১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

শিক্ষক কতৃক ছাত্রীর যৌন হয়রানি’র স্বীকার, ভয়ে স্কুলে যাচ্ছে না কেউ!

লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের খোড়া-গাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী’র বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। ভয়ে স্কুলে যাচ্ছে না কেউ। বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিস-সহ বিভিন্ন দপ্তরে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিদ্যালয়ের ৩য় ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীগন।

অভিযোগের আলোকে জানা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের খোরা-গাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২ মার্চ যৌন হয়রানির বিষয়টি অবিভাবক মহলে প্রকাশ পায়। সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের ডেকে স্পর্শ কাতর স্হানে হাত দেয় ও খারাপ ভাষা ব্যবহার করেন। বিষয়টি অবিভাবকের মাঝে প্রকাশ পাওয়ায় ওই এলাকা জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝর। ওই এলাকার সচেতন নাগরিক রাসেল আহমেদ জুলফিকার আলীর বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ওই স্কুলের ৩য়-৪র্থ শ্রেণির কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী জানায়, স্কুলে আসা জুলফিকার স্যার আমাদের সাথে প্রতিদিন খুব খারাপ আচরণ করেন। ক্লাসে এসে গাল ধরে টানাটানি করেন এবং প্রায় সময় স্পর্শ কাতর স্হানে হাত দেন। বাজে কথা বলে, আবার বাড়িতে বললে পরের দিন স্কুলে গেলে মারে। আমরা স্কুলের ৩য়-৪র্থ ও ৫ম শ্রেণি ছাত্র/ছাত্রী মিলে গণ স্বাক্ষর করে হেড স্যারকে অভিযোগ দিয়েছি ওই বদমাইশ শিক্ষকের বিচার চাই।

৫ম শ্রেণির কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী জানায়, আমরা স্কুলে এসে জুলফিকার স্যারের ভয়ে ভয়ে থাকি। কখন ডাকে, ডাকলে ওনার কাছে যেতে হয়। না গেলে বেতের মাইর খেতে হয়। ওনার কাছে গেলে গায়ে হাত দেয় আর খারাপ খারাপ কথা বলে, বাড়িতে বললে আবার মারে। তাই আমরা সব সময় ভয়ে ভয়ে স্কুলে থাকি। আমরা নোংরা/বদমাইশ/খারাপ শিক্ষকের বিচার দাবি করছি।

ওই স্কুলের কয়েক’জন শিক্ষার্থী’র অবিভাবক জানায়, স্কুলের শিক্ষক মানে বাচ্চাদের অবিভাবক। তাদের কাছে বাচ্চারা পড়তে যায়, মানুষ হতে যায়। যার কারনে তাদেরকে মানুষ তৈরির কারিগর বলা হয়। তারা যদি বাচ্চাদের ভদ্রতা, শিষ্টতা না শিক্ষিয়ে খারাপ আচরণ করে তাহলে তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। আমরা অবিভাবকগণ ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করছি।

প্রধান শিক্ষক হোসেন আলী এ বিষয়ে বলেন, বাচ্চারা আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আমি আমার উপরন্তু কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাগণ তদন্ত করছেন।

ভুক্তভোগী জুলফিকার আলী’কে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার আবিদা সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছি। জুলফিকার আলী’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ‍দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

শিক্ষক কতৃক ছাত্রীর যৌন হয়রানি’র স্বীকার, ভয়ে স্কুলে যাচ্ছে না কেউ!

প্রকাশিত : ০২:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩

লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের খোড়া-গাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী’র বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। ভয়ে স্কুলে যাচ্ছে না কেউ। বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলীর বিরুদ্ধে জেলা শিক্ষা অফিস-সহ বিভিন্ন দপ্তরে বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিদ্যালয়ের ৩য় ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীগন।

অভিযোগের আলোকে জানা যায়, লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের খোরা-গাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী যোগদান করার পর থেকে বিভিন্ন ভাবে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ২ মার্চ যৌন হয়রানির বিষয়টি অবিভাবক মহলে প্রকাশ পায়। সহকারী শিক্ষক জুলফিকার আলী বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের ডেকে স্পর্শ কাতর স্হানে হাত দেয় ও খারাপ ভাষা ব্যবহার করেন। বিষয়টি অবিভাবকের মাঝে প্রকাশ পাওয়ায় ওই এলাকা জুড়ে চলছে সমালোচনার ঝর। ওই এলাকার সচেতন নাগরিক রাসেল আহমেদ জুলফিকার আলীর বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ওই স্কুলের ৩য়-৪র্থ শ্রেণির কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী জানায়, স্কুলে আসা জুলফিকার স্যার আমাদের সাথে প্রতিদিন খুব খারাপ আচরণ করেন। ক্লাসে এসে গাল ধরে টানাটানি করেন এবং প্রায় সময় স্পর্শ কাতর স্হানে হাত দেন। বাজে কথা বলে, আবার বাড়িতে বললে পরের দিন স্কুলে গেলে মারে। আমরা স্কুলের ৩য়-৪র্থ ও ৫ম শ্রেণি ছাত্র/ছাত্রী মিলে গণ স্বাক্ষর করে হেড স্যারকে অভিযোগ দিয়েছি ওই বদমাইশ শিক্ষকের বিচার চাই।

৫ম শ্রেণির কয়েকজন শিশু শিক্ষার্থী জানায়, আমরা স্কুলে এসে জুলফিকার স্যারের ভয়ে ভয়ে থাকি। কখন ডাকে, ডাকলে ওনার কাছে যেতে হয়। না গেলে বেতের মাইর খেতে হয়। ওনার কাছে গেলে গায়ে হাত দেয় আর খারাপ খারাপ কথা বলে, বাড়িতে বললে আবার মারে। তাই আমরা সব সময় ভয়ে ভয়ে স্কুলে থাকি। আমরা নোংরা/বদমাইশ/খারাপ শিক্ষকের বিচার দাবি করছি।

ওই স্কুলের কয়েক’জন শিক্ষার্থী’র অবিভাবক জানায়, স্কুলের শিক্ষক মানে বাচ্চাদের অবিভাবক। তাদের কাছে বাচ্চারা পড়তে যায়, মানুষ হতে যায়। যার কারনে তাদেরকে মানুষ তৈরির কারিগর বলা হয়। তারা যদি বাচ্চাদের ভদ্রতা, শিষ্টতা না শিক্ষিয়ে খারাপ আচরণ করে তাহলে তাদের কঠিন শাস্তি হওয়া দরকার। আমরা অবিভাবকগণ ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করছি।

প্রধান শিক্ষক হোসেন আলী এ বিষয়ে বলেন, বাচ্চারা আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে আমি আমার উপরন্তু কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা কর্মকর্তাগণ তদন্ত করছেন।

ভুক্তভোগী জুলফিকার আলী’কে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। সদর উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার আবিদা সুলতানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছি। জুলফিকার আলী’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার রায় চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব