০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

শ্বেত শুভ্র বসনে পঞ্চগড়ে রূপের পেখম মেলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

ভৌগোলিক অবস্থান আর দীর্ঘ শীত ঋতুর নগরী পঞ্চগড়ে অপরূপা রূপের পেখম মেলে ধরেছে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে মেঘ ও ঘনকুয়াশা মুক্ত উত্তরাকাশে চোখ রাখতেই নয়নাভিরাম পর্বতের দেখা মিলবে। সকালে সূর্যের মিষ্টি আলোকছটায় কাঞ্চনজঙ্ঘা বাহারি রংয়ের উৎসবে মেতে ওঠে। সূর্য কিরণের সাথে বর্ণিল হয়ে ওঠে পর্বতশৃঙ্গের রং বদলের খেলা।

সাধারণত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত জেলায় ঘনকুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বয়ে যাবার কারনে বেশ শীত অনূভুত হয়। কখনও কখনও দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রী সেলসিয়াসেও নেমে আসে। এসময় জেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন বেড়াতে আসে। সমতলে চা বাগানের সবুজ কাচা চা পাতার বিস্ত‍ীর্ণ অঞ্চলের সাথে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই দেশের মাটি থেকে ভারতের সিকিম ও নেপাল সীমান্ত থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন‍্য প্রকৃতি ও সৌন্দর্য পিপাসু মানুষেরা পঞ্চগড় ভ্রমণে আসে। দূরত্ব ও ভারতীয় সীমান্ত এলাকার বড় পরিসরে ফাকা এলাকা থাকার কারণে সবচেয়ে চমৎকার দেখা যায় জেলার সর্বত্তরের উপজেলা তেতুঁলিয়ার ডাকবাংলো এলাকা থেকে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৫ শ ৮৬ মিটার উচ্চতার কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় রূপ লাবন‍্য একনজর দেখতে তাই প্রতিদিনই ডাকবাংলো চত্বরে জমছে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের ভীর।

রাজশাহী থেকে আসা হৃদয় ও তার বন্ধু সাব্বির জানায়, দেশের মধ‍্যে থেকেই প্রকৃতির এমন অপরূপা দৃশ‍্য তাদের মুগ্ধ করেছে। খালি চোখে কাঞ্চনজঙ্ঘার এমন মোহনীয় দৃশ‍্য দেখে অভিভূত সেলিনা রহমান দম্পতি। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, শীত মৌসুমে সূর্য কাঞ্চনজঙ্ঘার উপর আড়াআড়ি ভাবে সূর্যের কিরণ প্রতিফলিত হওয়ায় মেঘমুক্ত আকাশে চমৎকার দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।সূর্যের আলো যেভাবে পর্বতখন্ডে প্রতিফলিত হয়; কাঞ্চনজঙ্ঘাও তেমনি বর্ণিল বসনে তার রূপ মাধুর্য প্রস্ফুটিত করে।

তেতুলিয়ার টুরিস্ট পুলিশের ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, তেতুলিয়ায় ভ্রমণে আসা লোকজনের সার্বিক নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করছেন তারা। তেতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, তেতুলিয়া ভ্রমণে আসা পর্যটকদের উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহায়তাসহ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন‍্য মহানন্দা নদীর পাড়ে বসার ব‍্যবস্থা করেছেন
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই হিমালয় কন‍্যা পঞ্চগড়ে ভ্রমণে আসা লোকজনের সার্বিক সহায়তা করা হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

শ্বেত শুভ্র বসনে পঞ্চগড়ে রূপের পেখম মেলেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

প্রকাশিত : ১১:৩৭:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ অক্টোবর ২০২২

ভৌগোলিক অবস্থান আর দীর্ঘ শীত ঋতুর নগরী পঞ্চগড়ে অপরূপা রূপের পেখম মেলে ধরেছে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা। সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে মেঘ ও ঘনকুয়াশা মুক্ত উত্তরাকাশে চোখ রাখতেই নয়নাভিরাম পর্বতের দেখা মিলবে। সকালে সূর্যের মিষ্টি আলোকছটায় কাঞ্চনজঙ্ঘা বাহারি রংয়ের উৎসবে মেতে ওঠে। সূর্য কিরণের সাথে বর্ণিল হয়ে ওঠে পর্বতশৃঙ্গের রং বদলের খেলা।

সাধারণত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত জেলায় ঘনকুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া বয়ে যাবার কারনে বেশ শীত অনূভুত হয়। কখনও কখনও দিনের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রী সেলসিয়াসেও নেমে আসে। এসময় জেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন বেড়াতে আসে। সমতলে চা বাগানের সবুজ কাচা চা পাতার বিস্ত‍ীর্ণ অঞ্চলের সাথে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই দেশের মাটি থেকে ভারতের সিকিম ও নেপাল সীমান্ত থাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন‍্য প্রকৃতি ও সৌন্দর্য পিপাসু মানুষেরা পঞ্চগড় ভ্রমণে আসে। দূরত্ব ও ভারতীয় সীমান্ত এলাকার বড় পরিসরে ফাকা এলাকা থাকার কারণে সবচেয়ে চমৎকার দেখা যায় জেলার সর্বত্তরের উপজেলা তেতুঁলিয়ার ডাকবাংলো এলাকা থেকে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ হাজার ৫ শ ৮৬ মিটার উচ্চতার কাঞ্চনজঙ্ঘার মোহনীয় রূপ লাবন‍্য একনজর দেখতে তাই প্রতিদিনই ডাকবাংলো চত্বরে জমছে সৌন্দর্য পিপাসু মানুষের ভীর।

রাজশাহী থেকে আসা হৃদয় ও তার বন্ধু সাব্বির জানায়, দেশের মধ‍্যে থেকেই প্রকৃতির এমন অপরূপা দৃশ‍্য তাদের মুগ্ধ করেছে। খালি চোখে কাঞ্চনজঙ্ঘার এমন মোহনীয় দৃশ‍্য দেখে অভিভূত সেলিনা রহমান দম্পতি। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, শীত মৌসুমে সূর্য কাঞ্চনজঙ্ঘার উপর আড়াআড়ি ভাবে সূর্যের কিরণ প্রতিফলিত হওয়ায় মেঘমুক্ত আকাশে চমৎকার দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা।সূর্যের আলো যেভাবে পর্বতখন্ডে প্রতিফলিত হয়; কাঞ্চনজঙ্ঘাও তেমনি বর্ণিল বসনে তার রূপ মাধুর্য প্রস্ফুটিত করে।

তেতুলিয়ার টুরিস্ট পুলিশের ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, তেতুলিয়ায় ভ্রমণে আসা লোকজনের সার্বিক নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করছেন তারা। তেতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, তেতুলিয়া ভ্রমণে আসা পর্যটকদের উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহায়তাসহ কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার জন‍্য মহানন্দা নদীর পাড়ে বসার ব‍্যবস্থা করেছেন
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরই হিমালয় কন‍্যা পঞ্চগড়ে ভ্রমণে আসা লোকজনের সার্বিক সহায়তা করা হচ্ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব