০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

সু চিকে মুক্তি দেওয়া হোক: জাতিসংঘ

অং সান সুচি

মিয়ানমানের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চি-কে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব পাশ হলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাবে মিয়ানমার সামরিক জান্তা সরকারের কাছে সু চি এবং সে দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মাইন্তসহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমার সেনা সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। তার পর থেকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী নেত্রী এবং তার সঙ্গীরা জেলবন্দি।

এর পর দুর্নীতি, জনরোষে মদত দেওয়া, কোভিড বিধি ভেঙে নির্বাচনী প্রচার চালানোর মতো একাধিক অভিযোগে সু চিকে দফায় দফায় বিভিন্ন মেয়াদের জেলের সাজা দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত আদালত।

২০২০ এর নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল মিয়ানমারে। সেই ভোটে বিপুল সংখ্যক আসন পেয়ে জিতেছিল সু চি-র দল। নির্বাচনী প্রচারের সময়ে সু চি একদিন তার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছিলেন। কোনও জমায়েত না হলেও পথচলতি গাড়ি থেকে সু চি-কে অভিবাদন জানাচ্ছিলেন অনেকে। তখন সু চি মুখোশ বা ফেস শিল্ড পরে ছিলেন না। সেই ঘটনাটিকেই ‘কোভিড বিধি লঙ্ঘনের চূড়ান্ত উদাহরণ’ বলে চিহ্নিত করেছে মিয়ানমারের আদালত।

সু চির বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়া, নির্বাচনী নিয়মনীতি লঙ্ঘন করাসহ অন্তত ১৮টি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলায় দায়ের হয়েছিল। ওই সমস্ত অভিযোগেই দোষী প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ১৯০ বছরের কারাবাস হতে পারে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ bh

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

সু চিকে মুক্তি দেওয়া হোক: জাতিসংঘ

প্রকাশিত : ০৬:৫১:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২

মিয়ানমানের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চি-কে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার পক্ষে প্রস্তাব পাশ হলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রস্তাবে মিয়ানমার সামরিক জান্তা সরকারের কাছে সু চি এবং সে দেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মাইন্তসহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মিয়ানমার সেনা সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। তার পর থেকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী নেত্রী এবং তার সঙ্গীরা জেলবন্দি।

এর পর দুর্নীতি, জনরোষে মদত দেওয়া, কোভিড বিধি ভেঙে নির্বাচনী প্রচার চালানোর মতো একাধিক অভিযোগে সু চিকে দফায় দফায় বিভিন্ন মেয়াদের জেলের সাজা দিয়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত আদালত।

২০২০ এর নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল মিয়ানমারে। সেই ভোটে বিপুল সংখ্যক আসন পেয়ে জিতেছিল সু চি-র দল। নির্বাচনী প্রচারের সময়ে সু চি একদিন তার বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ছিলেন। কোনও জমায়েত না হলেও পথচলতি গাড়ি থেকে সু চি-কে অভিবাদন জানাচ্ছিলেন অনেকে। তখন সু চি মুখোশ বা ফেস শিল্ড পরে ছিলেন না। সেই ঘটনাটিকেই ‘কোভিড বিধি লঙ্ঘনের চূড়ান্ত উদাহরণ’ বলে চিহ্নিত করেছে মিয়ানমারের আদালত।

সু চির বিরুদ্ধে ঘুষ দেওয়া, নির্বাচনী নিয়মনীতি লঙ্ঘন করাসহ অন্তত ১৮টি অভিযোগের ভিত্তিতে মামলায় দায়ের হয়েছিল। ওই সমস্ত অভিযোগেই দোষী প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ১৯০ বছরের কারাবাস হতে পারে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ bh