০৫:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

টানা তিন ম্যাচ হারের পরও বিশ্বাস ছিল চ্যাম্পিয়ন হবো: ইমরুল

বৃহস্পতিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। জবাব দিতে নেমে ৪ বল হাতে রেখেই জয় পায় কুমিল্লা।

‘শেষ ভালো যার সব ভালো তার’-এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শুরুর কথা বিবেচেনা করে শেষে এসে এমন বুলি আওড়াতে পারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাদের পথচালাটা এমনই ছিল! শুরুটা ঠিক ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মতো ছিল না। । তাও একটি-দুটি নয়, টানা তিনটি হার দিয়ে শুরু! এরপরই নড়েচড়ে বসে টিম ম্যানেজম্যান্ট। মন স্থির রেখে আত্মবিশ্বাস রেখে দৃঢ় পরিকল্পনা করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এরপর একের পর এক জয়, যার শেষ হলো সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলার মাধ্যমে।

অধিনায়ক হিসেবে কুমিল্লাকে তিনটি ট্রফি এনে দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। গতকাল তৃতীয় ট্রফি জয়ের পর ইমরুল জানালেন সাফল্যের রহস্য। শুরুতে হ্যাটট্রিক হারে বিচলিত না হয়ে বিশ্বাস রেখে এগিয়েছেন সামনে। ‘আমরা তিনটি ম্যাচ হারার পরও কিন্তু অনেকে অনেক কিছু বলেছে যে কোয়ালিফাই করতে পারব বা এরকম কিছু। কিন্তু আমাদের ভেতর বিশ্বাসটা ছিল এবং আমরা দলের ভেতর যেভাবে কাজ করে থাকি, এটা অসাধারণ’-বলছিলেন ইমরুল।

মাঠে সফল নেতা ইমরুলের ব্যাট কিন্তু নেতাসুলভ কথা বলে না। তবে দেশি-বিদেশি তারকাদের নিয়ে গড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে নিয়ে এক সুতায় বাঁধতে ভিষণ পারদর্শী তিনি। এতেই মেলে সাফল্য। এবারের আসরে ব্যাট হাতে ইমরুল করেছেন ২১৩ রান। গড় মাত্র ১৬.৭৬। সর্বোচ্চ ৩৫। কিন্তু নেতা হিসেবে ইমরুল যেন সবার উপরে।

অথচ অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরুটা মসৃণ ছিল না। শুনতে হয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে কটুক্তিও। ২০১৯ সালে স্টিভেন স্মিথ দেশে ফিরলে নেতৃত্বের ভার ওঠে তার কাঁধে। এরপরের গল্পতো সবার জানা।

ইমরুল বলেন, ‘আমি যখন প্রথম অধিনায়কত্ব করি কুমিল্লাতে, স্টিভেন স্মিথ অধিনায়ক ছিল, সে চলে গেল। তার পর আমাকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে যে আমি অ্যাক্টিং ক্যাপ্টেন। তবে সবকিছু তো আসলে বাইরে থেকে প্রকাশ করা যায় না। মাঠেই করে দেখাতে হয়।’

কুমিল্লার অধিনায়ক বলেন,‘আমি স্যারের (কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিন) সঙ্গে যেভাবে আলোচনা করি, আমাদের খেলাটা নিয়ে, কুমিল্লার ভালোর জন্য… এবং সত্যি বলকে, ঘরোয়া ক্রিকেটে যখনই খেলি না কেন, অনেক পরিকল্পনা করে, চিন্তা-ভাবনা করে ক্রিকেট খেলি। এটার জন্য হয়তো সফল হই।

সঠিক পরিকল্পনার সঙ্গে দৃঢ় বিশ্বাসই এনে দিয়েছে সাফল্য। কুমিল্লা মাঠে এবং মাঠের বাইরে সফলতার সঙ্গে দেখিয়েছে। মোহাম্মদ রিজওয়ান-নাসিম শাহের মতো ক্রিকেটারদের খেলিয়েছেন, তারা চলে যাওয়ার পর উড়িয়ে এনেছেন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন কিংবা মঈন আলীদের মতো তারকাদের। ইমরুল জানান তারা দল গড়েন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই।

ইমরুল আরও বলেন, কুমিল্লা এক বছর ধরে যেভাবে পরিকল্পনা করে যে পরবর্তী ভিশন কী হবে, স্যার (কোচ) যেটা বললেন, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল গড়ি এবং আমাদের লক্ষ্য এরকম থাকে যে আমরা রানার্স আপ হওয়ার জন্য দল গড়ি না’।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

টানা তিন ম্যাচ হারের পরও বিশ্বাস ছিল চ্যাম্পিয়ন হবো: ইমরুল

প্রকাশিত : ১২:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বৃহস্পতিবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট। জবাব দিতে নেমে ৪ বল হাতে রেখেই জয় পায় কুমিল্লা।

‘শেষ ভালো যার সব ভালো তার’-এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শুরুর কথা বিবেচেনা করে শেষে এসে এমন বুলি আওড়াতে পারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাদের পথচালাটা এমনই ছিল! শুরুটা ঠিক ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মতো ছিল না। । তাও একটি-দুটি নয়, টানা তিনটি হার দিয়ে শুরু! এরপরই নড়েচড়ে বসে টিম ম্যানেজম্যান্ট। মন স্থির রেখে আত্মবিশ্বাস রেখে দৃঢ় পরিকল্পনা করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। এরপর একের পর এক জয়, যার শেষ হলো সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলার মাধ্যমে।

অধিনায়ক হিসেবে কুমিল্লাকে তিনটি ট্রফি এনে দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। গতকাল তৃতীয় ট্রফি জয়ের পর ইমরুল জানালেন সাফল্যের রহস্য। শুরুতে হ্যাটট্রিক হারে বিচলিত না হয়ে বিশ্বাস রেখে এগিয়েছেন সামনে। ‘আমরা তিনটি ম্যাচ হারার পরও কিন্তু অনেকে অনেক কিছু বলেছে যে কোয়ালিফাই করতে পারব বা এরকম কিছু। কিন্তু আমাদের ভেতর বিশ্বাসটা ছিল এবং আমরা দলের ভেতর যেভাবে কাজ করে থাকি, এটা অসাধারণ’-বলছিলেন ইমরুল।

মাঠে সফল নেতা ইমরুলের ব্যাট কিন্তু নেতাসুলভ কথা বলে না। তবে দেশি-বিদেশি তারকাদের নিয়ে গড়া ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে নিয়ে এক সুতায় বাঁধতে ভিষণ পারদর্শী তিনি। এতেই মেলে সাফল্য। এবারের আসরে ব্যাট হাতে ইমরুল করেছেন ২১৩ রান। গড় মাত্র ১৬.৭৬। সর্বোচ্চ ৩৫। কিন্তু নেতা হিসেবে ইমরুল যেন সবার উপরে।

অথচ অধিনায়ক হিসেবে পথচলা শুরুটা মসৃণ ছিল না। শুনতে হয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে কটুক্তিও। ২০১৯ সালে স্টিভেন স্মিথ দেশে ফিরলে নেতৃত্বের ভার ওঠে তার কাঁধে। এরপরের গল্পতো সবার জানা।

ইমরুল বলেন, ‘আমি যখন প্রথম অধিনায়কত্ব করি কুমিল্লাতে, স্টিভেন স্মিথ অধিনায়ক ছিল, সে চলে গেল। তার পর আমাকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে যে আমি অ্যাক্টিং ক্যাপ্টেন। তবে সবকিছু তো আসলে বাইরে থেকে প্রকাশ করা যায় না। মাঠেই করে দেখাতে হয়।’

কুমিল্লার অধিনায়ক বলেন,‘আমি স্যারের (কুমিল্লা কোচ সালাউদ্দিন) সঙ্গে যেভাবে আলোচনা করি, আমাদের খেলাটা নিয়ে, কুমিল্লার ভালোর জন্য… এবং সত্যি বলকে, ঘরোয়া ক্রিকেটে যখনই খেলি না কেন, অনেক পরিকল্পনা করে, চিন্তা-ভাবনা করে ক্রিকেট খেলি। এটার জন্য হয়তো সফল হই।

সঠিক পরিকল্পনার সঙ্গে দৃঢ় বিশ্বাসই এনে দিয়েছে সাফল্য। কুমিল্লা মাঠে এবং মাঠের বাইরে সফলতার সঙ্গে দেখিয়েছে। মোহাম্মদ রিজওয়ান-নাসিম শাহের মতো ক্রিকেটারদের খেলিয়েছেন, তারা চলে যাওয়ার পর উড়িয়ে এনেছেন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন কিংবা মঈন আলীদের মতো তারকাদের। ইমরুল জানান তারা দল গড়েন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই।

ইমরুল আরও বলেন, কুমিল্লা এক বছর ধরে যেভাবে পরিকল্পনা করে যে পরবর্তী ভিশন কী হবে, স্যার (কোচ) যেটা বললেন, আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য দল গড়ি এবং আমাদের লক্ষ্য এরকম থাকে যে আমরা রানার্স আপ হওয়ার জন্য দল গড়ি না’।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব