নাটোরের সিংড়া উপজেলার জোড়মল্লিকা মুনসুর আলম সিদ্দিকী দুদু। তিনি বিদেশ থেকে ২০১৬ সালে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসেন । এক বছর বেকার থাকার পর,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী Zunaid Ahmed Palak এমপি মহোদয় ১টি মা ভেড়া,২টি বাচ্চা ও একটি ছাগল উপহার দেন। তারপরে শুরু করেন ভেড়া ও ছাগল পালন।এখন তিনিও বড় একটি খামারের মালিক। বাড়ীতে ৫৩ টি ভেড়া ও ১০ ছাগল রয়েছে।
মনসুর আলম সিদ্দিকী দুদু বলেন, আমার স্ত্রী শিল্পী বেগম সারাদিন ভেড়া ও ছাগল গুলোকে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করেন। গরু পালনের চেয়ে ভেড়া পালন লাভজনক। ভেড়া সব ধরনের ঘাস ও লতা পাতা খায়। এ কারণে ভেড়ার জন্য বাড়তি খাবার প্রয়োজন হয় না। এছাড়াও ভেড়ার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় সহজে অসুস্থ হয়ে পড়ে না।
৮ থেকে ১০ মাস বয়সী ভেড়া বিক্রি হয় ১০-১৫ হাজার টাকায় হাট বাজারে ভেড়ার চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা বছর ভেড়া বিক্রি করা যায়। কুরবানির সময় ভেড়ার ব্যাপক চাহিদা থাকে। নাটোর সিংড়া থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় ভেড়া কিনে নিয়ে সরবরাহ করা হয়।
শিল্পী বেগম বলেন, প্রতিমন্ত্রী পলক আমার স্বামীকে তিনটি ভেড়া দিয়েছিলেন, ৬ বছরে ব্যবধানে এখন ৬৩টি ভেড়া ও ছাগলের মালিক হয়েছি। এই ভেড়া ও ছাগল বিক্রি করে ছেলে-মেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছি। আমাদের সংসার এখন সুখে শান্তিতে দিন যাচ্ছে।আমার ভেড়া পালন দেখে, প্রায় ১০টি পরিবার ভেড়া পালন শুরু করেছেন।গ্রামের অনেক মহিলারা আমার কাছ থেকে ভেড়া পালনের জন্য পরামর্শ নিতে আসেন।