বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৯ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় রমনা থানায় যে মামলা হয়েছে, সেই মামলায় ফখরুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে রোববার রাতে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক হুমায়ন কবীর খান।
অন্যদিকে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে এদিন সকালে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে ফখরুলকে ডিবি অফিসে আনা হয়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন।
পরে বিএনপি মহাসচিবকে আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি নেতারা যখন মিটিং করেছেন তখনই পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। এসব হামলার দায় দলটির নেতারা এড়াতে পারেন না। এজন্যই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করা হয়েছে।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, শনিবার বিএনপির সমাবেশস্থলে হামলা ও সহিংসতার ঘটনায় তাদের দলের মহাসচিবকে আটক করা হয়েছে। সহিংসতায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ উপলক্ষে কাকরাইলে আসা বিএনপি কর্মীরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ এবং বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া কাকরাইল পুলিশ বক্সেও আগুন দেয় তারা।
এ ঘটনার পর কাকরাইল মোড়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

























