শারদোৎসবের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে, চারিদিকে সাজ সাজ রব, দুয়ারে কড়া নাড়ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই ধর্মীয় উৎসব ঘিরে খুলনার পাইকগাছায় মন্ডপে মন্ডপে চলছে সাজসজার কাজ। কে কত দর্শনীয়-কারুকার্যমন্ডিত প্রতিমা ও সজ্জা তৈরি করে ভক্তদের হৃদয় ছুঁতে পারেন, এরই প্রতিযোগিতা চলছে এখন মন্ডপে মন্ডপে। নিজ নিজ পূজা কমিটির সামর্থ্য অনুযায়ী, স্থানীয় ও অন্য জেলা থেকে স্বনামধন্য কারিগর এনে প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ মূহুর্ত। সনাতনধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে উপজেলার মন্ডপে মন্ডপে অত্যন্ত ব্যাস্ততার সাথে চলছে প্রতিমা ও সাজ সজার কাজ।
পূজা উদযাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় ১০ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় মোট ১৫৪টি পূজা মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। এদিকে সময় যতই এগিয়ে আসছে ততই মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে পূজার প্রস্তুতি। পৌরসভা ৬, হরিঢালী ১৯, কপিলমুনি ১৯, লতা ১৬, দেলুটি ১৭, সোলাদানা ১১, লস্কর ১৬, গদাইপুর ৫, রাড়–লী ২১, চাঁদখালী ১২ ও গড়ইখালী ইউনিয়নে ১২টি মন্ডপে পূজার প্রস্তুতি চলছে। জানা গেছে, প্রতিটি মন্ডপেই প্রতিমা শিল্পীরা দুর্গা প্রতিমা তৈরী ও মন্দির সাজানোর কাজ করে চলেছেন। এলাকার উল্লেখযোগ্য মন্ডপগুলোর মধ্যে রয়েছে কপিলমুনি মিলন মন্দির (কালীবাড়ী) পূজা মন্ডপ, উত্তর নাছিরপুর মিতালী যুব সংঘ (সিংহবাড়ী) পূজা মন্ডপ, কপিলমুনি পূর্বপাড়া পূজা মন্ডপ, পৌরসভা কেন্দ্রীয় পূজা মন্ডপ, রাড়–লী পূজা মন্ডপ, মামুদকাটী পূজা মন্ডপ, হরিঢালী পোদ্দারপাড়া পূজা মন্ডপ।
তবে কপিলমুনি মিলন মন্দির ও পূর্বপাড়া পূজা উদযাপন পরিষদ ব্যাতিক্রমি আয়োজন করেছে। এখানে প্রতিমা ও সাজ-সজ্জায় এনেছে ব্যাতিক্রমধর্মী আয়োজন। বাশ কাপড় দিয়ে বৃহৎ মন্দির সহ প্রবেশদ্বার। আগামী ১ অক্টোবর শনিবার ষষ্ঠী পূজা’র মধ্যদিয়ে দুর্গতীনাশিনী দেবী দুর্গাপূজার সূচনা ঘটবে। কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জিএম ইমদাদুল হক বলেন, বর্তমানে আমরা পুলিশের টহল অব্যাহত রেখেছি। প্রতিদিন গভীররাত পর্যন্ত পুলিশ মন্ডপে গিয়ে দেখাশুনা করছে, পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকার ঘোষিত নিরাপত্তা জোরদার রাখা হবে। কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মো. কওছার আলী জোয়ার্দার বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পীঠস্থান কপিলমুনি ইউনিয়নে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দুর্গোৎসব পালিত হবে বলে আমি আশা রাখি। প্রতি মন্ডপে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চৌকিদার ও আনছার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস বলেন, প্রশাসনসহ সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় বিগত বছরের ন্যায় এবারের পূজাও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব