পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণের অর্থনীতির দৃশ্য পাল্টে যেতে শুরু করেছে। বিসিক এলাকাগুলোতে নতুন করে কারখানা স্থাপনের পাশাপাশি চলছে উন্নয়ন কাজও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কাঁচামাল প্রাপ্তি ও সরবরাহে সুবিধা হওয়ায় ব্যবসার প্রসার ঘটছে।
বরিশাল বিসিকে রাস্তাঘাট সংস্কার, ড্রেন তৈরি, আয়তন বৃদ্ধিসহ ব্যবসাবান্ধব করতে নানা কাজ চলছে। ১৩২ একর জমিতে ৪৭০টি প্লটের ওপর নির্মিত বিসিককে বর্ধিত করা হয়েছে আরও ৪০ একরে। বর্ধিত অংশে আরও ১১০টি প্লট বরাদ্দের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। বরিশাল বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জালিস মাহমুদ বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান এখানে নতুন করে ব্যবসা শুরু করেছে। তারা আগে থেকেই এখানে প্লট নিয়ে রেখেছিল। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসা পুরোদমে শুরু করেছে। দক্ষিণাঞ্চলে পদ্মা সেতু সম্ভাবনার বিশাল দ্বার উন্মোচন করেছে।
বিনিয়োগকারীরা জানান, বরিশাল বিসিকে নানা সমস্যা থাকলেও বর্তমানে তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন তারা। তবে যত্রতত্র শিল্পকারখানা না গড়ে বিসিকে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ব্যবসাবন্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে প্রশাসনের সহায়তার অনুরোধ করেছেন বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খান। উল্লেখ্য, বর্তমানে বরিশাল বিসিকে ছোট-বড় মিলিয়ে ১৭৩টি শিল্পকারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন।
বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব


























