০২:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বরিশালের রানের পাহাড় টপকে সিলেটের জয়

বিপিএলে নিজদের দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। শনিবার, ৭ জানুয়ারি শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসানের ঝড়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে বরিশাল। জবাব দিতে নেমে পুরো এক ওভার হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সিলেট। টুর্নামেন্টে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় জয়।

প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ায় সিলেট ছিল আত্মবিশ্বাসী। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই দ্বিতীয় ম্যাচে অনায়েস জয় পেল তারা। তবে জয়টা সহজ ছিল না। ১২০ বলে ১৯৫ রান তাড়া করে জয় পেতে যেমন শুরু দরকার তেমনটা তারা পায়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কলিন আকারম্যান নিজের ভুলে রান আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন।

শুরুর বিপদ কাটিয়ে সিলেট সেখান থেকে প্রতিরোধ পায় নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে। শান্ত রয়েশয়ে খেললেও তৌহিদ রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন। প্রতি আক্রমণে গিয়ে দলের রানকে শুধু এগিয়েই নেননি বরং সিলেটকে জয়ের দৌড়ে রেখেছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ১০১ রান করেছেন ৬৭ বলে। ম্যাচ জয়ের ভিত সেখানেই পেয়ে যায় সিলেট।

শান্ত ৪০ বলে ৪৮ রানে থামলেও তৌহিদ তুলে নেন ফিফটি। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া এ ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ রান করেন। তাদের গড়া ভিতে চড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন পরবর্তী তিন ব্যাটসম্যান। চারে নামা জাকির হাসান উইকেটে নেমেই মুহূর্তেই ম্যাচের খেলা পাল্টে দেন। ১৮ বলে ৪৩ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। ২৩৮.৮৮ স্ট্রাইকরেটে সাজানো ইনিংসটি মূলত বরিশালকে ডুবিয়ে দেয়। জয়ের বাকি কাজ সারেন মুশফিকুর রহিম ও থিসারা পেরেরা। মুশফিক ১১ রান করেন ২৩ বলে। পেরেরা ৯ বলে করেন ২০ রান।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু থেকেই ঝড় তুলতে চেয়েছে বরিশাল। মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রথম ওভার থেকে ১৫ রান তুলে নেন বরিশালের দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৫৪ রান তুলেছেন দুজন। দলীয় ৭৩ রানের মাথায় মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে সীমানায় ক্যাচ দেন ২১ বলে ২৯ রান করা এনামুল হক বিজয়। চতুরঙ্গা ফিরেছেন ২৫ বলে ৩৬ রান করে। তারপর সাকিব ঝড়। প্রথম ৪ বলে ১ রান নেওয়া সাকিব দশম ওভারে কলিন অ্যাকারম্যানকে দুই ছক্কা মেরে ঝড় শুরু করেন। তারপর পেস, স্পিন দুই বোলারদেরই রীতিমতো নাচিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। অবশ্য এতে সিলেটের ফিল্ডারদের দায়ও আছে। সাকিবের দুটি সহজ ক্যাচ ছেড়েছে তারা।

সাকিব ঝড় শেষ পর্যন্ত থেমেছে একদম ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে। ফেরার আগে ৬৭ রান করেছেন মাত্র ৩২ বল খেলে। চার মেরেছেন ৭টি, ছক্কা ৪টি। বরিশালে বড় স্কোরে অবদান রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ, করিম জানাতরাও। মাহমুদউল্লাহ পাঁচে নেমে ১২ বলে ১৯ রান করেছেন। করিম জানাত ১২ বলে ১৭ রান করেছেন। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানে থেমেছে বরিশাল।

সিলেটের হয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা তিন উইকেট নিলেও চার ওভারে খরচ করেছেন ৪৮ রান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন থিসারা পেরেরা, ইমাদ ওয়াসিম ও রেজাউর রহমান রাজা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

জনপ্রিয়

বরিশালের রানের পাহাড় টপকে সিলেটের জয়

প্রকাশিত : ১০:৫৭:১০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

বিপিএলে নিজদের দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। শনিবার, ৭ জানুয়ারি শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে সাকিব আল হাসানের ঝড়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করে বরিশাল। জবাব দিতে নেমে পুরো এক ওভার হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সিলেট। টুর্নামেন্টে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় জয়।

প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়ায় সিলেট ছিল আত্মবিশ্বাসী। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই দ্বিতীয় ম্যাচে অনায়েস জয় পেল তারা। তবে জয়টা সহজ ছিল না। ১২০ বলে ১৯৫ রান তাড়া করে জয় পেতে যেমন শুরু দরকার তেমনটা তারা পায়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কলিন আকারম্যান নিজের ভুলে রান আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন।

শুরুর বিপদ কাটিয়ে সিলেট সেখান থেকে প্রতিরোধ পায় নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে। শান্ত রয়েশয়ে খেললেও তৌহিদ রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন। প্রতি আক্রমণে গিয়ে দলের রানকে শুধু এগিয়েই নেননি বরং সিলেটকে জয়ের দৌড়ে রেখেছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ১০১ রান করেছেন ৬৭ বলে। ম্যাচ জয়ের ভিত সেখানেই পেয়ে যায় সিলেট।

শান্ত ৪০ বলে ৪৮ রানে থামলেও তৌহিদ তুলে নেন ফিফটি। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া এ ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫৫ রান করেন। তাদের গড়া ভিতে চড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন পরবর্তী তিন ব্যাটসম্যান। চারে নামা জাকির হাসান উইকেটে নেমেই মুহূর্তেই ম্যাচের খেলা পাল্টে দেন। ১৮ বলে ৪৩ রান করেন ৪ চার ও ৩ ছক্কায়। ২৩৮.৮৮ স্ট্রাইকরেটে সাজানো ইনিংসটি মূলত বরিশালকে ডুবিয়ে দেয়। জয়ের বাকি কাজ সারেন মুশফিকুর রহিম ও থিসারা পেরেরা। মুশফিক ১১ রান করেন ২৩ বলে। পেরেরা ৯ বলে করেন ২০ রান।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু থেকেই ঝড় তুলতে চেয়েছে বরিশাল। মাশরাফি বিন মুর্তজার প্রথম ওভার থেকে ১৫ রান তুলে নেন বরিশালের দুই ওপেনার। পাওয়ার প্লের ছয় ওভারে ৫৪ রান তুলেছেন দুজন। দলীয় ৭৩ রানের মাথায় মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে সীমানায় ক্যাচ দেন ২১ বলে ২৯ রান করা এনামুল হক বিজয়। চতুরঙ্গা ফিরেছেন ২৫ বলে ৩৬ রান করে। তারপর সাকিব ঝড়। প্রথম ৪ বলে ১ রান নেওয়া সাকিব দশম ওভারে কলিন অ্যাকারম্যানকে দুই ছক্কা মেরে ঝড় শুরু করেন। তারপর পেস, স্পিন দুই বোলারদেরই রীতিমতো নাচিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। অবশ্য এতে সিলেটের ফিল্ডারদের দায়ও আছে। সাকিবের দুটি সহজ ক্যাচ ছেড়েছে তারা।

সাকিব ঝড় শেষ পর্যন্ত থেমেছে একদম ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে। ফেরার আগে ৬৭ রান করেছেন মাত্র ৩২ বল খেলে। চার মেরেছেন ৭টি, ছক্কা ৪টি। বরিশালে বড় স্কোরে অবদান রেখেছেন মাহমুদউল্লাহ, করিম জানাতরাও। মাহমুদউল্লাহ পাঁচে নেমে ১২ বলে ১৯ রান করেছেন। করিম জানাত ১২ বলে ১৭ রান করেছেন। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানে থেমেছে বরিশাল।

সিলেটের হয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজা তিন উইকেট নিলেও চার ওভারে খরচ করেছেন ৪৮ রান। একটি করে উইকেট নিয়েছেন থিসারা পেরেরা, ইমাদ ওয়াসিম ও রেজাউর রহমান রাজা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব