পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের রাস উৎসব। সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে কুয়াকাটা রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের পুরোহিত অনন্ত মুখার্জী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রাস উৎসবের রাতে প্রতিবছরের মতো কুয়াকাটায় রাধাকৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, সমুদ্র সৈকতের তীরে মন্দিরের আঙ্গিনায় উৎসবের দিনগুলোতে হাজারো পুণ্যার্থী অবস্থান করেন। তাদের থাকা এবং খাবার ব্যবস্থা মন্দির কর্তৃপক্ষ করে থাকে। গত দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে জাঁকজমকপূর্ণভাবে রাস উৎসব আমেজ থমকে যাওয়ায় এবারের পূজা ও রাস মেলায় লক্ষাধিক লোক সমাগম হবে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কুয়াকাটা রাস উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি বিপুল চন্দ্র হাওলাদার জানান, সোমবার রাতে কুয়াকাটার রাস মেলা প্রাঙ্গণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পদাবলী কীর্তন ও ধর্মীয় আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার প্রত্যুষে লাখো পুণ্যার্থীর সমুদ্রস্নানের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হবে পুণ্যস্নান।
তিনি আরও জানান, সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটায় সোমবার (৭ নভেম্বর) রাত থেকে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) পর্যন্ত চলবে এই রাস উৎসব। পূর্ণিমা তিথি অনুযায়ী, সোমবার রাত থেকে শুরু করে মঙ্গলবার সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে মূল রাস উৎসব।
কুয়াকাটা রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের পুরোহিত অনন্ত মুখার্জী বলেন, রাস পূজার উপকরণ সামগ্রী ও বাদ্যযন্ত্র সহকারে কুলবধূদের কুঞ্জ পরিভ্রমণ, শ্রী শ্রী গোপাল ও যোহমায়ার মূর্তি নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ ও জগন্নাথ মন্দিরে গমন, প্রতিদিনের ভোগরাগ ও পূজার্চনা, ভক্তবৃন্দের আগমন, কুঞ্জ প্রদক্ষিণ, যুগল দর্শন, সন্ধ্যারতি কীর্তন ও মহোৎসবের সব প্রাক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সংকর চন্দ্র বৌদ্ধ জানান, রাস উৎসবে পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুয়াকাটার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ উৎসব এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপ করা হয়েছে।
বিজনেস বাংলাদেশ / হাবিব






















