০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্কুল মাঠে ঘাঘট নদী, বিলীনের আতঙ্ক

ঘাঘট নদীগর্ভে বিলীনের অপেক্ষায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, শহিদ মিনারসহ বিদ্যালয়ের দুইটি ভবন। এছাড়াও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, মসজিদ ও মাজারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

দীর্ঘদিন ধরে ঘাঘট নদীর ভাঙন তীব্র হলেও ভাঙনরোধে প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই। এতে হুমকিতে পড়েছে বিদ্যালয়টি। ভাঙনের কারণে বিদ্যালয়টিতে দিনদিন কমেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। নদীপাড়ে পাকা বাঁধ নির্মাণ করে বিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ভাঙন থেকে রক্ষার দাবি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘাঘট নদী বিট্রিশ আমল থেকেই প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বর্তমান অবস্থান থেকে কমপক্ষে ১ হাজার ফুট পশ্চিমে ছিলো এ নদীর গতিপথ। সম্পুর্ণ নদীটাই এখন জনসাধারণের জমিতে। স্লুইসগেট নষ্ট ও ড্রেজিং না করায় ঘাঘট এখন রাক্ষসী নদীতে পরিণত হয়েছে। এ পর্যন্ত শতাধিক বসতবাড়ি নদীতে গেছে। ফসিল জমি গেছে প্রায় দুইশো বিঘা। অসংখ্য গাছগাছালি ও কবরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বাদ যায়নি মসজিদ, মক্তব ও ঈদগা মাঠ। আর এখন হুমকিতে আছে মধ্য সাহাবাজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শত বছরেরও পুরোনো মিয়ার ভিটা মাজার, জামে মসজিদ, অর্ধশত বসতবাড়ি ও ফসলি জমিসহ ছোট-বড় বিভিন্ন স্থাপনা।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ঘাঘট পাড়ের এই অঞ্চলের মানুষজন নিরাপদে ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় ঘাঘট নদীতে ভাঙ্গন। বর্ষা এলেই আতঙ্কে থাকতে হয় স্থানীয়দের। প্রতিবছরই হারাতে হয় বাসতবাড়ি, গাছগাছালি, ফসলি জমি ও বাপদাদার কবরসহ নানা স্মৃতি। পরে ২০০৭ সালের দিকে এসডিও নামক এক এনজিও ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। কিছুটা দুর্ভোগ কমে এ অঞ্চলের মানুষের। পরে নদীর বাকি অংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন ২০১৫ সালের দিকে তৎকালিন এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন। এরপর চার বছর বেশ ভালোই ছিলো মানুষজন। পরে ২০১৮ সালে জুলাইয়ের বন্যায় ভেঙ্গে যায় সেই বেড়িবাঁধের পুরো অংশ। শুরু হয় আবারও নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতা। দ্রুত স্থায়ী সমাধানের আকুতি জানিয়েছেন ঘাঘট পাড়ের বাসিন্দারা।

সর্বানন্দ ইউনিয়নের মধ্য সাহাবাজ গ্রামের ঘাঘট নদীপাড়ের বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘাঘট নদী ভাঙতে ভাঙতে সবকিছু শেষ করে ফেলেছে। প্রাইমারি স্কুলটি রক্ষার জন্য স্থানীয় এমপি, ইউএনও, শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ এমন কোনো লোক নেই যাকে বিষয়টি জানানো হয়নি। কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয়নি। স্থায়ী সমাধানে লিখিত অভিযোগও দেয়া আছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে।’

নদীপাড়ের আরেক বাসিন্দা অন্ধ মো. ইসমাইল মন্ডলের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার বসতবাড়ি কতোবার যে এ নদী খেয়েছে তা নিজেও বলতে পারবো না। আবারও সরাতে হচ্ছে। তা-না হলে দু-এক দিনের মধ্যে এ বাড়িটাও খেয়ে ফেলবে ও। এখন পারিরার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবো, কি করবো, কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার যা হবার তা হবে এতে চিন্তা করি না। খুব ভয় হচ্ছে বাচ্চাদের স্কুলটা নিয়ে। এটি নদীতে গেলে তাঁদের শিক্ষা দেয়ার মতো আর কোনো স্কুল এ এলাকায় থাকবে না। স্কুলটি রক্ষার দাবী জানিয়েই কেঁদে ফেলেন হত-দরিদ্র ও অন্ধ ইসমাইল হোসেন।’

মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সজিব মিয়া বলেন. ‘নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এখন স্কুল মাঠে এসেছে। সে কারণে অনেকদিন ধরে খেলাধুলা বন্ধ আছে। নদীতে পড়ে যাওয়ার ভয়ে স্যারেরা খেলতে দিচ্ছেন না। আমাদেরও ভয় লাগে। নদীতে স্কুলের ভবন দুটি ও শহীদ মিনার চলে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তখন আর পড়াশোনার জায়গা থাকবে না। সেইসঙ্গে থাকবে না জাতীয় দিবসগুলোতে শ্রদ্ধা জানানোর জায়গা।’

স্কুল মাঠে বসে থাকা অভিভাবক শিরিভান বেগম (৬০) বলেন, ‘নাতি আর নাতনিকে নিয়ে সকালে স্কুলে এসেছি। ছুটি হলে তাদেরকে নিয়ে বাড়িতে চলে যাব। ছোট বাচ্চা। যদি তারা নদীতে পড়ে যায় সে ভয়ে সারাদিন এখানে বসে থাকি।’

ভাঙ্গনের মুখে থাকা মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘নদীর ভাঙ্গন স্কুল মাঠের কাছাকাছি আসায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। বেশ কয়েকদিন ধরে খেলাধুলা বন্ধ আছে। খেললেই ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার বল নদীতে যায়। তাছাড়া বাচ্চারাও পড়ে যেতে পারে। নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত স্থায়ী সমাধান না করলে যে কোনো মূহুর্তে স্কুলের ভবন দুটি ও শহীদ মিনার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’

সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর ধরে ঘাঘট নদীর ভাঙন তীব্র হয়েছে। এতে একটি বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা হুমকির মুখে। ভাঙনরোধে কার্যকরি ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুত ওইস্থানে লোক পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এবিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ইতোমধ্যে ওইস্থানটি পরিদর্শন করেছি। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আমরা প্রস্তাবনাও পাঠিয়েছি। আশা রাখি খুব দ্রুত বরাদ্দ আসবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘ওইস্থানে খুব শিগগিরই ডিওসহ প্রতিনিধি পাঠাবো। খোঁজ নিয়ে তিনি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে জিও ব্যাগের জন্য আবেদন করবেন সেটিও বলেছি তাকে। আমি সরকারি কাজে দেশের বাহিরে আছি। এলাকায় গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ ঘাঘট নদীর ওই এলাকা পরিদর্শন করে স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

জনপ্রিয়

নতুন স্বাধীন দেশে ঘুরে ফিরে কোনো চাঁদাবাজদেরকে আমরা ক্ষমতায় আনতে চাই না

স্কুল মাঠে ঘাঘট নদী, বিলীনের আতঙ্ক

প্রকাশিত : ০১:০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

ঘাঘট নদীগর্ভে বিলীনের অপেক্ষায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ, শহিদ মিনারসহ বিদ্যালয়ের দুইটি ভবন। এছাড়াও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে দুই শতাধিক বসতবাড়ি, মসজিদ ও মাজারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

দীর্ঘদিন ধরে ঘাঘট নদীর ভাঙন তীব্র হলেও ভাঙনরোধে প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নেই। এতে হুমকিতে পড়েছে বিদ্যালয়টি। ভাঙনের কারণে বিদ্যালয়টিতে দিনদিন কমেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। নদীপাড়ে পাকা বাঁধ নির্মাণ করে বিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ভাঙন থেকে রক্ষার দাবি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘাঘট নদী বিট্রিশ আমল থেকেই প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বর্তমান অবস্থান থেকে কমপক্ষে ১ হাজার ফুট পশ্চিমে ছিলো এ নদীর গতিপথ। সম্পুর্ণ নদীটাই এখন জনসাধারণের জমিতে। স্লুইসগেট নষ্ট ও ড্রেজিং না করায় ঘাঘট এখন রাক্ষসী নদীতে পরিণত হয়েছে। এ পর্যন্ত শতাধিক বসতবাড়ি নদীতে গেছে। ফসিল জমি গেছে প্রায় দুইশো বিঘা। অসংখ্য গাছগাছালি ও কবরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। বাদ যায়নি মসজিদ, মক্তব ও ঈদগা মাঠ। আর এখন হুমকিতে আছে মধ্য সাহাবাজ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শত বছরেরও পুরোনো মিয়ার ভিটা মাজার, জামে মসজিদ, অর্ধশত বসতবাড়ি ও ফসলি জমিসহ ছোট-বড় বিভিন্ন স্থাপনা।

স্থানীয়রা জানান, ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ঘাঘট পাড়ের এই অঞ্চলের মানুষজন নিরাপদে ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় ঘাঘট নদীতে ভাঙ্গন। বর্ষা এলেই আতঙ্কে থাকতে হয় স্থানীয়দের। প্রতিবছরই হারাতে হয় বাসতবাড়ি, গাছগাছালি, ফসলি জমি ও বাপদাদার কবরসহ নানা স্মৃতি। পরে ২০০৭ সালের দিকে এসডিও নামক এক এনজিও ৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে। কিছুটা দুর্ভোগ কমে এ অঞ্চলের মানুষের। পরে নদীর বাকি অংশে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন ২০১৫ সালের দিকে তৎকালিন এমপি মনজুরুল ইসলাম লিটন। এরপর চার বছর বেশ ভালোই ছিলো মানুষজন। পরে ২০১৮ সালে জুলাইয়ের বন্যায় ভেঙ্গে যায় সেই বেড়িবাঁধের পুরো অংশ। শুরু হয় আবারও নদী ভাঙ্গনের ভয়াবহতা। দ্রুত স্থায়ী সমাধানের আকুতি জানিয়েছেন ঘাঘট পাড়ের বাসিন্দারা।

সর্বানন্দ ইউনিয়নের মধ্য সাহাবাজ গ্রামের ঘাঘট নদীপাড়ের বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘ঘাঘট নদী ভাঙতে ভাঙতে সবকিছু শেষ করে ফেলেছে। প্রাইমারি স্কুলটি রক্ষার জন্য স্থানীয় এমপি, ইউএনও, শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ এমন কোনো লোক নেই যাকে বিষয়টি জানানো হয়নি। কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয়নি। স্থায়ী সমাধানে লিখিত অভিযোগও দেয়া আছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে।’

নদীপাড়ের আরেক বাসিন্দা অন্ধ মো. ইসমাইল মন্ডলের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার বসতবাড়ি কতোবার যে এ নদী খেয়েছে তা নিজেও বলতে পারবো না। আবারও সরাতে হচ্ছে। তা-না হলে দু-এক দিনের মধ্যে এ বাড়িটাও খেয়ে ফেলবে ও। এখন পারিরার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবো, কি করবো, কিছুই বুঝতে পারছি না। আমার যা হবার তা হবে এতে চিন্তা করি না। খুব ভয় হচ্ছে বাচ্চাদের স্কুলটা নিয়ে। এটি নদীতে গেলে তাঁদের শিক্ষা দেয়ার মতো আর কোনো স্কুল এ এলাকায় থাকবে না। স্কুলটি রক্ষার দাবী জানিয়েই কেঁদে ফেলেন হত-দরিদ্র ও অন্ধ ইসমাইল হোসেন।’

মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সজিব মিয়া বলেন. ‘নদী ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এখন স্কুল মাঠে এসেছে। সে কারণে অনেকদিন ধরে খেলাধুলা বন্ধ আছে। নদীতে পড়ে যাওয়ার ভয়ে স্যারেরা খেলতে দিচ্ছেন না। আমাদেরও ভয় লাগে। নদীতে স্কুলের ভবন দুটি ও শহীদ মিনার চলে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তখন আর পড়াশোনার জায়গা থাকবে না। সেইসঙ্গে থাকবে না জাতীয় দিবসগুলোতে শ্রদ্ধা জানানোর জায়গা।’

স্কুল মাঠে বসে থাকা অভিভাবক শিরিভান বেগম (৬০) বলেন, ‘নাতি আর নাতনিকে নিয়ে সকালে স্কুলে এসেছি। ছুটি হলে তাদেরকে নিয়ে বাড়িতে চলে যাব। ছোট বাচ্চা। যদি তারা নদীতে পড়ে যায় সে ভয়ে সারাদিন এখানে বসে থাকি।’

ভাঙ্গনের মুখে থাকা মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘নদীর ভাঙ্গন স্কুল মাঠের কাছাকাছি আসায় শিক্ষার্থীর উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। বেশ কয়েকদিন ধরে খেলাধুলা বন্ধ আছে। খেললেই ফুটবল ও ক্রিকেট খেলার বল নদীতে যায়। তাছাড়া বাচ্চারাও পড়ে যেতে পারে। নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত স্থায়ী সমাধান না করলে যে কোনো মূহুর্তে স্কুলের ভবন দুটি ও শহীদ মিনার নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’

সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, কয়েক বছর ধরে ঘাঘট নদীর ভাঙন তীব্র হয়েছে। এতে একটি বিদ্যালয়সহ নানা স্থাপনা হুমকির মুখে। ভাঙনরোধে কার্যকরি ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুত ওইস্থানে লোক পাঠিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

এবিষয়ে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ইতোমধ্যে ওইস্থানটি পরিদর্শন করেছি। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের আমরা প্রস্তাবনাও পাঠিয়েছি। আশা রাখি খুব দ্রুত বরাদ্দ আসবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘ওইস্থানে খুব শিগগিরই ডিওসহ প্রতিনিধি পাঠাবো। খোঁজ নিয়ে তিনি জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে জিও ব্যাগের জন্য আবেদন করবেন সেটিও বলেছি তাকে। আমি সরকারি কাজে দেশের বাহিরে আছি। এলাকায় গিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাসহ ঘাঘট নদীর ওই এলাকা পরিদর্শন করে স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/একে