০৬:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

গ্রাহকের শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতা আজাদ গ্রেফতার

সাম্প্রতিক সময়ে “জনতা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড” নামে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ভূক্তভোগীরা মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, রাজশাহী, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার সাধারন পেশাজীবী মানুষ এই প্রতারক চক্রটির খপ্পরে পড়ে ব্যবসায়ে অতিরিক্ত লভ্যাংশ প্রাপ্তির আশায় লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন।

বেশির ভাগ মানুষ তাদের সারাজীবনের কষ্টার্জিত জমানো অর্থ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রতারক চক্রের সদস্যরা সাধারন মানুষের প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বর্ণিত প্রতারণার ঘটনা প্রচারে দেশব্যাপী চাঞ্চল্য ও আলোড়নের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রতিতে র‍্যাব-৩ উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখ রাতে র‍্যাব-৩ এর অভিযানে রাজধানীর কল্যাণপুরে আতœগোপনে থাকা অবস্থায় প্রতারণাপূর্বক অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের মূলহোতা ১। খন্দকার আবুল কালাম আজাদ (৫৩)কুষ্টিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।২০০৩ সাল থেকে “জনতা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি” নামে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার খন্দকার আবুল কালাম আজাদ নামের এক ব্যক্তি উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ জামানত হিসেবে গ্রহণ করত।

এভাবে ২০১২ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যায়। ২০১৩ সাল হতে কুষ্টিয়া, খুলনা, মেহেরপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহী জেলায় উক্ত প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে বৃহদাকারে “জনতা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড” নামে প্রতিষ্ঠান শুরু করে।

সহজ শর্তে ব্যবসায়ীদের জন্য মোটা অঙ্কের ও প্রান্তিক মানুষের জন্য ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের কার্যক্রম শুরু করে। গ্রাহকরা “তফশিলি ব্যাংক” মনে করে তাতে আমানত রাখতে শুরু করেন। অনেক ব্যবসায়ীকে প্রতিষ্ঠানটি মোটা অঙ্কের ঋণ প্রদানের কারনে ব্যবসায়ীরা ঝুঁকে পড়ে ওই প্রতিষ্ঠানে। বিভিন্ন জেলা শহর গুলোতে দৃষ্টিনন্দন ও নামীদামি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চাকচিক্যময় অফিস খুলে বসে। মূলত সে পরিবার কেন্দ্রিকভাবে ব্যবসা শুরু করে যেখানে তার স্ত্রী, ছোট ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী মিলে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করত। এভাবে অল্প সময়ে তারা প্রচুর পরিমান অর্থ জামানত হিসেবে গ্রহণ করতে আত্মসাৎ করতে সক্ষম হয়।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম করে নিজের জেলা কুষ্টিয়াতে ১৫ বিঘা জমি, ০১টি ০৬ তলা বিশিষ্ট ভবন, ০১টি ইটের ভাটা এবং রাজশাহীতে ১১ বিঘা জমি ক্রয় করে।আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে সে ঢাকার উত্তরায় বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও গাড়ি ক্রয় করে। তার স্ত্রীর নামে পোষ্ট অফিসে ২০ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংকে তার একাউন্ট রয়েছে এবং একটি প্রাইভেট ব্যাংকে তার ২ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। এছাড়াও নামে বেনামে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে প্রচুর সম্পদ রয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

গ্রাহকের শতকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতা আজাদ গ্রেফতার

প্রকাশিত : ০৪:১৬:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ অক্টোবর ২০২২

সাম্প্রতিক সময়ে “জনতা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড” নামে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ভূক্তভোগীরা মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, রাজশাহী, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার সাধারন পেশাজীবী মানুষ এই প্রতারক চক্রটির খপ্পরে পড়ে ব্যবসায়ে অতিরিক্ত লভ্যাংশ প্রাপ্তির আশায় লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে সর্বস্বান্ত হয়েছেন।

বেশির ভাগ মানুষ তাদের সারাজীবনের কষ্টার্জিত জমানো অর্থ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রতারক চক্রের সদস্যরা সাধারন মানুষের প্রায় অর্ধশত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন জেলায় মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বর্ণিত প্রতারণার ঘটনা প্রচারে দেশব্যাপী চাঞ্চল্য ও আলোড়নের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রতিতে র‍্যাব-৩ উক্ত ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখ রাতে র‍্যাব-৩ এর অভিযানে রাজধানীর কল্যাণপুরে আতœগোপনে থাকা অবস্থায় প্রতারণাপূর্বক অর্থ আত্মসাৎকারী চক্রের মূলহোতা ১। খন্দকার আবুল কালাম আজাদ (৫৩)কুষ্টিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।২০০৩ সাল থেকে “জনতা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি” নামে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার খন্দকার আবুল কালাম আজাদ নামের এক ব্যক্তি উচ্চ মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমান অর্থ জামানত হিসেবে গ্রহণ করত।

এভাবে ২০১২ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যায়। ২০১৩ সাল হতে কুষ্টিয়া, খুলনা, মেহেরপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহী জেলায় উক্ত প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে বৃহদাকারে “জনতা সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড” নামে প্রতিষ্ঠান শুরু করে।

সহজ শর্তে ব্যবসায়ীদের জন্য মোটা অঙ্কের ও প্রান্তিক মানুষের জন্য ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের কার্যক্রম শুরু করে। গ্রাহকরা “তফশিলি ব্যাংক” মনে করে তাতে আমানত রাখতে শুরু করেন। অনেক ব্যবসায়ীকে প্রতিষ্ঠানটি মোটা অঙ্কের ঋণ প্রদানের কারনে ব্যবসায়ীরা ঝুঁকে পড়ে ওই প্রতিষ্ঠানে। বিভিন্ন জেলা শহর গুলোতে দৃষ্টিনন্দন ও নামীদামি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চাকচিক্যময় অফিস খুলে বসে। মূলত সে পরিবার কেন্দ্রিকভাবে ব্যবসা শুরু করে যেখানে তার স্ত্রী, ছোট ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী মিলে উক্ত প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করত। এভাবে অল্প সময়ে তারা প্রচুর পরিমান অর্থ জামানত হিসেবে গ্রহণ করতে আত্মসাৎ করতে সক্ষম হয়।

উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম করে নিজের জেলা কুষ্টিয়াতে ১৫ বিঘা জমি, ০১টি ০৬ তলা বিশিষ্ট ভবন, ০১টি ইটের ভাটা এবং রাজশাহীতে ১১ বিঘা জমি ক্রয় করে।আত্মসাৎকৃত অর্থ দিয়ে সে ঢাকার উত্তরায় বেশ কয়েকটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও গাড়ি ক্রয় করে। তার স্ত্রীর নামে পোষ্ট অফিসে ২০ লক্ষ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংকে তার একাউন্ট রয়েছে এবং একটি প্রাইভেট ব্যাংকে তার ২ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে। এছাড়াও নামে বেনামে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নামে প্রচুর সম্পদ রয়েছে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব