরাত জাহান বলেন, হল খোলা থাকলে যাদের বাড়ি দূরে বিশেষ করে তাদের জন্য সুবিধা হবে৷ আমার মিডটাটার্ম পরীক্ষা ও এসাইনমেন্ট আছে বন্ধের পর পরই৷ অনেকের সেমিস্টার পরীক্ষাও শুরু হবে৷ অনেকেই টিউশনি করে। তাই হল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য সার্বিক বিবেচনায় স্বস্তিদায়ক।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব