০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

রূপগঞ্জে র‌্যাবের উপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার-১১

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযানকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারিরা র‌্যাবের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। র‌্যাব বিদেশী পিস্তলসহ মাদক উদ্ধার
করেছে। গ্রেফতার করেছেন ১১জনকে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুসহ ৩১জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় ৩টি মামলা করা হয়। ৩ কেজি ৮৫০ গ্রাম গাঁজা, মাদক বিক্রির ২৮ হাজার ৪০০ টাকা, ১৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিজ দখল এবং হেফাজত রাখানার অপরাধ, ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার, র‌্যাবের উপর হামলা আইনি কাজে বাঁধা, আসামী ছিনতাইয়ের চেষ্টা, গুলি, সরকারী গাড়ি ভাংচুর, দাঙ্গায় লিপ্ত, অপরাধে র‌্যাব-১, সিপিসি-১ এর নায়েব সুবেদার তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা ৩টি করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার পারভিন বেগম, রিপন মিয়া, রাজু আহাম্মেদ রাজা, ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুর ভাই হাসান, তপু মিয়া, জসিম বেপারী, বাবু, আমিন, রাসেল হোসেন, নাজমুল হোসেন রায়হান ও সুজন। এছাড়া পলাতক আসামীরা হলেন, একই এলাকার ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলু, শাওন, মোস্তফা, শিল্পী বেগম, মোবারক, ফাইজউদ্দিন, শাহআলম, সোহাগ মাঝি, মিঠু, সিরাজুল, সাদ্দাম, মুন্না, পিয়াস, ওমর, মহসিন, বিল্লাল, আরাফাত, সমাট, বিকাশ ও মাল্টা রনিসহ ৪০০ থেকে ৫০০ আসামী।
এজাহারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা চনপাড়া
পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারসহ গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিয়ে গাড়িতে উঠানোর সময় এজাহার নামীয় ও
অজ্ঞাত পলাতক আসামীরা দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইটপাটকেল মেরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তার পাশে টায়ারে আগুন ধরিয়ে অবরুদ্ধ করে আইনানুগ কাজে বাঁধা প্রদান করার লক্ষ্যে র‌্যাবকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে র‌্যাব সদস্য নাঈম ইসলাম, খন্দকার কামরুজ্জামান ইমন আহত হয়। হামলাকারীরা র‌্যাবের সরকারী
গাড়ি ভাংচুর করে। এসময় র‌্যাব সদস্যরা আত্নরক্ষার্থে ৭৭ রাউন্ড গুলি ও কার্তুজ ফায়ার করেন। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট গোলাগুলি হয়। খবর পেয়ে র‌্যাব-১১, র‌্যাব-১ এর পুর্বাচল ক্যাম্প ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশসহ আইনশৃংলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে র‌্যাব সদস্যদের উদ্ধার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। আসামীদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে বেশ কয়েকজন নাম না প্রকাশ শর্তে বলেন, চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রটি অপরাধের রাজ্যে হিসেবে পরিচিত। এখানে মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধী বসবাস করে থাকে। আর অপরাধীদের ভয়ে এখানে বসবাসরত নিরীহ মানুষ গুলো অসহায় হয়ে বসবাস করতে হয়। চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় অর্ধালক্ষাধীক মানুষের বসবাস। এখানে কিছু সংখ্যক অপরাধীর জন্য
সকলের বদনাম হচ্ছে। রাজু আহাম্মেদ রাজা একজন মাদকের ডিলার তাকে বানানো হয়েছে চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার মাদক নির্মূল কমিটির আহবায়ক। সিটি শাহিন, রাজাসহ এখানে বেশ কয়েকটি বাহিনী পাইকারী ও খুচরা মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ করে আসছে। আর এদেরকে সেল্টার দিচ্ছেন বজলুর রহমান বজলু। আর এরাই এলাকায় সকল প্রকার অপরাধ করে
থাকে। মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করেন
চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায়। এসময় নাদের বক্সের ছেলে ও ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুর ভাই হাসান, খলিল সরদারের মেয়ে মুন্নি, মাহাবুবুর
রহমানের ছেলে রাজু আহাম্মেদ রাজা ও একই এলাকার তপুসহ বেশ কয়েকজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মাদক কারবারিরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে আসামীদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকার উল্টে নিহত ৩

রূপগঞ্জে র‌্যাবের উপর হামলার ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার-১১

প্রকাশিত : ০৬:০১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় মাদক উদ্ধার অভিযানকে কেন্দ্র করে মাদক কারবারিরা র‌্যাবের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। র‌্যাব বিদেশী পিস্তলসহ মাদক উদ্ধার
করেছে। গ্রেফতার করেছেন ১১জনকে। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুসহ ৩১জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামী করে রূপগঞ্জ থানায় ৩টি মামলা করা হয়। ৩ কেজি ৮৫০ গ্রাম গাঁজা, মাদক বিক্রির ২৮ হাজার ৪০০ টাকা, ১৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিজ দখল এবং হেফাজত রাখানার অপরাধ, ম্যাগজিনসহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার, র‌্যাবের উপর হামলা আইনি কাজে বাঁধা, আসামী ছিনতাইয়ের চেষ্টা, গুলি, সরকারী গাড়ি ভাংচুর, দাঙ্গায় লিপ্ত, অপরাধে র‌্যাব-১, সিপিসি-১ এর নায়েব সুবেদার তৌফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা ৩টি করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার পারভিন বেগম, রিপন মিয়া, রাজু আহাম্মেদ রাজা, ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুর ভাই হাসান, তপু মিয়া, জসিম বেপারী, বাবু, আমিন, রাসেল হোসেন, নাজমুল হোসেন রায়হান ও সুজন। এছাড়া পলাতক আসামীরা হলেন, একই এলাকার ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলু, শাওন, মোস্তফা, শিল্পী বেগম, মোবারক, ফাইজউদ্দিন, শাহআলম, সোহাগ মাঝি, মিঠু, সিরাজুল, সাদ্দাম, মুন্না, পিয়াস, ওমর, মহসিন, বিল্লাল, আরাফাত, সমাট, বিকাশ ও মাল্টা রনিসহ ৪০০ থেকে ৫০০ আসামী।
এজাহারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা চনপাড়া
পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারসহ গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিয়ে গাড়িতে উঠানোর সময় এজাহার নামীয় ও
অজ্ঞাত পলাতক আসামীরা দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইটপাটকেল মেরে গ্রেফতারকৃত আসামীদের ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তার পাশে টায়ারে আগুন ধরিয়ে অবরুদ্ধ করে আইনানুগ কাজে বাঁধা প্রদান করার লক্ষ্যে র‌্যাবকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে র‌্যাব সদস্য নাঈম ইসলাম, খন্দকার কামরুজ্জামান ইমন আহত হয়। হামলাকারীরা র‌্যাবের সরকারী
গাড়ি ভাংচুর করে। এসময় র‌্যাব সদস্যরা আত্নরক্ষার্থে ৭৭ রাউন্ড গুলি ও কার্তুজ ফায়ার করেন। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ মিনিট গোলাগুলি হয়। খবর পেয়ে র‌্যাব-১১, র‌্যাব-১ এর পুর্বাচল ক্যাম্প ও রূপগঞ্জ থানা পুলিশসহ আইনশৃংলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে র‌্যাব সদস্যদের উদ্ধার করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। আসামীদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের মধ্যে বেশ কয়েকজন নাম না প্রকাশ শর্তে বলেন, চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্রটি অপরাধের রাজ্যে হিসেবে পরিচিত। এখানে মাদক ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধী বসবাস করে থাকে। আর অপরাধীদের ভয়ে এখানে বসবাসরত নিরীহ মানুষ গুলো অসহায় হয়ে বসবাস করতে হয়। চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায় অর্ধালক্ষাধীক মানুষের বসবাস। এখানে কিছু সংখ্যক অপরাধীর জন্য
সকলের বদনাম হচ্ছে। রাজু আহাম্মেদ রাজা একজন মাদকের ডিলার তাকে বানানো হয়েছে চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকার মাদক নির্মূল কমিটির আহবায়ক। সিটি শাহিন, রাজাসহ এখানে বেশ কয়েকটি বাহিনী পাইকারী ও খুচরা মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধ করে আসছে। আর এদেরকে সেল্টার দিচ্ছেন বজলুর রহমান বজলু। আর এরাই এলাকায় সকল প্রকার অপরাধ করে
থাকে। মাদক উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করতে র‌্যাব অভিযান পরিচালনা করেন
চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকায়। এসময় নাদের বক্সের ছেলে ও ইউপি সদস্য বজলুর রহমান বজলুর ভাই হাসান, খলিল সরদারের মেয়ে মুন্নি, মাহাবুবুর
রহমানের ছেলে রাজু আহাম্মেদ রাজা ও একই এলাকার তপুসহ বেশ কয়েকজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে মাদক কারবারিরা র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে আসামীদের ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ