০৪:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

বাজারজাত করনের নিশ্চয়তা পেলে মৌচাষ হতে পারে অর্থনৈতিক উন্নয়ের হাতিয়ার

তথ্য চিত্র নিয়ে রিপোর্ট করেছেন আমাদের বেনাপোলপ্রতিনিধি মসিয়ার রহমান কাজল ৷

মৌমাছি মৌমাছি কোথাও যাও নাচি নাচি একবার দাঁড়াওনা ভাই.ঐফুল ফোটে বনে যায় মধু আহরনে,এখনতো দাঁড়াবার সময় নাই। ঠিকিই সময় ছিলনা মৌমাছির কিন্তু মধু নিয়ে যথা সময়ে ফিরে এসে ধরা দিয়েছে মৌচাষী মহসিন খানের কাছে।
মধুর মত সম্পর্ক মৌমাছির সাথে তার ।তাই তারা মধু নিয়ে ফিরে আসে বন্ধুর তৈরীকরা ছোট ঘর কাঠের বাসায়।

মৌচাষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বেকার যুবকদের স্বালম্বী ও কৃষি উন্নয়নে
ব্যপক অবদান রাখতে পারে।তবেঋিন সুবিধা ও বাজারজাত করনের নিশ্চয়তা না থাকায় এবং কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ মৌচাষকে স্বীকৃতি না দেয়ায় এ চাষের সঙ্গে জড়িতরা সঠিক ভাবে নিজেদের অবদান ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।

শার্শার উপজেলার নাভারন বুরুজ বাগান গ্রামের মহসিন খান দরিদ্রতার কারনে দশম শ্রেনী পর্যন্ত লেখা পড়ার সুযোগ পেয়েছে।বেকারত্বের অভিশাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করে স্বাবলম্বী হওয়ার বাসনা নিয়ে নাভারন বাজারে একটি হোটেল এন্ড রেষ্টুডেন্ট খোলেন।এব্যবসায় লাভবান না হয়ে তাবন্ধ করে দেয়।

পরবর্তীতে জনৈক বন্ধুর পরামর্শ অনুযায়ী ১৯৮৭ সালে কানাডিয়ান সংস্থার ম্যাধ্যমে বাংদেশ ইনষ্টিউট অব এপি কালচারের সহযোগিতায় প্রশিক্ষন নিয়ে মৌচাষপ্রযুক্তিতে পারদর্শী হন তিনি।

তার পর উপজেলা যুবউন্নয়ন অফিস থেকে আর্থিক সহযোগীতা পেয়ে ১০ টি বক্স দিয়ে তার মৌচাষের যাত্রা শুরু হয়।বর্তমান তার খামারে প্রায় ১৫০টি মৌবক্স রয়েছে। প্রতি বছর তিনি এখামার থেকে উৎপাদন করেন প্রায় ৪/৫ লক্ষ টাকার মধু।

নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৬ মাস মধু সংগ্রহের জন্য মৌমাছিকে নিয়ে যাওয়া হয় আমবাগান, জামবাগান, কাঠালবাগান,ফুলের বাগান বিভিন্ন ফলের ক্ষেতে যেমন শীত মৌসুমে সরিসার ক্ষেতে। মৌমাছিদের দ্বারা পরাগয়ন ভালো হওয়ায় ফসল ও ফলের উৎপাদন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয়ে থাকে।

নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য শার্শায় মহসিন খান দীর্ঘ ৩০ বছর মধু চাষের সংগ্রাম চালিয়ে হয়ে উঠেছেন আত্মনির্ভরশীল একজন সফর মধু ব্যবসায়ী।বর্তমান তার খামারে রয়েছে ৩-৪ জন কর্মচারী।

মহসনিরে কাছ থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে মধু চাষ শুরু করেছে মৌচাষী মিকাইল।তিনি বলেন এটা একটি লাভজনক চাষ। র্বতমানে আমার ১৫টি বাক্স আছে।নিজের চাহদিা মিটিয়ে ও খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বছর ২০-২৫ হাজার টাকার মধু বিক্রি করে থাকি।সামনে বাক্সের পরিমাণ আরও বাড়ানোর চিন্তা করছি।

মহসিন খান জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যেমন, শার্শা, নাভারন, কুলপালা, বুরুজবাগানসহ বেশ কিছু এলাকায় আমি মধুর চাষ করি। ১৫০ টির মতো বাক্স আছে আমার। এসব মধু নিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন।উপজেলায় মধু মহসিন নামেই আমাকে সবাই চেনে।

তিনি জানান, শীতকালে মধু চাষিরা বিভিন্ন এলাকায় যেখানে সরিষা ফুল ফোটে সেখানে অনেকগুলো (বাক্স) ব্যবহার করে মধু সংগ্রহ করে। মধু সংগ্রহ করতে ১মাস সময় লাগে। ১ টি (বাক্স) ২ থেকে ৩ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। আর এটায় হচ্ছে খাঁটি মধু। এখন ফুল থেকে মধু আহরণ চলছে পুরোদমে । আর সংগ্রহ করা মধু বাজারে বিক্রি করছেন। সাতদিনে একবার করে ভেতর থাকা মৌ-বাক্স বের করে মধু সংগ্রহ করেন তিনি। যা স্থানীয় পর্যায়ে ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতি কেজি মধু
৭০০থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি করেন।

এছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে মধু ব্যবসা করতে চাইলে যে কেউ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা খরচ করলেই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব হয়। তবে ব্যবসা করতে চাইলে আগেই ট্রেনিং নিতে হবে।

মধু চাষি মহসিনের মতে, শীতকালে (বাক্সের) ওপরে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখতে হয় এবং বৃষ্টি হলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হয় তা না হলে (বাক্সের) ভেতরে পানি ঢুকে মধু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

মৌমাছি চাষ সাধারণত আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে এবং ভালো আবহাওয়া থাকলে এক মাসেই ৪ থেকে ৫ বার সংগ্রহ করা যায়। আর প্রতিবারে একটি বাক্স থেকে প্রায় ২ কেজি করে মধু পাওয়া যায়। তবে মৌমাছির বিভিন্ন রকম রোগ হয়, তাই প্রতি মাসে বাক্স থেকে ট্রেগুলো বের করে মৌমাছি সুস্থ আছে কিনা দেখতে হবে।

চাষ করা এসব মৌমাছিকে অনেক সময় বিভিন্ন পোকা যেমন মুম বিটল পোকা, ছাই পোকা, মদ পোকা, লাবরা পোকা ইত্যাদি আক্রমণ করে।তখন এসব পোকাদেরতাড়াতে তামাক পাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া সৃষ্টি করে পোকা তাড়াতে হয়। এছাড়াও ফরমিক এসিড পানির সঙ্গে মিশিয়ে (৫%) স্প্রেয়ের মাধ্যমে পোকা তাড়ানো যায়। এছাড়াও বর্ষা মৌসুমে যখন কোথাও ফুল থাকে না তখন মৌমাছিকে চিনি খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখতে।

এ ব্যাপারে র্শাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মণ্ডল বলেন, আমরা চাষী মহসিনের মধু চাষরে ব্যাপারটি জানি সব সময় তাকে পরার্মশও দিয়ে যাচ্ছি।এলাকায় তার মধুর অনকে সুনাম আছ। মধু চাষে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর চাষ বাড়ানো যায় কনিা সে ব্যাপারে ও আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।এ বিষয়ে মৌ চাষী মহসনিকে সব সময় কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

ডাকসু নির্বাচনে দুপুরের মধ্যে প্যানেল ঘোষণা করবে ছাত্রদল

বাজারজাত করনের নিশ্চয়তা পেলে মৌচাষ হতে পারে অর্থনৈতিক উন্নয়ের হাতিয়ার

প্রকাশিত : ০১:১০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

মৌমাছি মৌমাছি কোথাও যাও নাচি নাচি একবার দাঁড়াওনা ভাই.ঐফুল ফোটে বনে যায় মধু আহরনে,এখনতো দাঁড়াবার সময় নাই। ঠিকিই সময় ছিলনা মৌমাছির কিন্তু মধু নিয়ে যথা সময়ে ফিরে এসে ধরা দিয়েছে মৌচাষী মহসিন খানের কাছে।
মধুর মত সম্পর্ক মৌমাছির সাথে তার ।তাই তারা মধু নিয়ে ফিরে আসে বন্ধুর তৈরীকরা ছোট ঘর কাঠের বাসায়।

মৌচাষ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বেকার যুবকদের স্বালম্বী ও কৃষি উন্নয়নে
ব্যপক অবদান রাখতে পারে।তবেঋিন সুবিধা ও বাজারজাত করনের নিশ্চয়তা না থাকায় এবং কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ মৌচাষকে স্বীকৃতি না দেয়ায় এ চাষের সঙ্গে জড়িতরা সঠিক ভাবে নিজেদের অবদান ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।

শার্শার উপজেলার নাভারন বুরুজ বাগান গ্রামের মহসিন খান দরিদ্রতার কারনে দশম শ্রেনী পর্যন্ত লেখা পড়ার সুযোগ পেয়েছে।বেকারত্বের অভিশাপ থেকে নিজেকে মুক্ত করে স্বাবলম্বী হওয়ার বাসনা নিয়ে নাভারন বাজারে একটি হোটেল এন্ড রেষ্টুডেন্ট খোলেন।এব্যবসায় লাভবান না হয়ে তাবন্ধ করে দেয়।

পরবর্তীতে জনৈক বন্ধুর পরামর্শ অনুযায়ী ১৯৮৭ সালে কানাডিয়ান সংস্থার ম্যাধ্যমে বাংদেশ ইনষ্টিউট অব এপি কালচারের সহযোগিতায় প্রশিক্ষন নিয়ে মৌচাষপ্রযুক্তিতে পারদর্শী হন তিনি।

তার পর উপজেলা যুবউন্নয়ন অফিস থেকে আর্থিক সহযোগীতা পেয়ে ১০ টি বক্স দিয়ে তার মৌচাষের যাত্রা শুরু হয়।বর্তমান তার খামারে প্রায় ১৫০টি মৌবক্স রয়েছে। প্রতি বছর তিনি এখামার থেকে উৎপাদন করেন প্রায় ৪/৫ লক্ষ টাকার মধু।

নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ৬ মাস মধু সংগ্রহের জন্য মৌমাছিকে নিয়ে যাওয়া হয় আমবাগান, জামবাগান, কাঠালবাগান,ফুলের বাগান বিভিন্ন ফলের ক্ষেতে যেমন শীত মৌসুমে সরিসার ক্ষেতে। মৌমাছিদের দ্বারা পরাগয়ন ভালো হওয়ায় ফসল ও ফলের উৎপাদন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশী হয়ে থাকে।

নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য শার্শায় মহসিন খান দীর্ঘ ৩০ বছর মধু চাষের সংগ্রাম চালিয়ে হয়ে উঠেছেন আত্মনির্ভরশীল একজন সফর মধু ব্যবসায়ী।বর্তমান তার খামারে রয়েছে ৩-৪ জন কর্মচারী।

মহসনিরে কাছ থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে মধু চাষ শুরু করেছে মৌচাষী মিকাইল।তিনি বলেন এটা একটি লাভজনক চাষ। র্বতমানে আমার ১৫টি বাক্স আছে।নিজের চাহদিা মিটিয়ে ও খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বছর ২০-২৫ হাজার টাকার মধু বিক্রি করে থাকি।সামনে বাক্সের পরিমাণ আরও বাড়ানোর চিন্তা করছি।

মহসিন খান জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যেমন, শার্শা, নাভারন, কুলপালা, বুরুজবাগানসহ বেশ কিছু এলাকায় আমি মধুর চাষ করি। ১৫০ টির মতো বাক্স আছে আমার। এসব মধু নিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসেন।উপজেলায় মধু মহসিন নামেই আমাকে সবাই চেনে।

তিনি জানান, শীতকালে মধু চাষিরা বিভিন্ন এলাকায় যেখানে সরিষা ফুল ফোটে সেখানে অনেকগুলো (বাক্স) ব্যবহার করে মধু সংগ্রহ করে। মধু সংগ্রহ করতে ১মাস সময় লাগে। ১ টি (বাক্স) ২ থেকে ৩ কেজি মধু সংগ্রহ করা যায়। আর এটায় হচ্ছে খাঁটি মধু। এখন ফুল থেকে মধু আহরণ চলছে পুরোদমে । আর সংগ্রহ করা মধু বাজারে বিক্রি করছেন। সাতদিনে একবার করে ভেতর থাকা মৌ-বাক্স বের করে মধু সংগ্রহ করেন তিনি। যা স্থানীয় পর্যায়ে ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতি কেজি মধু
৭০০থেকে ৮০০ টাকা বিক্রি করেন।

এছাড়াও বাণিজ্যিকভাবে মধু ব্যবসা করতে চাইলে যে কেউ ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা খরচ করলেই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব হয়। তবে ব্যবসা করতে চাইলে আগেই ট্রেনিং নিতে হবে।

মধু চাষি মহসিনের মতে, শীতকালে (বাক্সের) ওপরে চটের বস্তা দিয়ে ঢেকে রাখতে হয় এবং বৃষ্টি হলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হয় তা না হলে (বাক্সের) ভেতরে পানি ঢুকে মধু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

মৌমাছি চাষ সাধারণত আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে এবং ভালো আবহাওয়া থাকলে এক মাসেই ৪ থেকে ৫ বার সংগ্রহ করা যায়। আর প্রতিবারে একটি বাক্স থেকে প্রায় ২ কেজি করে মধু পাওয়া যায়। তবে মৌমাছির বিভিন্ন রকম রোগ হয়, তাই প্রতি মাসে বাক্স থেকে ট্রেগুলো বের করে মৌমাছি সুস্থ আছে কিনা দেখতে হবে।

চাষ করা এসব মৌমাছিকে অনেক সময় বিভিন্ন পোকা যেমন মুম বিটল পোকা, ছাই পোকা, মদ পোকা, লাবরা পোকা ইত্যাদি আক্রমণ করে।তখন এসব পোকাদেরতাড়াতে তামাক পাতা পুড়িয়ে ধোঁয়া সৃষ্টি করে পোকা তাড়াতে হয়। এছাড়াও ফরমিক এসিড পানির সঙ্গে মিশিয়ে (৫%) স্প্রেয়ের মাধ্যমে পোকা তাড়ানো যায়। এছাড়াও বর্ষা মৌসুমে যখন কোথাও ফুল থাকে না তখন মৌমাছিকে চিনি খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখতে।

এ ব্যাপারে র্শাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার মণ্ডল বলেন, আমরা চাষী মহসিনের মধু চাষরে ব্যাপারটি জানি সব সময় তাকে পরার্মশও দিয়ে যাচ্ছি।এলাকায় তার মধুর অনকে সুনাম আছ। মধু চাষে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এর চাষ বাড়ানো যায় কনিা সে ব্যাপারে ও আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।এ বিষয়ে মৌ চাষী মহসনিকে সব সময় কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানান।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব