০৩:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে শ্রমিকেরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে। এরই মধ্যে কুষ্টিয়ায় গত একমাসে ১৫০জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে এক যুবক মারা গেছে।

গত শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ১৩ জন এবং ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯ জন ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ভেড়ামারা উপজেলার বাসিন্দা এবং তারা পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার নির্মাণাধীন রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের শ্রমিক। জানা গেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা অধিকাংশই ভেড়ামারা, মিরপুর ও দৌলতপুরের। এতে করে ধারণা করা হচ্ছে এই ৩ উপজেলায় ঙেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশী।

চলতি বছরে কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় কোন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি। আব্দুল হামিদ নামের ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর এলাকার এক রোগী পাঁচ দিন ধরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিকের কাজ করেন। এক সপ্তাহ আগে তার জ¦র হয় এ সময় তাকে প্রথমে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে ৫দিন আগে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতলে নিয়ে আসা হয়েছে। সে বলে, বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিতরে পানি জমে থাকে বলে সেখানে প্রচুর মশা।

কাজে গেলে মশার কামুড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পরতে হয়। সোমবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে গেলে সেখানে দেখা যায় নিচ তলার জরুরী বিভাগের পাশে দুটি মাঝারি আকারে কক্ষে ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। সেখানে ১৩/১৪জন রোগী ভর্তি আছে। রোগীরা সবাই মশারি টাঙ্গিয়ে মশারির ভিতরে অবস্থান করছে। মিরপুর উপজেলারি রিগানের বড়ভাই রুবায়েত জানান, ১৫দিন চিকিৎসা নেয়ার পর তার ভাইকে শুক্রবার ছাড়পত্র দিয়েছে। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আব্দুল আলিমের দেয়া তথ্যমতে চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুরো জেলায় মাত্র একজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ছিল। এর মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে ১১জন সনাক্ত হয়। এর পর গত এক মাসে ১৫০জন আক্রান্ত হয়।

এর মধ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎাসাধীন অবস্থায় রাব্বি সরদার ( ২০) নামের একজন মারা যায়। তিনি রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকের কাজ করতেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, হঠাৎ ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর বেশীর ভাগই রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক। তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সেবা দেয়া হচ্ছে। সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীরা অধিকাংশই রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক। আক্রান্তের ৭০জনই ভেড়ামারার বাসিন্দা। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এলাকা থেকে এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে এডিসের লার্ভা নিধনে ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাবনার সিভিল সার্জনের সাথে কথা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

 

জনপ্রিয়

কুষ্টিয়ায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশিত : ০১:০২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে শ্রমিকেরা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছে। এরই মধ্যে কুষ্টিয়ায় গত একমাসে ১৫০জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে এক যুবক মারা গেছে।

গত শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ১৩ জন এবং ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জনসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ১৯ জন ভর্তি হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই ভেড়ামারা উপজেলার বাসিন্দা এবং তারা পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার নির্মাণাধীন রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের শ্রমিক। জানা গেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে যারা ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা অধিকাংশই ভেড়ামারা, মিরপুর ও দৌলতপুরের। এতে করে ধারণা করা হচ্ছে এই ৩ উপজেলায় ঙেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশী।

চলতি বছরে কুমারখালী ও খোকসা উপজেলায় কোন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়নি। আব্দুল হামিদ নামের ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর এলাকার এক রোগী পাঁচ দিন ধরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত বিষয়ে তিনি বলেন, তিনি রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে শ্রমিকের কাজ করেন। এক সপ্তাহ আগে তার জ¦র হয় এ সময় তাকে প্রথমে ভেড়ামারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে ৫দিন আগে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতলে নিয়ে আসা হয়েছে। সে বলে, বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভিতরে পানি জমে থাকে বলে সেখানে প্রচুর মশা।

কাজে গেলে মশার কামুড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পরতে হয়। সোমবার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে গেলে সেখানে দেখা যায় নিচ তলার জরুরী বিভাগের পাশে দুটি মাঝারি আকারে কক্ষে ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। সেখানে ১৩/১৪জন রোগী ভর্তি আছে। রোগীরা সবাই মশারি টাঙ্গিয়ে মশারির ভিতরে অবস্থান করছে। মিরপুর উপজেলারি রিগানের বড়ভাই রুবায়েত জানান, ১৫দিন চিকিৎসা নেয়ার পর তার ভাইকে শুক্রবার ছাড়পত্র দিয়েছে। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আব্দুল আলিমের দেয়া তথ্যমতে চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুরো জেলায় মাত্র একজন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ছিল। এর মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে ১১জন সনাক্ত হয়। এর পর গত এক মাসে ১৫০জন আক্রান্ত হয়।

এর মধ্যে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎাসাধীন অবস্থায় রাব্বি সরদার ( ২০) নামের একজন মারা যায়। তিনি রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিকের কাজ করতেন। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, হঠাৎ ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। হাসপাতালে ভর্তি রোগীর বেশীর ভাগই রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক। তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সেবা দেয়া হচ্ছে। সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীরা অধিকাংশই রুপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক। আক্রান্তের ৭০জনই ভেড়ামারার বাসিন্দা। রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এলাকা থেকে এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে এডিসের লার্ভা নিধনে ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাবনার সিভিল সার্জনের সাথে কথা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব