সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্পের প্রতিবন্ধীদের দ্বারা উৎপাদিত বোতলজাত বিশুদ্ধ মুক্তা পানির প্রমোশনাল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ বুধবার (০৫ এপ্রিল ২০২৩) রাজধানীতে বর্ণাঢ্য রোড-শো ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউট অডিটোরিয়াম আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোড-শো ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, এমপি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, এমপি। অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধিতা উত্তরণ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্প-এর নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) সেলিম খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা এ সমাজেরই অংশ। তাদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। উন্নয়নের মূল স্রোতে তাদের সম্পৃক্ত করতে বর্তমান সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতার উন্নয়ন ঘটিয়ে তাদেরকে কর্মে নিযুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরও বলেন, সুযোগ পেলে প্রতিবন্ধীরাও যে আয়বর্ধনমূলক কাজে ভূমিকা রাখতে পারে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্পের প্রতিবন্ধীদের দ্বারা উৎপাদিত বোতলজাত বিশুদ্ধ মুক্তা পানিই তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধীদের উপযোগী কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে তাদের জীবন-জীবিকার পথ সম্প্রসারিত করতে তিনি সমাজের সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি প্রতিবন্ধীদের দ্বারা উৎপাদিত বোতলজাত বিশুদ্ধ মুক্তা পানি সকলের নিকট জনপ্রিয় করে তুলতে সকলকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, যথাযথ প্রচারের ব্যবস্থা করা গেলে বিশুদ্ধ মুক্তা পানিকে ক্রেতাদের মাঝে আরো অধিক জনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব। বিশুদ্ধতার মাত্রায় মুক্তা পানি দেশে উৎপাদিত যেকোনো পানির ব্র্যান্ড থেকে উৎকৃষ্ট। এ পানির বিক্রি বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্জিত আয় দিয়ে প্রতিবন্ধীদের অধিকতর কল্যাণমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হবে। এর মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সম্মানের সঙ্গে সমাজে বসবাসের সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মুক্তা পানির উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করেন এবং প্রতিবন্ধীদের হাতে তৈরি মুক্তা পানি মানুষের তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়েও দেশের মানুষের পাশে থাকবে।
উল্লেখ্য যে, মুক্তা ড্রিংকিং ওয়াটার-এর বিশেষত্ব হলো এই পানি উৎপাদন করেন প্রতিবন্ধীরা এবং এ পানি বিক্রির পুরো অর্থই তাদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্প-এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে মুক্তা পানির প্লান্ট। শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের অধিকারের সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে। প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্প-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, অংশীজন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা, শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্পের প্রতিবন্ধী কর্মী ও বিশেষজ্ঞসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠান আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিল মুক্তা পারিন প্রমোশনাল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিযুক্ত প্রতিষ্ঠান বর্ণমালা কমিউনিকেশন লিমিটেড।

























