০১:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

সাতটি ভেন্যুতে হবে এবারের ১৬ দলের বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াই। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগামী ১৩ নভেম্বর হবে ফাইনাল। সেমিফাইনাল হবে অ্যাডিলেড ওভাল ও সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ব্রিসবেনের গ্যাবা, জিলংয়ের কারদিনিয়া পার্ক, হোবার্টের বেলেরিভ ওভাল ও পার্থ স্টেডিয়াম অন্য চার ভেন্যু।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি)

১৮৫৩ সালে নির্মিত এমসিজি সাউদার্ন হেমিস্ফিয়ারের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম, আর বিশ্বের দশম। ধারণক্ষমতা ১ লাখ।

ইতিহাসের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী স্টেডিয়াম এটি এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি হয়েছে এখানে।

এমসিজিতে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল ১৮৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ১৮৫৬ সালের মার্চে প্রথম আন্তঃঔপনিবেশিক ম্যাচ হয়েছিল ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্যে।

১৮৭৭ সালে টেস্ট ও ১৯৭১ সালে ওয়ানডের জন্ম হয়েছিল এই এমসিজিতে। এএফএল গ্র্যান্ড ফাইনালের হোম এটি এবং ১৯৫৬ সালের অলিম্পিক গেমস ও ২০০৬ সালে কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজনও হয়েছিল এখানে। লর্ডসের বাইরে এমসিজি একমাত্র স্টেডিয়াম, যেখানে একাধিকবার হয়েছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল (১৯৯২ ও ২০১৫)।

১৯৯১ সালে এমসিজি নতুন করে সংস্কার করা হয়। ওই সময় নতুন করে তৈরি হয় গ্রেট সাউদার্ন স্ট্যান্ড। এরপর ২০০৩-০৫ এ ওল্ড পন্সফোর্ড, মেম্বার্স ও অলিম্পিক স্ট্যান্ডসের বদলে করা হয় নর্দার্ন স্ট্যান্ড। আসন্ন বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে এই এমসিজিতে।

অ্যাডিলেড ওভাল

অস্ট্রেলিয়ার কসমোপলিটন শহরের গর্বিত এক ভেন্যু অ্যাডিলেড ওভাল। খেলাধুলা, শিল্প ও সাংস্কৃতি ইতিহাসের জন্য বেশ পরিচিত, এর ঐতিহ্য ও আধুনিক সুযোগ সুবিধার কারণে বেশ জনপ্রিয় এই স্টেডিয়াম

২০১৩ সালে বড় ধরনের সংস্কার হয়েছিল, যাতে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৫৩ হাজার। তারপর থেকেই বিশ্বমানের খেলাধুলার ইভেন্টের জন্য খ্যাতনামা হয়ে উঠেছে এটি।

অ্যাডিলেড ওভাল অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগ, ক্রিকেট, সকার, রাগবি লিগ আয়োজন ছাড়াও অ্যাডিল, গানস এন’রোজেস ও দ্য রোলিং স্টোনসের মতো খ্যাতনামা শিল্পীদের কনসার্টও হয়েছে।

প্রায় দেড়শ বছর ধরে গর্বের সঙ্গে ক্রিকেট আয়োজন করছে সাউথ অস্ট্রেলিয়া। এক দশক ধরে রেকর্ড ভাঙা কিছু ম্যাচও আয়োজিত হয়েছে এখানে, ২০১৭ সালে প্রথম দিবারাত্রির অ্যাশেজ টেস্ট হয়েছিল সেখানে।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট লিজেন্ড স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের সম্মানে নির্মিত বিশ্ব খ্যাত ব্র্যাডম্যান কালেকশন মিউজিয়াম আছে এখানে। এছাড়া আকাশ থেকে এই বিশেষ জায়গা দেখারও সুযোগ আছে এখানে।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড

দেড়শ বছরের পুরোনো এই সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। প্রায় সব বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার এই ঐতিহাসিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মাতিয়ে গেছেন। দেশের স্থাপত্যশিল্ডে এই গ্রাউন্ড আছে সামনের সারিতে।

সিডনির পূর্বের দিকে সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্রে অবিস্থতিএসসিজি। ভিক্টোরিয়া ব্যারাক, প্যাডিংটনের পেছনে পূর্বের ১৮৫২ গ্যারিসন গ্রাউন্ডে নির্মিত হয়েছে এসসিজি।

এসসিজি বিশ্বের অন্যতম প্রধান ভেন্যু হিসেবে পরিচিত। নতুন বছরের টেস্ট ছাড়াও আন্তর্জাতিক ওয়ানডে এখানেই অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া এনএসডব্লিউ ব্লুস ও সিডনি সিক্সার্সের হোম গ্রাউন্ড এটি।

দ্য গ্যাবা, ব্রিসবেন

১৮৯৬ সাল থেকে কুইন্সল্যান্ডের হোম অব ক্রিকেট গ্র্যাবা। শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফর্মের খেলা আয়োজিত হয়।

সাধারণত অস্ট্রেলিয়ান সামারের প্রথম টেস্ট ম্যাচ এখানেই হয়ে থাকে। আসন্ন বিশ্বকাপে উত্তেজনায় ভরা ম্যাচ হবে বলে প্রত্যাশা। কারণ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য যে ধরনের দ্রুতগতির ও বাউন্সি পিচ দরকার, তার সবকিছুই আছে।

কারদিনিয়া পার্ক, জিলং

ভিক্টোরিয়ার সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর স্টেডিয়াম কারদিনিয়া পার্ক। সম্প্রতি যে সংস্কার হয়েছে, তাতে করে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ আঞ্চুলিক ভেন্যু হয়ে উঠেছে এটি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ফ্যাসিলিটিও রয়েছে এখানে। ১৯৪১ সালে এটি নির্মিত হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগ দল জিলং ক্যাটসের হোম ভেন্যু এটি এবং আরও অন্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও হয়ে থাকে।

এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা বেশ কম, ৩০ হাজারের একটু বেশি। নেটবল ও অ্যাকুয়াটিক ফ্যাসিলিটিজ নিয়ে নির্মিত কমিউনিটি হাব কারদিনিয়া পার্ক। রয়েছে অ্যাম্পল পার্ক ও প্লেগ্রাউন্ড। সাম্প্রতিক সময়ে কারদিনিয়া পার্ক বিগ ব্যাশ লিগ, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, প্রীতি সকার ম্যাচ, সুপার রাগবি ও নিট্রো সার্কাস আয়োজন করেছে।

বেলেরিভ ওভাল, হোবার্ট

সিডনির আছে বালমেইন, মেলবোর্নের উইলিয়ামসটাউন, পার্থের ফ্রিম্যান্টল এবং হোবার্টের বেলেরিভ, এটি ঐতিহাসিক বন্দর। সেখানেই অবস্থিত বেলেরিভ ওভাল। ১৯১৪ সালে বেলেরিভ ওভালে হয়েছিল প্রথম আনুষ্ঠানিক ক্রিকেট ম্যাচ। তবে ক্রিকেট তাসমানিয়া নদীর ওপার থেকে এসে এখানে স্টাম্প পুতেছিল ১৯৮৭ সালে। দ্য ওভাল গত কয়েক বছর ধরে সংস্কারের মধ্যে ছিল। ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেই তৈরি হয় রিকি পন্টিং স্ট্যান্ড, এর ধারণক্ষমতা ২০ হাজার।

পার্থ স্টেডিয়াম

বার্সউড পেনিনসুলায় পার্থ সিবিডির পূর্বে অবস্থিত পার্থ স্টেডিয়াম। ছবির মতো দেখতে সুন্দর সোয়ান রিভার ও পার্থ সিটি এর পশ্চিমে এবং পূর্বে পাহাড়। ৬০ হাজার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই বিশ্বমানের স্টেডিয়ামে বিভিন্ন ধরনের খেলা হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল, সকার, রাগবি লিগ ও রাগবি ইউনিয়নের খেলা হয়। এমনকি কনসার্টও হয়েছে।

২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি পার্থ স্টেডিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। সুপার টুয়েলভ পর্বের প্রথম দিনের খেলা হবে এখানে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

প্রকাশিত : ০৪:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২

সাতটি ভেন্যুতে হবে এবারের ১৬ দলের বিশ্বসেরা হওয়ার লড়াই। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আগামী ১৩ নভেম্বর হবে ফাইনাল। সেমিফাইনাল হবে অ্যাডিলেড ওভাল ও সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। ব্রিসবেনের গ্যাবা, জিলংয়ের কারদিনিয়া পার্ক, হোবার্টের বেলেরিভ ওভাল ও পার্থ স্টেডিয়াম অন্য চার ভেন্যু।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি)

১৮৫৩ সালে নির্মিত এমসিজি সাউদার্ন হেমিস্ফিয়ারের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম, আর বিশ্বের দশম। ধারণক্ষমতা ১ লাখ।

ইতিহাসের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী স্টেডিয়াম এটি এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি হয়েছে এখানে।

এমসিজিতে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ হয়েছিল ১৮৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ১৮৫৬ সালের মার্চে প্রথম আন্তঃঔপনিবেশিক ম্যাচ হয়েছিল ভিক্টোরিয়া ও নিউ সাউথ ওয়েলসের মধ্যে।

১৮৭৭ সালে টেস্ট ও ১৯৭১ সালে ওয়ানডের জন্ম হয়েছিল এই এমসিজিতে। এএফএল গ্র্যান্ড ফাইনালের হোম এটি এবং ১৯৫৬ সালের অলিম্পিক গেমস ও ২০০৬ সালে কমনওয়েলথ গেমসের আয়োজনও হয়েছিল এখানে। লর্ডসের বাইরে এমসিজি একমাত্র স্টেডিয়াম, যেখানে একাধিকবার হয়েছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনাল (১৯৯২ ও ২০১৫)।

১৯৯১ সালে এমসিজি নতুন করে সংস্কার করা হয়। ওই সময় নতুন করে তৈরি হয় গ্রেট সাউদার্ন স্ট্যান্ড। এরপর ২০০৩-০৫ এ ওল্ড পন্সফোর্ড, মেম্বার্স ও অলিম্পিক স্ট্যান্ডসের বদলে করা হয় নর্দার্ন স্ট্যান্ড। আসন্ন বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে এই এমসিজিতে।

অ্যাডিলেড ওভাল

অস্ট্রেলিয়ার কসমোপলিটন শহরের গর্বিত এক ভেন্যু অ্যাডিলেড ওভাল। খেলাধুলা, শিল্প ও সাংস্কৃতি ইতিহাসের জন্য বেশ পরিচিত, এর ঐতিহ্য ও আধুনিক সুযোগ সুবিধার কারণে বেশ জনপ্রিয় এই স্টেডিয়াম

২০১৩ সালে বড় ধরনের সংস্কার হয়েছিল, যাতে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৫৩ হাজার। তারপর থেকেই বিশ্বমানের খেলাধুলার ইভেন্টের জন্য খ্যাতনামা হয়ে উঠেছে এটি।

অ্যাডিলেড ওভাল অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগ, ক্রিকেট, সকার, রাগবি লিগ আয়োজন ছাড়াও অ্যাডিল, গানস এন’রোজেস ও দ্য রোলিং স্টোনসের মতো খ্যাতনামা শিল্পীদের কনসার্টও হয়েছে।

প্রায় দেড়শ বছর ধরে গর্বের সঙ্গে ক্রিকেট আয়োজন করছে সাউথ অস্ট্রেলিয়া। এক দশক ধরে রেকর্ড ভাঙা কিছু ম্যাচও আয়োজিত হয়েছে এখানে, ২০১৭ সালে প্রথম দিবারাত্রির অ্যাশেজ টেস্ট হয়েছিল সেখানে।

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট লিজেন্ড স্যার ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যানের সম্মানে নির্মিত বিশ্ব খ্যাত ব্র্যাডম্যান কালেকশন মিউজিয়াম আছে এখানে। এছাড়া আকাশ থেকে এই বিশেষ জায়গা দেখারও সুযোগ আছে এখানে।

সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড

দেড়শ বছরের পুরোনো এই সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। প্রায় সব বিখ্যাত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার এই ঐতিহাসিক ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মাতিয়ে গেছেন। দেশের স্থাপত্যশিল্ডে এই গ্রাউন্ড আছে সামনের সারিতে।

সিডনির পূর্বের দিকে সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্রে অবিস্থতিএসসিজি। ভিক্টোরিয়া ব্যারাক, প্যাডিংটনের পেছনে পূর্বের ১৮৫২ গ্যারিসন গ্রাউন্ডে নির্মিত হয়েছে এসসিজি।

এসসিজি বিশ্বের অন্যতম প্রধান ভেন্যু হিসেবে পরিচিত। নতুন বছরের টেস্ট ছাড়াও আন্তর্জাতিক ওয়ানডে এখানেই অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া এনএসডব্লিউ ব্লুস ও সিডনি সিক্সার্সের হোম গ্রাউন্ড এটি।

দ্য গ্যাবা, ব্রিসবেন

১৮৯৬ সাল থেকে কুইন্সল্যান্ডের হোম অব ক্রিকেট গ্র্যাবা। শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফর্মের খেলা আয়োজিত হয়।

সাধারণত অস্ট্রেলিয়ান সামারের প্রথম টেস্ট ম্যাচ এখানেই হয়ে থাকে। আসন্ন বিশ্বকাপে উত্তেজনায় ভরা ম্যাচ হবে বলে প্রত্যাশা। কারণ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য যে ধরনের দ্রুতগতির ও বাউন্সি পিচ দরকার, তার সবকিছুই আছে।

কারদিনিয়া পার্ক, জিলং

ভিক্টোরিয়ার সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর স্টেডিয়াম কারদিনিয়া পার্ক। সম্প্রতি যে সংস্কার হয়েছে, তাতে করে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ আঞ্চুলিক ভেন্যু হয়ে উঠেছে এটি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ফ্যাসিলিটিও রয়েছে এখানে। ১৯৪১ সালে এটি নির্মিত হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ান ফুটবল লিগ দল জিলং ক্যাটসের হোম ভেন্যু এটি এবং আরও অন্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও হয়ে থাকে।

এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা বেশ কম, ৩০ হাজারের একটু বেশি। নেটবল ও অ্যাকুয়াটিক ফ্যাসিলিটিজ নিয়ে নির্মিত কমিউনিটি হাব কারদিনিয়া পার্ক। রয়েছে অ্যাম্পল পার্ক ও প্লেগ্রাউন্ড। সাম্প্রতিক সময়ে কারদিনিয়া পার্ক বিগ ব্যাশ লিগ, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, প্রীতি সকার ম্যাচ, সুপার রাগবি ও নিট্রো সার্কাস আয়োজন করেছে।

বেলেরিভ ওভাল, হোবার্ট

সিডনির আছে বালমেইন, মেলবোর্নের উইলিয়ামসটাউন, পার্থের ফ্রিম্যান্টল এবং হোবার্টের বেলেরিভ, এটি ঐতিহাসিক বন্দর। সেখানেই অবস্থিত বেলেরিভ ওভাল। ১৯১৪ সালে বেলেরিভ ওভালে হয়েছিল প্রথম আনুষ্ঠানিক ক্রিকেট ম্যাচ। তবে ক্রিকেট তাসমানিয়া নদীর ওপার থেকে এসে এখানে স্টাম্প পুতেছিল ১৯৮৭ সালে। দ্য ওভাল গত কয়েক বছর ধরে সংস্কারের মধ্যে ছিল। ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগেই তৈরি হয় রিকি পন্টিং স্ট্যান্ড, এর ধারণক্ষমতা ২০ হাজার।

পার্থ স্টেডিয়াম

বার্সউড পেনিনসুলায় পার্থ সিবিডির পূর্বে অবস্থিত পার্থ স্টেডিয়াম। ছবির মতো দেখতে সুন্দর সোয়ান রিভার ও পার্থ সিটি এর পশ্চিমে এবং পূর্বে পাহাড়। ৬০ হাজার ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই বিশ্বমানের স্টেডিয়ামে বিভিন্ন ধরনের খেলা হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবল, সকার, রাগবি লিগ ও রাগবি ইউনিয়নের খেলা হয়। এমনকি কনসার্টও হয়েছে।

২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি পার্থ স্টেডিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। সুপার টুয়েলভ পর্বের প্রথম দিনের খেলা হবে এখানে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব