০৫:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

মানবপাচারকারী ও প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২

অর্ধশতাধিক ভিকটিমের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ জানতে পারে যে, রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় একটি মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনে চাকুরী দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ গমনে ইচ্ছুক নীরিহ, দরিদ্র বেকার যুবকদের নিকট হতে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে সর্বশান্ত করছে এবং বিদেশে গিয়ে তারা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এরকম কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

ভিক্টিমদের অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৬ অক্টোবর ২০২২ ইং রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে মানবপাচার ও প্রতারক চক্রের মূলহোতা মাহবুব উল হাসান (৫০)মাহমুদ করিম (৩৬)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামীদের হেফাজত হতে ৫২১ টি পাসপোর্ট, বিদেশে চাকুরীর জন্য তৈরীকৃত ভ‚য়া কোর্সের সনদ ৬৫ টি, ভ‚য়া মেডিকেল সার্টিফিকেট ৩০০ টি, ভ‚য়া কোভিড ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেট ২২৫ টি, সৌদি, ইরাক, কুয়েত, দুবাই, রোমানিয়া, কানাডা এবং কম্বোডিয়ায় চাকরীর ভ‚য়া চুক্তিপত্র, ভ‚য়া মেডিকেল সার্টিফিকেট, টাকা গ্রহণ রেজিস্টার ০৩ টি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ১৫ টি, রোমানিয়ান জাল ভিসা ০৭ টি, জাল কাগজ পত্র তৈরীর কাজে ব্যবহৃত মনিটর, সিপিইউ, কী বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার এবং প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এযাবৎ তারা বিভিন্ন অসহায় দরিদ্র লোকের নিকট হতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উক্ত চক্রের মূলহোতা মাহবুব উল হাসান এবং তার প্রধান সহযোগী মাহমুদ করিম। তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে দালালের মাধ্যমে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গমনে ইচ্ছুক লোকজনের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে।এভাবে তারা গত দুই বছরে ৫২১ টি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে।এর মধ্যে যারা মধ্যেপ্রাচ্যে যেতে ইচ্ছুক তাদের নিকট হতে সে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা করে এবং যারা ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক তাদের নিকট হতে ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা করে জমা নেয়।

 

সে ২০১২ সালে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চুরির দায়ে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে ০৭ মাস জেল খাটে। জামিনে মুক্তি হয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য রাজধানীতে আসে। পরবর্তীতে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে প্রতারক মাহবুব উল আলম এর সাথে পরিচয় হয়। ২০১৪ সাল থেকে সে স্বল্প শ্রমে অধিক অর্থ উপার্জনের আশায় ধৃত মাহবুব উল আলম এর প্রধান সহযোগী ও ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা শুরু করে। তিনিও ভিকটিমদের নিকট হতে পাসপোর্ট এবং টাকা সংগ্রহসহ প্রতারণার সকল কাজে মূলহোতা মাহবুব উল হাসানকে সকল প্রকার সহযোগিতা করেছে।ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

ট্যাগ :

মানবপাচারকারী ও প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ গ্রেফতার ২

প্রকাশিত : ০৩:১৪:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ অক্টোবর ২০২২

অর্ধশতাধিক ভিকটিমের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ জানতে পারে যে, রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় একটি মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চ বেতনে চাকুরী দেয়ার মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে বিদেশ গমনে ইচ্ছুক নীরিহ, দরিদ্র বেকার যুবকদের নিকট হতে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদেরকে সর্বশান্ত করছে এবং বিদেশে গিয়ে তারা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এরকম কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

ভিক্টিমদের অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল গত ০৬ অক্টোবর ২০২২ ইং রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে মানবপাচার ও প্রতারক চক্রের মূলহোতা মাহবুব উল হাসান (৫০)মাহমুদ করিম (৩৬)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ধৃত আসামীদের হেফাজত হতে ৫২১ টি পাসপোর্ট, বিদেশে চাকুরীর জন্য তৈরীকৃত ভ‚য়া কোর্সের সনদ ৬৫ টি, ভ‚য়া মেডিকেল সার্টিফিকেট ৩০০ টি, ভ‚য়া কোভিড ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেট ২২৫ টি, সৌদি, ইরাক, কুয়েত, দুবাই, রোমানিয়া, কানাডা এবং কম্বোডিয়ায় চাকরীর ভ‚য়া চুক্তিপত্র, ভ‚য়া মেডিকেল সার্টিফিকেট, টাকা গ্রহণ রেজিস্টার ০৩ টি, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ১৫ টি, রোমানিয়ান জাল ভিসা ০৭ টি, জাল কাগজ পত্র তৈরীর কাজে ব্যবহৃত মনিটর, সিপিইউ, কী বোর্ড, মাউস, স্ক্যানার এবং প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এযাবৎ তারা বিভিন্ন অসহায় দরিদ্র লোকের নিকট হতে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। উক্ত চক্রের মূলহোতা মাহবুব উল হাসান এবং তার প্রধান সহযোগী মাহমুদ করিম। তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে দালালের মাধ্যমে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গমনে ইচ্ছুক লোকজনের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে।এভাবে তারা গত দুই বছরে ৫২১ টি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে।এর মধ্যে যারা মধ্যেপ্রাচ্যে যেতে ইচ্ছুক তাদের নিকট হতে সে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা করে এবং যারা ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক তাদের নিকট হতে ছয় থেকে সাত লক্ষ টাকা করে জমা নেয়।

 

সে ২০১২ সালে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায় চুরির দায়ে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়ে ০৭ মাস জেল খাটে। জামিনে মুক্তি হয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য রাজধানীতে আসে। পরবর্তীতে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে প্রতারক মাহবুব উল আলম এর সাথে পরিচয় হয়। ২০১৪ সাল থেকে সে স্বল্প শ্রমে অধিক অর্থ উপার্জনের আশায় ধৃত মাহবুব উল আলম এর প্রধান সহযোগী ও ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা শুরু করে। তিনিও ভিকটিমদের নিকট হতে পাসপোর্ট এবং টাকা সংগ্রহসহ প্রতারণার সকল কাজে মূলহোতা মাহবুব উল হাসানকে সকল প্রকার সহযোগিতা করেছে।ধৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব