০৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

দমিয়ে যায়নি হাত-পা বিহীন প্রতিবন্ধী সালাহউদ্দিন

বাকলিয়া সরকারি কলেজের মাঠে অধ্যক্ষ মোঃ জসিম উদ্দিন খান এর সাথে প্রতিবন্ধী সালাউদ্দিন।

শরীরের দুটো হাতই নেই লেখার জন্য, দুটো পা’ই নেই নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে পৌঁছার জন্য। তবুও দমিয়ে যায়নি মহেশখালীর প্রতিবন্ধী সালাহউদ্দিন। অদম্য আগ্রহ থাকলে হাত-পা ছাড়াই কৃতকার্য হওয়া যায় তা দেখিয়ে দিলেন মহেশখালীর সালাহউদ্দিন। পায়ের স্থানে খাটো করে গজিয়ে উঠা বিকলাঙ্গ দুটি আঙ্গুল দিয়ে লিখে সালাহউদ্দিন জেএসসিতে জিপিএ ৩.৪২ পেয়ে সফলতা অর্জন করেছে। পড়ালেখার অদম্য স্পৃহা নিয়ে এগোতে থাকা সালাহউদ্দিন ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে জিপিএ ২.০০ পেয়ে সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন।

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার উত্তর নলবিলা গ্রামের দিনমজুর হতদরিদ্র মোঃ জালাল ও আয়েশা বেগম দম্পতির ২ ছেলে ও ৪ মেয়ের মধ্যে পঞ্চম সন্তান সে। এবার বাকলিয়া সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ পেল লেখাপড়ায় অদম্য হাত পা বিহীন প্রতিবন্ধী সালাহ উদ্দিন। বৃদ্ধ বাবা কিডনি রোগে অসুস্থ। তেমন আয় রোজগার নেই তার। তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট বোনও তার সাথে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে। এখন সেও কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়বে। তাদের পড়ালেখার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারের। প্রাইমারি থেকে মাধ্যমিকে যাওয়া পর্যন্ত গর্ভধারিনী মা’ই তাকে কোলে করে স্কুলে আনা নেওয়া করতো। আস্তে আস্তে বড় হয়ে শরীর ওজন বৃদ্ধি হয়েছে সালাহউদ্দিনের। এখন তাকে আর বহন করতে পারে না বৃদ্ধা মা। তার আশা একদিন কেউ এগিয়ে আসবেন প্রতিবন্দ্বি সালাহউদ্দিনের চলাফেরার উপযোগী একটি গাড়ী নিয়ে।

সালাহ উদ্দিন জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার খবর পেয়ে বাকলিয়া সরকারি কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ জসিম উদ্দিন খান স্যার আমার খোঁজ খবর নিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেন। মূলত অধ্যক্ষ স্যারের বদান্যতায় আমি একটি সরকারি কলেজে প্রতিবন্ধী কোটায় বিনা খরচে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়েছে। প্রতিবন্দ্বি অদম্য সাহসী সালাহউদ্দিনের আশা লেখাপড়া শেষ করে ব্যাংকার হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

ডাকসু নির্বাচনে দুপুরের মধ্যে প্যানেল ঘোষণা করবে ছাত্রদল

দমিয়ে যায়নি হাত-পা বিহীন প্রতিবন্ধী সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ০৩:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

শরীরের দুটো হাতই নেই লেখার জন্য, দুটো পা’ই নেই নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে পৌঁছার জন্য। তবুও দমিয়ে যায়নি মহেশখালীর প্রতিবন্ধী সালাহউদ্দিন। অদম্য আগ্রহ থাকলে হাত-পা ছাড়াই কৃতকার্য হওয়া যায় তা দেখিয়ে দিলেন মহেশখালীর সালাহউদ্দিন। পায়ের স্থানে খাটো করে গজিয়ে উঠা বিকলাঙ্গ দুটি আঙ্গুল দিয়ে লিখে সালাহউদ্দিন জেএসসিতে জিপিএ ৩.৪২ পেয়ে সফলতা অর্জন করেছে। পড়ালেখার অদম্য স্পৃহা নিয়ে এগোতে থাকা সালাহউদ্দিন ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় মানবিক বিভাগ থেকে অংশগ্রহণ করে জিপিএ ২.০০ পেয়ে সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন।

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার উত্তর নলবিলা গ্রামের দিনমজুর হতদরিদ্র মোঃ জালাল ও আয়েশা বেগম দম্পতির ২ ছেলে ও ৪ মেয়ের মধ্যে পঞ্চম সন্তান সে। এবার বাকলিয়া সরকারি কলেজে ভর্তির সুযোগ পেল লেখাপড়ায় অদম্য হাত পা বিহীন প্রতিবন্ধী সালাহ উদ্দিন। বৃদ্ধ বাবা কিডনি রোগে অসুস্থ। তেমন আয় রোজগার নেই তার। তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট বোনও তার সাথে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে। এখন সেও কলেজে একাদশ শ্রেণীতে পড়বে। তাদের পড়ালেখার খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পরিবারের। প্রাইমারি থেকে মাধ্যমিকে যাওয়া পর্যন্ত গর্ভধারিনী মা’ই তাকে কোলে করে স্কুলে আনা নেওয়া করতো। আস্তে আস্তে বড় হয়ে শরীর ওজন বৃদ্ধি হয়েছে সালাহউদ্দিনের। এখন তাকে আর বহন করতে পারে না বৃদ্ধা মা। তার আশা একদিন কেউ এগিয়ে আসবেন প্রতিবন্দ্বি সালাহউদ্দিনের চলাফেরার উপযোগী একটি গাড়ী নিয়ে।

সালাহ উদ্দিন জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার খবর পেয়ে বাকলিয়া সরকারি কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ জসিম উদ্দিন খান স্যার আমার খোঁজ খবর নিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করেন। মূলত অধ্যক্ষ স্যারের বদান্যতায় আমি একটি সরকারি কলেজে প্রতিবন্ধী কোটায় বিনা খরচে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয়েছে। প্রতিবন্দ্বি অদম্য সাহসী সালাহউদ্দিনের আশা লেখাপড়া শেষ করে ব্যাংকার হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব