একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে)।শনিবার ১ অক্টোবর গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শোক বিবৃতি সিইউজে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রয়াত তোয়াব খান ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক জীবন্ত আর্কাইভ। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এ শব্দসৈনিক মুক্তিযুদ্ধকালে যে ভূমিকা রেখেছেন তা দেশবাসী কৃতজ্ঞতার সঙ্গে চিরদিন স্মরণে রাখবে। পাশাপাশি বাংলাদেশে আধুনিক সাংবাদিকতার বিকাশে বর্ষীয়ান এ সাংবাদিকের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন সাতক্ষীরায় জন্ম নেওয়া তোয়াব খান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। মৃত্যুর আগে দৈনিক বাংলার সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। এর আগে তিনি দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে। ১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন। তিনি প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব


























