০৭:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হরিরামপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, দশটির পাঁচটিতেই ঝুলছে তালা

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি ঘরের পাঁচটিতেই ঝুলছে তালা। ঘর বুঝে পাওয়ার দুই বছর অতিবাহিত হলেও এখনো ঘরে উঠেননি উপকারভোগী পরিবারগুলো। এতে দেখা গেছে, দশটি ঘরের মধ্যে পাঁচটিতে তালা ঝুলছে । বাকি পাঁচটি ঘরে গৃহহীন অন্য পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছেন ঘর প্রাপ্ত উপকারভোগীরা। ঘরের মালিকরা নিয়মিত না থাকলেও মাঝে মাঝে এসে ঘরের খোঁজ-খবর নিয়ে যান বলে জানান আশ্রয়ণে বসবাসরত বাসিন্দারা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১ম ধাপে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় ১২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের দুইটি পরিবারকে নিজ এলাকায় ঘর করে দিলেও ধুলশুড়া ও হারুকান্দি ইউনিয়নের দশটি পরিবারকে বলড়া ইউনিয়নের পিপুলিয়া এলাকায় ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে উপকারভোগী এসব পরিবারের হাতে ঘরের চাবি, কবুলিয়ত দলিল, নামজারী খতিয়ান, ডিসিআরসহ যাবতীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করে উপজেলা প্রশাসন। তবে, ঘর বুঝে পাওয়ার দুই বছরেও বলড়া ইউনিয়নের পিপুলিয়া এলাকার ১০টি ঘরে এখনো স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন না বরাদ্দপ্রাপ্ত উপকারভোগীরা।

সম্প্রতি সরেজমিনে পিপুলিয়া গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণের ১০টি ঘরের মধ্যে পাঁচটি ঘরেই বাস করছেন অন্য পরিবার। তাঁরা জানান, ঘর বরাদ্দ প্রাপ্তরা তাদেরকে ঘরে থাকার অনুমতি দিয়েছেন। মো. রাসেল মিয়ার নামে বরাদ্দকৃত ঘরে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে বাস করছেন ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘরের মালিক এখানে থাকেন না, থাকেন নদীর ওপারের চরে। তারা না থাকায় আমাকে এ ঘরে থাকতে দিয়েছেন। তারা মাঝে মাঝে এসে ঘরের খোঁজখবর নিয়ে যান।”

মো. সিদ্দিকের নামে বরাদ্দকৃত ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে বাস করেন সিরাজগঞ্জের মো. আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘‘ঘরের মালিক সিদ্দিক আমাকে এখানে থাকতে দিয়েছেন। তিনি যদি কখনও এখানে বাস করতে আসেন, তখন আমাকে ঘর ছেড়ে দিতে হবে।” শেখ লুৎফরের নামে বরাদ্দকৃত ঘরে মান্না, আনোয়ারা বেগমের ঘরে তাঁর ভাতিজি তাসলিমা, বিথী সরকারের ঘরে লালন স্বপরিবারে বসবাস করছেন। মান্না বলেন, ‘‘আমি কিছুদিন স্থানীয় ইটভাটায় কাজ করেছি। তখন এই ঘর মালিকের সাথে আমার পরিচয়। তিনি না থাকায় আমাকে তার ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন।”

এছাড়াও আশ্রয়ণে ঘর বরাদ্দ পাওয়া মনিন্দ্র নাথ সরকার ও প্রিয়াংকা সরকার, আরতি হালদার, জগ রানী, আনজু আক্তার এবং শেক সোহেলের নামে বরাদ্দকৃত পাঁচটি ঘর প্রথম থেকেই তালাবদ্ধ আছে বলেও জানান আশ্রয়ণে বসবাসরত বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান জানান, ” আমি খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমি খুব দ্রুতই ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপকারভোগীদের নিয়ে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।”

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

হরিরামপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, দশটির পাঁচটিতেই ঝুলছে তালা

প্রকাশিত : ০৩:২০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০টি ঘরের পাঁচটিতেই ঝুলছে তালা। ঘর বুঝে পাওয়ার দুই বছর অতিবাহিত হলেও এখনো ঘরে উঠেননি উপকারভোগী পরিবারগুলো। এতে দেখা গেছে, দশটি ঘরের মধ্যে পাঁচটিতে তালা ঝুলছে । বাকি পাঁচটি ঘরে গৃহহীন অন্য পরিবারকে আশ্রয় দিয়েছেন ঘর প্রাপ্ত উপকারভোগীরা। ঘরের মালিকরা নিয়মিত না থাকলেও মাঝে মাঝে এসে ঘরের খোঁজ-খবর নিয়ে যান বলে জানান আশ্রয়ণে বসবাসরত বাসিন্দারা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে ১ম ধাপে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় ১২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এর মধ্যে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের দুইটি পরিবারকে নিজ এলাকায় ঘর করে দিলেও ধুলশুড়া ও হারুকান্দি ইউনিয়নের দশটি পরিবারকে বলড়া ইউনিয়নের পিপুলিয়া এলাকায় ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়। ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে উপকারভোগী এসব পরিবারের হাতে ঘরের চাবি, কবুলিয়ত দলিল, নামজারী খতিয়ান, ডিসিআরসহ যাবতীয় কাগজপত্র হস্তান্তর করে উপজেলা প্রশাসন। তবে, ঘর বুঝে পাওয়ার দুই বছরেও বলড়া ইউনিয়নের পিপুলিয়া এলাকার ১০টি ঘরে এখনো স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন না বরাদ্দপ্রাপ্ত উপকারভোগীরা।

সম্প্রতি সরেজমিনে পিপুলিয়া গিয়ে দেখা যায়, আশ্রয়ণের ১০টি ঘরের মধ্যে পাঁচটি ঘরেই বাস করছেন অন্য পরিবার। তাঁরা জানান, ঘর বরাদ্দ প্রাপ্তরা তাদেরকে ঘরে থাকার অনুমতি দিয়েছেন। মো. রাসেল মিয়ার নামে বরাদ্দকৃত ঘরে স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান নিয়ে বাস করছেন ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘরের মালিক এখানে থাকেন না, থাকেন নদীর ওপারের চরে। তারা না থাকায় আমাকে এ ঘরে থাকতে দিয়েছেন। তারা মাঝে মাঝে এসে ঘরের খোঁজখবর নিয়ে যান।”

মো. সিদ্দিকের নামে বরাদ্দকৃত ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে বাস করেন সিরাজগঞ্জের মো. আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘‘ঘরের মালিক সিদ্দিক আমাকে এখানে থাকতে দিয়েছেন। তিনি যদি কখনও এখানে বাস করতে আসেন, তখন আমাকে ঘর ছেড়ে দিতে হবে।” শেখ লুৎফরের নামে বরাদ্দকৃত ঘরে মান্না, আনোয়ারা বেগমের ঘরে তাঁর ভাতিজি তাসলিমা, বিথী সরকারের ঘরে লালন স্বপরিবারে বসবাস করছেন। মান্না বলেন, ‘‘আমি কিছুদিন স্থানীয় ইটভাটায় কাজ করেছি। তখন এই ঘর মালিকের সাথে আমার পরিচয়। তিনি না থাকায় আমাকে তার ঘরে আশ্রয় দিয়েছেন।”

এছাড়াও আশ্রয়ণে ঘর বরাদ্দ পাওয়া মনিন্দ্র নাথ সরকার ও প্রিয়াংকা সরকার, আরতি হালদার, জগ রানী, আনজু আক্তার এবং শেক সোহেলের নামে বরাদ্দকৃত পাঁচটি ঘর প্রথম থেকেই তালাবদ্ধ আছে বলেও জানান আশ্রয়ণে বসবাসরত বাসিন্দারা।
এ ব্যাপারে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার রহমান জানান, ” আমি খোঁজখবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমি খুব দ্রুতই ইউপি চেয়ারম্যানসহ উপকারভোগীদের নিয়ে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।”

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব