শুক্রবার মধ্যরাত থেকে দেশের নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও পাথরঘাটার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় বরফে সংকটের কারণে সাগরে মাছ শিকারে যেতে পারেনি বরগুনার পাথরঘাটার দেড় শতাধিক ট্রলার।
জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি ছিল তাঁদের। কিন্তু বরফ শংকটে সাগরে যেতে না পেরে হতাশ আছে তাঁরা। এদিকে নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণের জন্য অনেকই মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন।
মধুমতি ফ্রস্টের নির্বাহী পরিচালক নাজমুল হক রিয়াজ বলেন, ‘পাথরঘাটায় বরফের চাহিদা প্রচুর। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের এক দিন আগে থেকেই এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ। এখনো স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ। সাত দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হওয়ায় বরফের এমন সংকট তৈরি হয়েছে।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাওয়ার জন্য দেড় শতাধিক ট্রলার বরফকলের সামনে সিরিয়াল দিয়ে এখনো বসে আছে। যারা বরফ সংগ্রহ করতে পেরেছে তারা শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সাগরে ইলিশ শিকারের জন্য রওনা দিয়ে গেছে। পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএম আব্দুস সালাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায় ও খুঁটি ভেঙে যায়। এতে সংযোগ চালু করতে একটু সময় লেগেছে। শিগগিরই এই সমস্যার সমাধান হবে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব






















